প্রশ্নঃ ৬৫১৫. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, 1.পূর্বে প্রশ্নে বলেছিলাম যে ওমরা করার পূর্বে দুই রাকাত নামাজ আদায় করা সেটা কিন্তু ঠিক আছে। আর আমি যেটা জানতে চাইলাম সেটা হলো তাওয়াফ করার পূর্বে অর্থাৎ কাবা শরীফকে দেখে যে দুই রাকাত নামাজ আদায় করা হয়। কতটা গুরুত্বপূর্ণ এবং কতটা সহি সুন্নত ভাবে আসলে কি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কিভাবে নামাজ আদায় করতেন2. টুপি পরা পাঞ্জাবি পরা কতটা সহীহ সুন্নত আমাকে একটু ব্যাখ্যা দিয়ে জানালে ভালো হতো3. যদি ঘুমের কারণে জুমার নামাজ আদায় করা না হয় তাহলে কি হবে?4. মৃত্যুর পর কবরে কয়টি প্রশ্ন করা হবে তিনটা নাকি চারটা?5, আপনি জানবেন মনে হয় আল-হাদিস নামে একটা অ্যাপস আছে!সে অ্যাপসটা কতটা ভালো আপনার মতামত চাই? সে অ্যাপস থেকে কিছু শেখা যাবে বা করা যাবে?
উত্তর
و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
السلام عليكم ورحمة الله وبركاته
তাওয়াফ করার পূর্বে দুই রাকাআত নামায পড়া বিদআত।
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাওয়াফের পূর্বে কোন নামায পড়েন নি। সাহাবায়ে কেরাম থেকে এই ধরণের নামায পড়া প্রমাণিত নয়।
حَدَّثَنَا أَصْبَغُ عَنْ ابْنِ وَهْبٍ أَخْبَرَنِي عَمْرٌو عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمٰنِ ذَكَرْتُ لِعُرْوَةَ قَالَ فَأَخْبَرَتْنِي عَائِشَةُ أَنَّ أَوَّلَ شَيْءٍ بَدَأَ بِهِ حِينَ قَدِمَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم أَنَّهُ تَوَضَّأَ ثُمَّ طَافَ ثُمَّ لَمْ تَكُنْ عُمْرَةً ثُمَّ حَجَّ أَبُو بَكْرٍ وَعُمَرُ مِثْلَهُ ثُمَّ حَجَجْتُ مَعَ أَبِي الزُّبَيْرِ فَأَوَّلُ شَيْءٍ بَدَأَ بِهِ الطَّوَافُ ثُمَّ رَأَيْتُ الْمُهَاجِرِينَ وَالأَنْصَارَ يَفْعَلُونَهُ وَقَدْ أَخْبَرَتْنِي أُمِّي أَنَّهَا أَهَلَّتْ هِيَ وَأُخْتُهَا وَالزُّبَيْرُ وَفُلاَنٌ وَفُلاَنٌ بِعُمْرَةٍ فَلَمَّا مَسَحُوا الرُّكْنَ حَلُّوا
‘আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা থেকে বর্ণিত:
নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম মক্কায় উপনীত হয়ে সর্বপ্রথম অযূ করে তাওয়াফ সম্পন্ন করেন। (রাবী) ‘উরওয়াহ (রহঃ) বলেন, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর এই তাওয়াফটি ‘উমরাহ’র তাওয়াফ ছিল না। (তিনি আরো বলেন) অতঃপর আবূ বকর ও ‘উমর (রাঃ) অনুরূপভাবে হজ্জ করেছেন। এরপর আমার পিতা যুবাইর (রাঃ)-এর সাথে আমি হজ্জ করেছি তাতেও দেখেছি যে, সর্বপ্রথম তিনি তাওয়াফ করেছেন। এরপর মুহাজির, আনসার সকল সাহাবা (রাঃ)-কে এরূপ করতে দেখেছি। আমার মা আমাকে জানিয়েছেন যে, তিনি, তাঁর বোন এবং যুবাইর ও অমুক অমুক ব্যক্তি ‘উমরাহ’র ইহ্রাম বেঁধেছেন, যখন তাঁরা তাওয়াফ সমাধা করেছেন, হালাল হয়ে গেছেন।
—সহিহ বুখারী, হাদিস নং ১৬১৪
****
একসঙ্গে একাধিক প্রশ্ন না করার অনুরোধ।
والله اعلم بالصواب
উত্তর দিয়েছেন:
মুফতী ও মুহাদ্দিস, জামিআ মুহাম্মাদিয়া আরাবিয়া, মোহাম্মদপুর
মন্তব্য (0)
কোনো মন্তব্য নেই। প্রথম মন্তব্য করুন!
মন্তব্য করতে লগইন করুন