প্রশ্নঃ ৪৭৩৯. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, সন্তানের প্রতি পিতা মাতার কি কি কর্তব্য
উত্তর
و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
পিতা-মাতার প্রতি সন্তানের যেমন কর্তব্য আছে, তেমন পিতা-মাতারও সন্তানের প্রতি কর্তব্য আছে।
পিতা-মাতার প্রতি সন্তানের কর্তব্যগুলো শুরু হওয়ার আগেই শুরু হয় সন্তানের প্রতি পিতা-মাতার কর্তব্য। এগুলো সন্তানের অধিকার। সন্তান জন্মের আগে থেকেই তার অধিকার শুরু হয়।
সন্তানের রয়েছে আদর্শ, দীনদার মায়ের কোলে জন্মগ্রহণের অধিকার। সন্তান ছেলে বা মেয়ে যে-ই হোক, জন্মের পর তার এক কানে আযান ও অন্য কানে ইকামতের ধ্বনি শোনানো পিতা-মাতার কর্তব্য। বাড়ির উঠানে নয়, সন্তানের কানেই দিতে হবে আযান। হজরত আবু রাফে রাযিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, ‘হজরত হাসান রাযিয়াল্লাহু আনহু এর জন্মের পর রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নামাজের আজানের মতো আজান দিয়েছিলেন।’
তিরমিজি।
সন্তানের প্রতি পিতা-মাতার অন্যতম দায়িত্ব হলো তার জন্য সুন্দর অর্থবোধক নাম রাখা। হাদীসে জন্মের সপ্তম দিনে নাম রাখার কথা বলা হয়েছে। নামের ক্ষেত্রে লক্ষণীয় হলো, নামের সৌন্দর্য ও অর্থ।
আর অনেক সময় ব্যক্তিগত রাগ বা জাগতিক ক্ষতির কারণে সন্তানদের শাসন করি। অথচ ধর্মীয় ও নৈতিক আচরণের ত্রুটিগুলোর ব্যাপারে উদাসীন থাকি। রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ও তাঁর সাহাবিরা এর উল্টো করেছেন। জাগতিক বিষয়াদির ক্ষতি, কষ্ট বা ব্যক্তিগত রাগ সহ্য করলেও দ্বীনি বিষয়ের অবহেলায় কঠোর শাসন করেছেন।
আপনিই আপনার সন্তানের প্রথম আদর্শ। সন্তানের কৃতিত্বে যেমন আপনি আনন্দিত হন। তেমনি সন্তানের পদস্খলনের দায়ভার আপনাকেই নিতে হবে।
হজরত আবু হুরায়রা রাযিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, ‘জান্নাতে কোনো ব্যক্তির মর্যাদা বৃদ্ধি করা হলে তারা বলবে কীভাবে আমার মর্যাদা বৃদ্ধি পেল? তখন তাকে বলা হবে, তোমার জন্য তোমার সন্তানের ক্ষমাপ্রার্থনার ফলে।’
ইবনে মাজাহ।
والله اعلم بالصواب
উত্তর দাতা:
মন্তব্য (0)
কোনো মন্তব্য নেই। প্রথম মন্তব্য করুন!
মন্তব্য করতে লগইন করুন