ছেলে-মেয়ে রাজি, কিন্তু অভিভাবক রাজি নয়; তাহলে গোপন-বিয়ের অনুমতি আছে কি?
প্রশ্নঃ ২৭৩০৬. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, বিয়ের বয়স হয়েছে। ছেলে মেয়েকে পছন্দ করে। মেয়ে ছেলেকে পছন্দ করে। কিন্তু যদি পরিবার সহজে মেনে না নেয় তাহলে ইসলামি শরিয়াহ মোতাবেক কী করা উচিত?
উত্তর
و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
দুইজন প্রাপ্তবয়স্ক অভিবাবকের সম্মতি ছাড়া যদিও বিয়ে করতে পারে, তবে বিবাহের ক্ষেত্রে অভিবাবক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। পারিবারিক শান্তি ও নিরাপত্তার ক্ষেত্রে এটা বিশেষ গুরুত্ব বহন করে। এজন্যই ইসলাম বিবাহের ক্ষেত্রে পাত্র-পাত্রীর মতামত ‘চূড়ান্ত’ হিসাবে সাব্যস্ত করলেও পাশাপাশি অভিভাবকের মতামতকেও সবিশেষ গুরুত্ব দিয়েছে। কেননা, যেমনিভাবে রাসুলুল্লাহ ﷺ বলেছেন,
لاَ تُنْكَحُ الأَيِّمُ حَتَّى تُسْتَأْمَرَ ، وَلاَ تُنْكَحُ البِكْرُ حَتَّى تُسْتَأْذَنَ
বিধবার বিয়ে তার পরামর্শ ছাড়া এবং কুমারী মেয়ের বিয়ে তার অনুমতি ছাড়া করানো যাবে না। (বুখারী ৫১৩৬)
অনুরূপভাবে তিনি অভিভাবকের উদ্দেশ্যে বলেছেন,
إِذَا خَطَبَ إِلَيْكُمْ مَنْ تَرْضَوْنَ دِينَهُ وَخُلُقَهُ فَزَوِّجُوهُ ، إِلَّا تَفْعَلُوا تَكُنْ فِتْنَةٌ فِي الْأَرْضِ وَفَسَادٌ عَرِيضٌ
তোমরা যে ছেলের দ্বীনাদারি ও চরিত্রের ব্যাপারে সন্তুষ্ট হতে পার সে যদি প্রস্তাব দেয় তাহলে তার কাছে বিয়ে দাও। যদি তা না কর তাহলে পৃথিবীতে মহা ফেতনা-ফাসাদ সৃষ্টি হবে। (তিরমিযী ১০৮৪)
সুতরাং আমাদের পরামর্শ একটাই- তাহল, যা করবেন পারিবারিকভাবেই করবেন। এক্ষেত্রে বুদ্ধিমত্তা ও শালীনতার সাথে চেষ্টা চালান। পাশাপাশি দোয়া করতে থাকুন। এরপরেও যদি পছন্দের স্থানে না হয় তাহলে একজন মুমিন হিসেবে এটাই বিশ্বাস করুন যে, এখানে আপনার জন্য কল্যাণ ছিল না। কেননা আল্লাহ তাআলা বলেন,
عَسَى أَن تُحِبُّواْ شَيْئًا وَهُوَ شَرٌّ لَّكُمْ وَاللّهُ يَعْلَمُ وَأَنتُمْ لاَ تَعْلَمُونَ
হয়তোবা কোন একটি বিষয় তোমাদের কাছে পছন্দনীয় অথচ তোমাদের জন্যে অকল্যাণকর। বস্তুতঃ আল্লাহই জানেন, তোমরা জান না। (সূরা বাকারা ২১৬)
والله اعلم بالصواب
উত্তর দাতা:
সিনিয়র মুহাদ্দিস, মাদরাসা দারুর রাশাদ, মিরপুর
খতীব, বাইতুল ফালাহ জামে মসজিদ, মিরপুর
মন্তব্য (0)
কোনো মন্তব্য নেই। প্রথম মন্তব্য করুন!
মন্তব্য করতে লগইন করুন