আপনার জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর

সকল মাসায়েল একত্রে দেখুন

ভুলবশত কেবলা দিক ছেড়ে অন্য দিকে নামাজ পড়লে তার বিধান

প্রশ্নঃ ৪৩৬৭. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, আমাদের বাসায় মোটামুটি সবাই ৫ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করে।আলহামদুলিল্লাহ। আমরা যে বাসায় বর্তমানে আছি,এখানে প্রায় ৬ মাস যাবত আছি।কিছুদিন আগে বুঝতে পারলাম আমরা যে পাশে কিবলা করে নামায পরতাম,কিবলা তার দিক থেকে অনেকটা ঘুরানো। কোনাকোনি। তার মানে এতদিন সবাই ভুল কিবলায় নামায আদায় করেছি।এখন কি করতে পারি???আমাদের কি সব নামায কাযা আদায় করে দিতে হবে??

১ নভেম্বর, ২০২৩
চট্টগ্রাম

উত্তর

و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته

بسم الله الرحمن الرحيم


এ বাসায় উঠার পর কিবলাহ নির্ধারণের ক্ষেত্রে সাধ্য অনুযায়ী ফিকির করে এরপর নামাজ পড়ে থাকলে অতীতের সবগুলো নামাজ সহীহ হয়ে গেছে। এ নিয়ে পেরেশানির প্রয়োজন নেই।
উল্লেখ্য : কিবলার বরাবর থেকে ডানে বামে সাড়ে বাইশ ডিগ্রি পর্যন্ত ঘুরে গেলেও নামাজ সহীহ হয়ে যাবে।

حَدَّثَنَا مَحْمُودُ بْنُ غَيْلاَنَ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، حَدَّثَنَا أَشْعَثُ بْنُ سَعِيدٍ السَّمَّانُ، عَنْ عَاصِمِ بْنِ عُبَيْدِ اللَّهِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَامِرِ بْنِ رَبِيعَةَ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ كُنَّا مَعَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فِي سَفَرٍ فِي لَيْلَةٍ مُظْلِمَةٍ فَلَمْ نَدْرِ أَيْنَ الْقِبْلَةُ فَصَلَّى كُلُّ رَجُلٍ مِنَّا عَلَى حِيَالِهِ فَلَمَّا أَصْبَحْنَا ذَكَرْنَا ذَلِكَ لِلنَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَنَزَلَ‏:‏ ‏(‏فَأَيْنَمَا تُولُّوا فَثَمَّ وَجْهُ الله‏)‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ لَيْسَ إِسْنَادُهُ بِذَاكَ لاَ نَعْرِفُهُ إِلاَّ مِنْ حَدِيثِ أَشْعَثَ السَّمَّانِ ‏.‏ وَأَشْعَثُ بْنُ سَعِيدٍ أَبُو الرَّبِيعِ السَّمَّانُ يُضَعَّفُ فِي الْحَدِيثِ ‏.‏ وَقَدْ ذَهَبَ أَكْثَرُ أَهْلِ الْعِلْمِ إِلَى هَذَا ‏.‏ قَالُوا إِذَا صَلَّى فِي الْغَيْمِ لِغَيْرِ الْقِبْلَةِ ثُمَّ اسْتَبَانَ لَهُ بَعْدَ مَا صَلَّى أَنَّهُ صَلَّى لِغَيْرِ الْقِبْلَةِ فَإِنَّ صَلاَتَهُ جَائِزَةٌ ‏.‏ وَبِهِ يَقُولُ سُفْيَانُ الثَّوْرِيُّ وَابْنُ الْمُبَارَكِ وَأَحْمَدُ وَإِسْحَاقُ ‏.‏

‘আব্দুল্লাহ ইবনু ‘আমির ইবনু রবী’আ রাযিয়াল্লাহু আনহু হতে তাঁর পিতার থেকে বর্ণিত :
তিনি (‘আমির) বলেন, এক অন্ধকার রাতে নবী রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সাথে সফরে ছিলাম। কিবলা যে কোন দিকে তা আমরা ঠিক করতে পারলাম না। আমাদের প্রত্যেকে যার যার সামনের দিকে ফিরে নামায আদায় করলাম। সকাল বেলা আমরা এ ঘটনা নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বললাম। এ প্রসঙ্গে এই আয়াত অবতীর্ণ হল-“পূর্ব ও পশ্চিম সবই আল্লাহ তা’আলার। যে দিকে তুমি মুখ ফিরাবে, সেদিকেই আল্লাহ তা’আলার চেহারা বিরাজমান”-(সূরা আল-বাকারা-১১৫)।
টীকা :
আবু ‘ঈসা বলেন–এ হাদীসের সনদ খুব একটা শক্তিশালী নয়। এ হাদীসের রাবি আশ’আস ইবনু সা’ঈদ একজন দুর্বল রাবি। আমরা শুধু তাঁর মাধ্যমেই হাদীসটি জেনেছি।
বেশিরভাগ বিশেষজ্ঞ বলেছেন, মেঘের কারণে কিবলা ছাড়া অন্য দিকে নামায আদায় করা হল, তারপর নামায শেষে জানা গেল যে, কিবলার দিক ব্যতীত অন্য দিকে ফিরে নামায আদায় করা হয়েছে, এ অবস্থায় নামায নির্ভুল হবে। সুফিয়ান সাওরী, ইবনুল মুবারাক, আহমাদ ও ইসহাক এ মতের সমর্থক।
জামে' আত-তিরমিজি, হাদিস নং ৩৪৫

والله اعلم بالصواب

ইসহাক মাহমুদ, মুফতী ও মুহাদ্দিস, জামিআ মুহাম্মাদিয়া আরাবিয়া, মোহাম্মদপুর
প্রসঙ্গসমূহ:

মন্তব্য (0)

কোনো মন্তব্য নেই। প্রথম মন্তব্য করুন!

মন্তব্য করতে লগইন করুন