অন্যের বিবাহিতা স্ত্রীকে নিজের জন্য পাওয়ার দোয়া করা কি বৈধ?
প্রশ্নঃ ৮৬২৬৫. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, আমি মেয়ে, অবিবাহিত। গতবছর একজনের সাথে বিয়ের পরিকল্পনা করি ।তার পরিবার থেকে অসম্মতি ছিলো। তো আমি তখন থেকে নিয়মিত নামাজ, নফল নামাজ, তাহাজ্জুদ নামাজ পড়ে আসছি। এই বছর তার পরিবারের সম্মতিতে অন্য জায়গায় বিয়ে হয়েছে। কিন্তু কেন জানি আমার মন মানতে চাচ্ছে না। মনে হচ্ছে তার বিয়ে হয় নি। ইচ্ছাকৃত অনিচ্ছাকৃত আমি এখনও তাকে হালাল ভাবে চেয়ে আসছি এখনও নিয়মিত ফরজ, নফল, ইস্তেগফার, দুরূদ পড়ে আসছি তাকে পাওয়ার জন্য দুয়া করছি। মনে হচ্ছে আল্লাহ্ উনাকে আমার জন্যে করে দিবে। আমার প্রশ্ন হচ্ছে এমন কেন হচ্ছে তার বিয়ে হয় যাওয়া সত্ত্বেও আমি কেন তাকে হালাল ভাবে চেয়ে আসছি? এটা কি উচিত হচ্ছে আমার? যদি এমন কিছু হয় আমি কিভাবে বুঝবো। আমি এস্তেখার নামাজ পরেও পজেটিভ ইঙ্গিত পেয়েছি।
উত্তর
و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
আপনার জন্য তাকে পাওয়ার তামান্না করা, দোয়া করা বৈধ নয়। কেননা এর মাধ্যমে শয়তান আপনার মনে বারবার তার কথা জাগ্রত করে দিয়ে তার সাথে পরকীয়ায় জড়িয়ে দিতে পারে। আপনার ইস্তেখারাও গ্রহনযোগ্য নয়। কেননা ইস্তেখার হয় দুইটা হালাল কাজের মধ্যে কোনটাকে প্রাধান্য দিবে তার কোনো একটাকে নির্ধারণ করার জন্য। কিন্তু তাকে পাওয়া চিন্তা করাও আপনার জন্য দুরস্ত নয়। তাই সতর্ক থাকুন। উত্তম পাত্র দেখে দ্রুত বিবাহ করে নিন। দোয়া করুন আল্লাহ তায়ালা যেন, আপনার জন্য উত্তম জীবন সঙ্গীর ব্যবস্থা করে দেন।
আমাদের বুজুর্গরা বলেছেন, কারো মন যদি এমন হয় যে, তার মন বার বার কারো দিকে যাচ্ছে; চাইলেও ফেরানো যায় না; মন এমনভাবে বসে থাকে যে, অন্যকিছুতেই মন বসে না; মনে গোনাহে জড়ানোর ভয় হয়, তার জন্যে একটি আমল খুই উপকারী। আমলটি খুবই সহজ। দৈনিক ১০০ বার পড়বে-
لَا مَرْغُوبِي إِلَّا اللَّهُ - لَا مَطْلُوبِي إِلَّا اللَّهُ - لَا مَحْبُوبِي إِلَّا اللَّهُ - لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ
অর্থ: আল্লাহ ছাড়া আমার কোন কাঙ্ক্ষিত সত্ত্বা নেই, আল্লাহ ছাড়া আমার কোন প্রত্যাশিত সত্ত্বা নেই, আল্লাহ ছাড়া আমার কোন প্রিয় সত্ত্বা নেই। আল্লাহ ছাড়া কোন ইলাহ নেই।
সম্মানিত পাঠক! এটা আসলে কুরআন-হাদিসে বর্ণিত কোন দোয়ার অংশ নয়। আল্লাহ ওয়ালাদের অভিজ্ঞতার আলোকে একটি আমল। কিন্তু যেহেতু এতে কোরআন সুন্নাহ পরিপন্থী কোন শব্দ নেই তাই আমল করতেও কোন অসুবিধা নেই। আর এই জাতীয় আমলগুলো যেহেতু অভিজ্ঞতা নির্ভর; কারো হয়তো উপকার নাও হতে পারে, সেজন্য আমলকেই দোষণীয় মনে করার কোন কারণ নেই!
والله اعلم بالصواب
মন্তব্য (0)
কোনো মন্তব্য নেই। প্রথম মন্তব্য করুন!
মন্তব্য করতে লগইন করুন