প্রশ্নঃ ৩৫২৬. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, আমার দেড় বছর বয়সী একটা ছেলে বাবু আছে। আমার ছেলে খুব চঞ্চল প্রকৃতির। বাবু হওয়ার পর থেকেই নামাজ আর কোরান পড়ায় অনেক গাফেল হয়ে গিয়েছি। যখনই নামাজ বা কোরান পড়তে বসি তখনই ছেলের চঞ্চলতা আরো কয়েক গুণ বেড়ে যায়। আমার তখন খুব আফসোস হয়। ওর সাথে আমি অনেক রাগ করি, মাঝে মধ্যে মারিও। আবার তার জন্য খুব অনুতপ্ত হই। কিন্তু ওর চঞ্চলতার সাথে আমি পেরে উঠি না। আমার খুব কষ্ট হয় সামলাতে ওকে। ওর দুষ্টুমির জন্য মানুষ আমাকে অনেক কথাও শুনায়। তখন ওর জন্য আরও মায়া ও কষ্ট লাগে। ১. ওর দুষ্টুমি কি করে কমাই? যদিও সকাল বিকেল আয়তুল কুরসি ৩ কুল পরে ফু দেয়ার চেষ্টা করি। ২. ওর দিকে খেয়াল রেখে কি করে নামাজ আর কোরান পড়ায় সময় বেশি দেই?৩. আমি যে আমার বাবুটাকে মারি, এতে কি আমার গুনাহ হবে? নিজেকে কি করে শুধরাবো ?
উত্তর
و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
রাগান্বিত অবস্থায় শিশুদেরকে প্রহার করা কখনই উচিত নয়। কেননা রাগের সময় প্রহারের মাত্রা ঠিক রাখা সম্ভব হয় না। বেইনসাফি হয়ে যায়।
মনে রাখতে হবে, ছোট বাচ্চারা শিশুসুলভ আচরণ করবেই। এতে বড়দের বিরক্ত হওয়া ঠিক নয়। ছোট বাচ্চাদের চঞ্চলতা তাদের মেধাবী হওয়ার নিদর্শন।
অতএব প্রতিবন্ধকতার মধ্য দিয়ে নামাজ-কুরআন তিলাওয়াতে মনোযোগী হোন।
বাচ্চাদের নিরাপত্তার জন্য রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের শেখানো দোয়া আমল করুন।
أُعِيذُكَ بِكَلِمَاتِ اللهِ التَّمَّاتِ مِنْ كُلِّ شَيطَانٍ وَّهامَّةٍ وَمِن كُلِّ عَينٍ لامَّةٍ.
অর্থ : আমি তোমাকে আল্লাহর পরিপূর্ণ কালিমার আশ্রয় দিচ্ছি সকল শয়তান ও ক্ষতিকর প্রাণী থেকে এবং তীর্যক দৃষ্টি থেকে।
عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ ، قَالَ : كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُعَوِّذُ الْحَسَنَ، وَالْحُسَيْنَ، فَيَقُولُ : " أُعِيذُكُمَا بِكَلِمَةِ اللَّهِ التَّامَّةِ مِنْ كُلِّ شَيْطَانٍ وَهَامَّةٍ ، وَمِنْ كُلِّ عَيْنٍ لَامَّةٍ ". ثُمَّ يَقُولُ : " هَكَذَا كَانَ أَبِي إِبْرَاهِيمُ عَلَيْهِ السَّلَامُ يُعَوِّذُ إِسْمَاعِيلَ وَإِسْحَاقَ عَلَيْهِمَا السَّلَامُ ".
মুসনাদ আহমাদ ২৪৩৪
والله اعلم بالصواب
মন্তব্য (0)
কোনো মন্তব্য নেই। প্রথম মন্তব্য করুন!
মন্তব্য করতে লগইন করুন