বিতির নামাজে দুয়া কুনুতের পরিবর্তে তিনবার সুরা ইখলাস পাঠ করা
প্রশ্নঃ ৯৯৭৮. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, মুহাতারাম আমার প্রশ্ন হল যে আমি এশার চার রাকাত ফরজ নামাজের পর দুই রাকাত সুন্নত নামাজ আদায় করি তারপর বেতের নামাজ শুরু করি বেতের নামাজের প্রথম রাকাতে সুরা ফাতেহা পাঠ করি এবং অন্য সূরা মিলিয়ে রুকু সেজদা করি এবং তারপর দ্বিতীয় রাকাতে সুরা ফাতেহার পর রুকু সেজদা করি বৈঠক শেষ করার পর তৃতীয় রাকাতে সুরা ফাতেহা পাঠ করার পর অন্য একটি সূরা মিলাই তারপর আল্লাহু আকবার বলে হাত বাধার পর দোয়ায়ে কুনুত না পারার কারণে সেই জায়গায় সূরা ইখলাস তিনবার পাঠ করি এখন আমার প্রশ্ন হল যে এইভাবে বেতের নামাজ আদায় করলে নামায সম্পূর্ণ হবে নাকি হবে না দয়া করে আমার একটি মাসআলার সঠিক জবাব দেবেন কুরআন ও সুন্নাহ ভিত্তিক
উত্তর
و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
বিতর নামাযে দোয়ায়ে কুনুত পড়া ওয়াজিব। দোয়ায়ে কুনুতের পরিবর্তে তিনবার সূরা ইখলাস পড়া গ্রহণযোগ্য নয়। কারণ সূরা ইখলাস কুনুত বা দোয়া সম্বলিত সূরা নয়। কুনুতের উদ্দেশ্য হচ্ছে- দোয়া করা। এক্ষেত্রে নির্দিষ্ট দোয়া ব্যতীত অন্য যে কোনো দোয়া পড়লেও ওয়াজিব আদায় হয়ে যাবে এবং নামায সহীহ হয়ে যাবে। অবশ্য হাদীসে বর্ণিত দোয়া যেমন ‘আল্লাহুম্মা ইন্না নাসতায়িনুকা’ এটা পড়া সুন্নত। তাই হাদীসে বর্ণিত এ দোয়া কেউ না জানলে দ্রুত শিখে নিবে।
فأي دعاء دعا به حصل القنوت ولو قنت بآية ، أو آيات من القرآن العزيز وهي مشتملة على الدعاء حصل القنوت ، ولكن الأفضل ما جاءت به السنة
যে কোন দোয়া পড়লে এর দ্বারা কুনুত হয়ে যাবে; এমনকি দোয়া সম্বলিত এক বা একাধিক কুরআনের আয়াত পড়লেও কুনুতের উদ্দেশ্য হাছিল হয়ে যাবে। তবে, হাদিসে যে দোয়া এসেছে সেটা পড়া উত্তম। (ইমাম নববীর ‘আল-আযকার ৫০)
কেউ যদি এক্ষেত্রে কোনো দোয়াই না পড়ে তাহলে পুনরায় নামায আদায় করতে হবে। (আলমুহীতুল বুরহানী ২/২৭০; আলবাহরুর রায়েক ২/৪২; রদ্দুল মুহতার ১/৪৬৮; হাশিয়াতুত তহতাবী আলাদ্দুর ১/২৮০)
(শায়েখ উমায়ের কোব্বাদী)
والله اعلم بالصواب
মন্তব্য (0)
কোনো মন্তব্য নেই। প্রথম মন্তব্য করুন!
মন্তব্য করতে লগইন করুন