প্রশ্নঃ ৪৫৯৮. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, আসসালামু আলাইকুম
মুহতারাম,,
মসজিদে নির্ধারিত ইমাম ছুটিতে গিয়েছেন এবং মসজিদে মুয়াজ্জিন নেই যে ইমামের অবর্তমানে নামাজ পড়াবে।
আসরের ওয়াক্তে এলাকার আমলদার একজন হাজী সাহেব নামাজ পড়াচ্ছেন এমন সময় একজন পরিচিত আলেম আসলেন কিন্তু সে জামাতে শরীক না হয়ে একাকি নামাজ পড়লেন,
এই কারনে অনেকেই বলছেন যে সে কেন জামাতে অংশগ্রহণ করলো না।
এই আলেম যা করলেন সেটা কি ঠিক ছিলো নাকি জামাতে অংশগ্রহণ করে ফিতনা মুক্ত রাখা ঠিক ছিলো..?
প্রশ্নটি বুঝে থাকলে অনুগ্রহ করে সঠিক উত্তর দিবেন।
উত্তর
و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
وعلیکم السلام ورحمة الله وبركاته
মাসজিদে জামাআত চলাকালীন মূল জামাত থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে একা একা নামাজ পড়া অথবা ভিন্ন জামাআত করার কোনো অবকাশ নেই।
অতএব ঐ মাওলানা সাহেব যা করেছেন তার জবাব তিনিই দেবেন।
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ صَالِحٍ، حَدَّثَنَا ابْنُ وَهْبٍ، حَدَّثَنِي مُعَاوِيَةُ بْنُ صَالِحٍ، عَنِ الْعَلاَءِ بْنِ الْحَارِثِ، عَنْ مَكْحُولٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " الصَّلاَةُ الْمَكْتُوبَةُ وَاجِبَةٌ خَلْفَ كُلِّ مُسْلِمٍ بَرًّا كَانَ أَوْ فَاجِرًا وَإِنْ عَمِلَ الْكَبَائِرَ " .
আবূ হুরাইরাহ্ রাযিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত:
রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, যে কোন মুসলমানের ইমামতিতে ফরয সলাত আদায় করা ওয়াজিব, সে নেককার হোক বা বদকার হোক, এমনকি কবীরাহ গুনাহের কাজে জড়িত থাকলেও।
সুনানে আবু দাউদ, হাদিস নং ৫৯৪
والله اعلم بالصواب
উত্তর দাতা:
মন্তব্য (0)
কোনো মন্তব্য নেই। প্রথম মন্তব্য করুন!
মন্তব্য করতে লগইন করুন