আপনার জিজ্ঞাসা/মাসায়েল

মাসায়েল অনুসন্ধানের ফলাফল

মীকাত” শব্দ দিয়ে ৩১ টি মাসায়েল পাওয়া গেছে

সকল মাসায়েল একত্রে দেখুন

১৭৫৬

গত বছর আমি হজ্বে গিয়েছিলাম। দেশ থেকে ইহরাম বেঁধে যাইনি। ইচ্ছা ছিল মীকাত অতিক্রম করার আগে ইহরাম বেঁধে নেব। কিন্তু পরে আর মনে ছিল না। ইহরাম না বেঁধে মীকাত অতিক্রম করেছি। জেদ্দা বিমান বন্দরে নামার পর আমার এক আত্মীয় জানতে পারলে বলেন, আগে মদীনায় আমার বাসায় চলে আসুন। পরে হজ্বের আগে মদীনা থেকে ইহরাম বেঁধে হজ্ব করতে পারবেন। তার পরামর্শ অনুযায়ী আমি প্রথমে হারামে প্রবেশ না করে অন্য পথে সরাসরি মদীনায় গিয়ে সেখান থেকে ইহরাম বেঁধে হজ্ব করেছি। দেশে আসার পর এক ব্যক্তি বললেন, ইহরাম না বেঁধে মীকাত অতিক্রম করার কারণে নাকি আমার উপর দম ওয়াজিব হয়েছে।

তাই জানার বিষয় হল, ইহরাম না বেঁধে মীকাত অতিক্রম করার কারণে কি আমার উপর দম ওয়াজিব হয়েছে?

 


question and answer iconউত্তর দিয়েছেন: মাসিক আলকাউসার
২৮ অক্টোবর, ২০২০
১৫৭৭

আমি ঢাকা থেকেই প্রথমেই মদীনা শরীফ যাই, সেখানে হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর রওজা মুবারক যিয়ারতের উদ্দেশ্যে ২/৩ দিন অবস্থান করি। তারপর মক্কা শরীফে ওমরার উদ্দেশ্যে রওয়ানা করি এবং আমি মদীনা থেকে অর্থাৎ মসজিদে নববী থেকে ওমরার নিয়তে ইহরাম বাঁধি। গাড়িতে উঠলে বাঙ্গালী ড্রাইভার আমাকে বলল, মদীনা থেকে ওমরার নিয়ত করলে হবে না। জুল হুলাইফা মসজিদ থেকে ওমরার নিয়ত করতে হবে। আমি তৎক্ষণাৎ বাংলাদেশের দুইজন বড় আলেমের সাথে ফোনে যোগাযোগ করে দুইজনের দুই রকম মতামত পাই। যেমন, একজন বললেন, যেহেতু মদীনা শরীফ ও মসজিদে নববী মীকাতের আগে তাই আপনার ওমরার নিয়ত করা ঠিক আছে। কিন্তু অন্যজন বললেন, যেহেতু হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মদীনা শরীফ থেকে ওমরার ইহরাম বাঁধেন তাই আপনাকে জুল হুলাইফা মসজিদে এসেই ওমরার নিয়ত করতে হবে। এমতাবস্থায় কোনটি সঠিক? উল্লেখ্য, যুলহুলাইফা মসজিদে এসে পুনরায় অযু-গোসল না করে (ইহরাম বাঁধা এবং অযু আগেই ছিল) ওমরার নিয়ত করেছি। যেহেতু আসরের নামাযের জামাত মাসবুক হিসেবে শরিক হই। তাই ইহরামের নামায না পড়েই শুধু নিয়ত করে নিয়েছি। এটা কি ঠিক হয়েছে? বিস্তারিত জানালে উপকৃত হব।


question and answer iconউত্তর দিয়েছেন: মাসিক আলকাউসার
১৮ আগস্ট, ২০২১