নাকের সর্দি কি নাপাক?
প্রশ্নঃ ২৮৭৬২. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, নাকের সর্দি (সিকেন) কি পাক? নামাজ পড়াকালীন বা মোনাজাতে কেঁদে নাকের সর্দি অর্থাৎ পানীয় জিনিসটা বেরোলে আমার কাছে রুমাল না থাকাই আমি কি পাঞ্জাবিতে সেই জিনিসটি মুছতে পারবো? পরবর্তীকালে সেই পাঞ্জাবীতে কি আমার নামাজ হবে? অর্থাৎ সেটি কি পাক?
উত্তর
و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
নাকের সর্দি বা পানি নাপাক নয়। অবশ্য যদি পুঁজ হয় তাহলে তা নাপাক। সুতরাং নাকের পানি কাপড়ে লাগলে পবিত্র করা কিংবা পরিবর্তন করা জরুরি নয়। উক্ত কাপড়সহ নামায পড়া জায়েজ আছে। তবে ময়লার কারণে খারাপ লাগলে পরিষ্কার করে নিতে পারেন।
হাদিস শরিফে এসেছে, আম্মার ইবনে ইয়াসির রাযি. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন,
: أَتَى عَلَيَّ رَسُولُ اللَّهِ – ﷺ – وَأَنَا عَلَى بِئْرٍ أَدْلُو مَاءً فِي رِكْوَةٍ لِي ، فَقَالَ : يَا عَمَّارُ ، مَا تَصْنَعُ ؟ قُلْتُ : يَا رَسُولَ اللَّهِ ، بِأَبِي وَأُمِّي ، أَغْسِلُ ثَوْبِي مِنْ نُخَامَةٍ أَصَابَتْهُ . فَقَالَ يَا عَمَّارُ ، إِنَّمَا يُغْسَلُ الثَّوْبُ مِنْ خَمْسٍ : مِنَ الْغَائِطِ ، وَالْبَوْلِ ، وَالْقَيْءِ ، وَالدَّمِ ، وَالْمَنِيِّ ، يَا عَمَّارُ ، مَا نُخَامَتُكَ وَدُمُوعُ عَيْنَيْكَ وَالْمَاءُ الَّذِي فِي رِكْوَتِكَ إِلَّا سَوَاءٌ
রাসূলুল্লাহ ﷺ আমার নিকট এলেন, তখন আমি একটি কূপ থেকে বালতি দিয়ে পানি তুলে আমার একটি পানির পাত্রে ভর্তি করছিলাম। তিনি জিজ্ঞেস করলেন, হে আম্মার! তুমি কি করছো? আমি বললাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমার পিতা-মাতা আপনার জন্য কোরবান হোক। আমি আমার পরিধেয় বস্ত্রে লেগে যাওয়া শ্লেষ্মা পরিষ্কার করছি। তিনি বলেন, হে আম্মার! পাঁচটি জিনিস থেকে কাপড় ধৌত করা প্রয়োজনঃ বিষ্ঠা, পেশাব, বমি, রক্ত ও বীর্য। হে আম্মার! তোমার নাকের শ্লেষ্মা, তোমার উভয় চোখের অশ্রু এবং তোমার এই পানির পাত্রের পানি একই সমান (পাক-নাপাকির হুকুমের ক্ষেত্রে)। (সুনানে দারাকুতনী ৪৫০)
والله اعلم بالصواب
উত্তর দিয়েছেন:
সিনিয়র মুহাদ্দিস, মাদরাসা দারুর রাশাদ, মিরপুর
খতীব, বাইতুল ফালাহ জামে মসজিদ, মিরপুর
মন্তব্য (0)
কোনো মন্তব্য নেই। প্রথম মন্তব্য করুন!
মন্তব্য করতে লগইন করুন