আপনার জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর

সকল মাসায়েল একত্রে দেখুন

মুসাফিরের রোজা

প্রশ্নঃ ৩২৩৪৭. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, ১। সফরের সময় রোজা ভাংঙ্গলে কাযা আদায় করতে হবে কি না? ২। সম্প্রতি যে চাঁদের বিষয়ে কথা শুনতেছি যেমনঃ ১৫ রমাদান কিছু একটা আওয়াজ হবে। এটার সত্যতা কতটুকু এবং দলিল প্রমাণসহ দেখতে চাই?

৪ এপ্রিল, ২০২৩
গোপালপুর

উত্তর

و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته

بسم الله الرحمن الرحيم


শরয়ি সফর (অর্থাৎ ৪৮ মাইল তথা ৭৭ কিলোমিটার ভ্রমণ করেছেন যিনি) তার জন্য রোজা না রাখার অনুমতি আছে। তবে মুসাফিরের জন্য উত্তম হচ্ছে যদি কষ্ট কম হয়, তাহলে রোজা পালন করা। আর এ অবস্থায় রোজা না রাখলে পরে তা কাজা করে নিতে হবে। (জাওয়াহিরুল ফাতাওয়া ১/২০)
আল্লাহ তাআলা বলেন,
اَیَّامًا مَّعۡدُوۡدٰتٍ ؕ فَمَنۡ کَانَ مِنۡکُمۡ مَّرِیۡضًا اَوۡ عَلٰی سَفَرٍ فَعِدَّۃٌ مِّنۡ اَیَّامٍ اُخَرَ
(রোজা) নির্দিষ্ট কয়েকটি দিনের জন্য, অতঃপর তোমাদের মধ্যে যে পীড়িত কিংবা মুসাফির সে অন্য সময় এ সংখ্যা পূরণ করে নেবে। (সূরা বাকারা ১৮৪)
হাদিস শরিফে এসেছে, আছিম রহ. বলেন, হজরত আনাস রাযি.-কে সফরকালে রোজা রাখার বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন,
مَنْ أَفْطَرَ فَرُخْصَةٌ، وَمَنْ صَامَ فَالصَّوْمُ أَفْضَلُ
যে রোজা রাখবে না সে অবকাশ গ্রহণ করল। আর যে রোজা রাখল সে উত্তম কাজ করলো। (মুসান্নাফে ইবনে আবি শাইবা: ৮৯৭৪)
প্রিয় প্রশ্নকারী ভাই, নিয়ম হল, একসঙ্গে একাধিক প্রশ্ন না করা। কেননা, একাধিক প্রশ্ন করা হলে প্রশ্নোত্তরের শিরোনাম দেওয়া, ক্যাটাগরি ঠিক করা, পাঠক-বান্ধব না হওয়াসহ আরো বিভিন্ন জটিলতা তৈরি হয়। তাই আপনার দ্বিতীয় প্রশ্নটির উত্তর পেতে হলে নিয়ম মেনে পুনরায় প্রশ্ন করুন।

আমাদের সঙ্গে থাকার জন্য আল্লাহ আপনাকে উত্তম প্রতিদান দিন।

والله اعلم بالصواب

শাইখ উমায়ের কোব্বাদী সিনিয়র মুহাদ্দিস, মাদরাসা দারুর রাশাদ, মিরপুর খতীব, বাইতুল ফালাহ জামে মসজিদ, মিরপুর

মন্তব্য (0)

কোনো মন্তব্য নেই। প্রথম মন্তব্য করুন!

মন্তব্য করতে লগইন করুন

এ সম্পর্কিত আরও জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর