প্রশ্নঃ ৪৮৬৭. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, আসসালামু আলাইকুম ভালো আছেন? কাউকে কী হুযুর বলা যাবে কী? দলীল সহ উওর দিবেন?
উত্তর
و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
وعلیکم السلام ورحمة الله وبركاته
একটি শব্দের এক ভাষায় এক অর্থ। ভিন্ন ভাষায় ভিন্ন অর্থ।
নোয়াখালীতে পানিকে হানি বলে। ইংরেজ দেশে এই হানি মধু হয়ে যায়।
"হুজুর" শব্দের আরবিতে যদিও এর অর্থ হলো উপস্থিত বা বিদ্যমান। ভারত পাকিস্তান বাংলাদেশে এই শব্দটিকে সম্মানিত ব্যক্তিদের নামের শুরুতে "জনাব" "মুহতারাম" ইত্যাদির স্থলে বসানো হয়।
দেখার বিষয় হলো, এখানে শব্দটির প্রয়োগস্থল কি?
শব্দটির মূল অর্থের দিকে তাকালে অবশ্যই এই শব্দটি পরিহার করতে হবে। কিন্তু জ্ঞানী মানুষ মাত্রই বুঝে, শব্দের মূল অর্থ সর্বত্র মুখ্য নয়। বরং শব্দের প্রায়োগিক অর্থ সর্বত্র ধর্তব্য। সে হিসেবে কোন আলেমকে সম্মানের সাথে সম্বোধন করার জন্য "হুযুর" বলতে কোনো অসুবিধে নেই।
শব্দের প্রায়োগিক অর্থটিই যে কাম্য হয়ে থাকে তার প্রকৃষ্ট উদাহরণ হল, কুরআনুল কারীমের সূরা বাকারার শেষ আয়াত আল্লাহ তাআলা নিজের জন্য "মাওলানা" শব্দ প্রয়োগ করেছেন। এখানে মাওলানা অর্থ আমাদের জিম্মাদার, আমাদের মালিক, আমাদের অভিভাবক।
আবার দেখুন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বিলাল রাদিআল্লাহু তা'আলা আনহুকে "মাওলানা" বলেছেন। সেখানে আযাদকৃত গোলামের অর্থে ব্যবহার করেছেন।
তাহলে বুঝা গেল শব্দের প্রায়োগিক অর্থটি কাম্য।
কুরআনে "মাওলানা" মালিকের অর্থে প্রয়োগ হয়েছে বিধায় রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু সাল্লাম বিলাল রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহুর ক্ষেত্রে এই শব্দ ব্যবহার করে শিরিক করে ফেলেছেন, এমন কথা বলবেন? কিছুতেই নয়। কেননা শব্দের প্রায়োগিক অর্থটিই হল মূল।
والله اعلم بالصواب
উত্তর দাতা:
মন্তব্য (0)
কোনো মন্তব্য নেই। প্রথম মন্তব্য করুন!
মন্তব্য করতে লগইন করুন