প্রশ্নঃ ৮৯৭৬. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ,
আমি ব্রাম্মনবাড়িয়া পলিটেকনিকের ছাত্র। আমাদের মেসের কাছে মসজিদে নামাজে কাতারের মধ্যে অনেক ফাকা রেখে দাঁড়ায়।আমি ফাকা বন্ধ করতে চাইলে অনেকে বাদা দেয়,সেক্ষেত্রে কি আমার নামাজ বাতিল হয়ে যাবে?
উত্তর
و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নামাজের কাতারে ফাঁকা পূর্ণ করে মিলমিলে দাঁড়ানোর নির্দেশ দিতেন।
حَدَّثَنَا عِيسَى بْنُ إِبْرَاهِيمَ الْغَافِقِيُّ، حَدَّثَنَا ابْنُ وَهْبٍ، ح وَحَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا اللَّيْثُ، - وَحَدِيثُ ابْنِ وَهْبٍ أَتَمُّ - عَنْ مُعَاوِيَةَ بْنِ صَالِحٍ، عَنْ أَبِي الزَّاهِرِيَّةِ، عَنْ كَثِيرِ بْنِ مُرَّةَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ، - قَالَ قُتَيْبَةُ عَنْ أَبِي الزَّاهِرِيَّةِ، عَنْ أَبِي شَجَرَةَ، لَمْ يَذْكُرِ ابْنَ عُمَرَ - أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " أَقِيمُوا الصُّفُوفَ وَحَاذُوا بَيْنَ الْمَنَاكِبِ وَسُدُّوا الْخَلَلَ وَلِينُوا بِأَيْدِي إِخْوَانِكُمْ " . لَمْ يَقُلْ عِيسَى " بِأَيْدِي إِخْوَانِكُمْ " . " وَلاَ تَذَرُوا فُرُجَاتٍ لِلشَّيْطَانِ وَمَنْ وَصَلَ صَفًّا وَصَلَهُ اللَّهُ وَمَنْ قَطَعَ صَفًّا قَطَعَهُ اللَّهُ " . قَالَ أَبُو دَاوُدَ أَبُو شَجَرَةَ كَثِيرُ بْنُ مُرَّةَ . قَالَ أَبُو دَاوُدَ وَمَعْنَى " وَلِينُوا بِأَيْدِي إِخْوَانِكُمْ " . إِذَا جَاءَ رَجُلٌ إِلَى الصَّفِّ فَذَهَبَ يَدْخُلُ فِيهِ فَيَنْبَغِي أَنْ يُلَيِّنَ لَهُ كُلُّ رَجُلٍ مَنْكِبَيْهِ حَتَّى يَدْخُلَ فِي الصَّفِّ .
ইবনু উমার ও আবূ শাজারাহ রাযিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত:
রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ তোমরা তোমাদের কাতারসমূহ সোজা করে নাও, পরস্পর কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে দাঁড়াও এবং উভয়ের মাঝখানে ফাঁক বন্ধ কর, আর তোমাদের ভাইদের হাতে নরম হয়ে যাও। বর্ণনাকারী ঈসার বর্ণনায়, “তোমাদের ভাইয়ের হাতে” শব্দগুলো নেই। (তিনি আরো বলেন,) শাইত্বানের জন্য কাতারের মাঝখানে ফাঁকা জায়গা রেখে দিও না। যে ব্যক্তি কাতার মিলাবে, আল্লাহও তাকে তারঁ রহমাত দ্বারা মিলাবেন। আর যে ব্যক্তি কাতার ভঙ্গ করবে, আল্লাহও তাকে তাঁর রহমাত হতে কর্তন করবেন।
ইমাম আবূ দাউদ (রহঃ) বলেন, আবূ শাজারার নাম হচ্ছে কাসীর ইবনু মুর্রাহ। ইমাম আবূ দাউদ (রহঃ) আরো বলেনঃ “তোমাদের ভাইদের হাতে নরম হয়ে যাও” এর অর্থ হচ্ছে, কোন ব্যক্তি এসে কাতারে প্রবেশ করতে চাইলে প্রত্যেক ব্যক্তিই তার জন্য নিজ নিজ কাঁধ নরম করে দেবে, যেন সে সহজে কাতারে শামিল হতে পারে।
—সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং ৬৬৬
করোনার অজুহাতে প্রায় সব জায়গায় দূরত্ব খতম করে নামাজের স্থানে এসে দূরত্ব বজায় রেখে কাতারে দাঁড়ানো ইসলাম সম্পর্কে উদাসীনতা এবং আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের হুকুম এর ব্যাপারে অবহেলা ছাড়া আর কী হতে পারে?
কিছু কিছু লোক রিক্সায় ও বাইকে করে দুজন ঘেষাঘেষি করে মসজিদে আসে। কাতারে দাঁড়ানোর সময় তিন ফিট দূরত্ব সৃষ্টি করে দাঁড়ায়। কতটা মূর্খতাপূর্ণ আচরণ!
কিছু লোক আবার কাতারে দূরত্ব সৃষ্টি করে দাঁড়ালেও নামাজ শেষে মসজিদের দরজা দিয়ে ধাক্কাধাক্কি ও ঘেষাঘেষি করে বের হয়। এরপর মসজিদের সামনে দাঁড়িয়ে গল্প আর আড্ডাবাজিতে দূরত্ব খতম করে।
আপনি আপনার দু'পাশের লোকদেরকে নিয়ে মিলে মিলে দাঁড়ানোর চেষ্টা করবেন। এরপর যদি অপারগ হয়ে পড়েন তখন ইনশাআল্লাহ আপনার নামাজ হয়ে যাবে।
والله اعلم بالصواب
উত্তর দাতা:
মুফতী ও মুহাদ্দিস, জামিআ মুহাম্মাদিয়া আরাবিয়া, মোহাম্মদপুর
মন্তব্য (0)
কোনো মন্তব্য নেই। প্রথম মন্তব্য করুন!
মন্তব্য করতে লগইন করুন