আপনার জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর

সকল মাসায়েল একত্রে দেখুন

প্রশ্নঃ ২২১০৮. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, আসসালামুয়ালাইকুম,জানাযার নামাজ মাকরুহ ওয়াক্ত পরলে জায়েজ হবে?

২৯ আগস্ট, ২০২২
হালুয়াঘাট - ফুলপুর সড়ক

উত্তর

و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته

بسم الله الرحمن الرحيم




সাধারণ অবস্থায় জানাযার ক্ষেত্রে বিলম্ব না করার কথা হাদীসে এসেছে। হযরত আবু হুরায়রা রা. বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন-

أَسْرِعُوا بِالْجِنَازَةِ، فَإِنْ تَكُ صَالِحَةً فَخَيْرٌ تُقَدِّمُونَهَا، وَإِنْ يَكُ سِوَى ذَلِكَ، فَشَرٌّ تَضَعُونَهُ عَنْ رِقَابِكُمْ

তোমরা জানাযাকে দ্রুত নিয়ে যাও। কেননা মৃত বক্তি যদি নেক লোক হয়, তাহলে কল্যাণের দিকেই তোমরা তাকে নিয়ে যাচ্ছ। আর যদি মন্দ হয় তাহলে সেক্ষেত্রে তোমাদের ঘাড় থেকে আপদ সরিয়ে দিচ্ছ। (সহীহ বুখারী, হাদীস ১৩১৫; সহীহ মুসলিম, হাদীস ৯৪৪)


অন্যদিকে আরেকটি হাদীসে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তিন সময়ে জানাযার নামায ও অন্যসব নামায পড়তে নিষেধ করেছেন।

হযরত উকবা বিন আমের রা. বলেন-

ثَلَاثُ سَاعَاتٍ كَانَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَنْهَانَا أَنْ نُصَلِّيَ فِيهِنَّ، أَوْ أَنْ نَقْبُرَ فِيهِنَّ مَوْتَانَا: حِينَ تَطْلُعُ الشَّمْسُ بَازِغَةً حَتّٰى تَرْتَفِعَ، وَحِينَ يَقُومُ قَائِمُ الظَّهِيرَةِ حَتّٰى تَمِيلَ الشَّمْسُ، وَحِينَ تَضَيَّفُ الشَّمْسُ لِلْغُرُوبِ حَتّٰى تَغْرُبَ

তিনটি সময় এমন রয়েছে, যাতে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের নামায পড়তে বা আমাদের মৃতদেরকে দাফন করতে (অর্থাৎ তাদের জানাযা পড়তে) নিষেধ করতেন।


১. সূর্য উদিত হওয়ার সময় থেকে (দুই বর্ষা পরিমাণ) উপরে ওঠা পর্যন্ত।


২. দ্বিপ্রহরে ছায়া যখন স্থীর থাকে তখন থেকে সূর্য মধ্যাকাশ থেকে হেলে যাওয়া পর্যন্ত।

৩. সূর্য অস্তমুখী হওয়া থেকে অস্ত যাওয়া পর্যন্ত। (সহীহ মুসলিম, হাদীস ৮৩১)

অতএব স্বাভাবিক অবস্থায় জানাযা বিলম্ব করবে না। তবে উক্ত নিষিদ্ধ সময়ের আগে জানাযা হাজির হলে ঐ সময় শেষ হওয়ার পর তা আদায় করবে। তবে যদি কোনো ক্ষেত্রে এমন হয় যে, বিলম্ব করলে লাশের ক্ষতি হওয়ার আশংকা থাকে বা অভিভাবক ও আত্মীয়দের বেশি সমস্যা হয়, কিংবা জানাযা এমন এলাকায় হয় যেখানে রাতে দাফন করতে অসুবিধা হয়, তাহলে এ ধরনের ওজরের কারণে নিষিদ্ধ সময়ে জানাযা আদায় করে নিতে পারবে।

-আলমাবসূত, সারাখসী ২/৬৮; বাদায়েউস সানায়ে ১/২২৯; খুলাসাতুল ফাতাওয়া ১/৬৭, ২২৩; ফাতহুল কাদীর ১/২০২; তাবয়ীনুল হাকায়েক ১/৩২৯; আলবাহরুর রায়েক ১/২৪৯; ফাতাওয়া হিন্দিয়া ১/৫২; ইলাউস সুনান ৮/৩৫৮ সূত্র: আল কাউসার

والله اعلم بالصواب

উত্তর দিয়েছেন:

মোহাম্মদ আমীর হোসাইন, মুফতি ও মুহাদ্দীস,
শাইখ আবু সাঈদ ইসলামিক রিসার্চ সেন্টার, মোহাম্মাদপুর।

মন্তব্য (0)

কোনো মন্তব্য নেই। প্রথম মন্তব্য করুন!

মন্তব্য করতে লগইন করুন