প্রশ্নঃ ৬৮৮৩. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, আসসালামু আলাইকুম,বিবাহের পর বউয়ের দুনিয়াবি চাহিদার কোন শেষ নাই।অনেক সময় ইচ্ছা /অনইচ্ছায় তার সকল চাহিদা পুরা করতে পারি না।এখন আমার প্রশ্ন হলো নূন্যতম কি পরিমান চাহিদা পুরা করা আমার জন্য জরুরি বা শরিয়তের দৃষ্টিতে তার চাহিদার কোন মাপকাঠি নির্ধারণ করেছে কি না??? এবং আমার ও তার চাহিদা পুরা করার ব্যাপারে কোন সীমারেখা আছে কি না??
উত্তর
و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
বিবাহের পর স্বামী তার স্ত্রীর মৌলিক প্রয়োজনগুলো পূরণ করতে বাধ্য।
স্বামী প্রাচুর্যের অধিকারী হলে তার অবস্থা অনুপাতে স্ত্রীর ভরণপোষণ দেবে। আর স্বামী দরিদ্র হলে তার সামর্থের আলোকে প্রদান করবে।
স্বামীর সাধ্যের বাহিরে অতিরিক্ত চাপ দিয়ে কিছু আদায় করা স্ত্রী বা তার অভিভাবকদের জন্য জায়েয হবে না।
لِیُنۡفِقۡ ذُوۡ سَعَۃٍ مِّنۡ سَعَتِہٖ ؕ وَمَنۡ قُدِرَ عَلَیۡہِ رِزۡقُہٗ فَلۡیُنۡفِقۡ مِمَّاۤ اٰتٰىہُ اللّٰہُ ؕ لَا یُکَلِّفُ اللّٰہُ نَفۡسًا اِلَّا مَاۤ اٰتٰىہَا ؕ سَیَجۡعَلُ اللّٰہُ بَعۡدَ عُسۡرٍ یُّسۡرًا ٪
প্রত্যেক সামর্থ্যবান ব্যক্তি নিজ সামর্থ্য; অনুযায়ী খরচা দেবে। আর যার জীবিকা সংকীর্ণ করে দেওয়া হয়েছে, (অথাৎ যে গরীব) সে, আল্লাহ তাকে যা দিয়েছেন তা থেকে খরচা দেবে। আল্লাহ যাকে যতটুকু দিয়েছেন তার বেশি ভার তার উপর অর্পণ করেন না। আল্লাহ সংকটের পর স্বাচ্ছন্দ্য সৃষ্টি করে দেবেন।
—আত ত্বালাক - ৭
তাফসীরঃ
স্বামীর উপর যে স্ত্রী ও সন্তানদের খরচা বহন ওয়াজিব, এটা তার আর্থিক অবস্থা অনুপাতেই হয়ে থাকে, তার বেশি নয়।
এটা গরীবদের জন্য একটা সুসংবাদ যে, আল্লাহ তাআলা তাকে যতটুকুই দিয়েছেন, তা থেকেই সে যদি বিধিমতাে খরচ করে, তবে একদিন আল্লাহ তা'আলা তার অর্থকষ্ট ঘুচিয়ে দেবেন।
মৌলিক প্রয়োজনগুলো-
খাদ্য পানীয়, পোশাক-পরিচ্ছদ, থাকার জন্য একটি নিরাপদ ঘর তথা কামরা, এরপর রয়েছে দ্বীনি মৌলিক শিক্ষা চর্চা, স্বাস্থ্য রক্ষা, নিরাপত্তা প্রদান করা।
এই ৬ টি মৌল প্রয়োজন পূরণ করলে স্বামী দায়মুক্ত হতে পারবে।
والله اعلم بالصواب
উত্তর দাতা:
মুফতী ও মুহাদ্দিস, জামিআ মুহাম্মাদিয়া আরাবিয়া, মোহাম্মদপুর
মন্তব্য (0)
কোনো মন্তব্য নেই। প্রথম মন্তব্য করুন!
মন্তব্য করতে লগইন করুন