বাটি চালান দেওয়া কি জায়েজ?
প্রশ্নঃ ২১৬২৪. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, অনেকে কুরআন চালান দিয়ে চোর ধরে বা কেউ কালো জাদু করলে তার নাম খুঁজে বের করে। এই পদ্ধতি কি কি সঠিক?
উত্তর
و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
বাটি চালান ও কুরআন চালানের মত একটি ধারণাপ্রসুত মাধ্যমকে ইসলাম কখনই প্রমাণ হিসেবে সমথর্ন করে না। অপরাধ প্রমাণের ক্ষেত্রে ইসলামে রয়েছে কঠোর সতর্কতামূলক নীতিমালা। এ ধরনের মাধ্যমে চোর ধরার পদ্ধতি ইসলামের দৃষ্টিতে একটি অপ্রমানিত পদ্ধতি। আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কোরআনে বলেছেন, ‘যে বিষয়ে তোমার জ্ঞান নেই তার পেছনে পড়ো না। নিশ্চয় কান, চোখ ও অন্ত: করন, এ সবকিছুই জিজ্ঞাসিত হবে।’ সুরা বনী ইসরাইল, আয়াত:৩৬। আয়াতটির ব্যাখ্যায় মুফাসসিরগণ লিখেছেন, এখানে জ্ঞান দ্বারা প্রমাণনির্ভর জ্ঞান উদ্দেশ্য। আর বাটি চালান ও কুরআন চালানকে ইসলাম কোন ব্যক্তিকে দোষী সাব্যস্তা করার মাধ্যম হিসেবে ধর্তব্য করেনি। আল্লামা আশরাফ আলি থানভি রহ. লিখেছেন, যদি বাটি চালান কোন খারাপ কাজের উপসর্গ হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে থাকে, তাহলে তা নাজায়েজ হবে। যেমন, একে যদি চোর ধরার মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করা হয় তাহল তা জায়েজ হবে না। কারণ, এটি চোর ধরার কোন প্রামাণিক মাধ্যম নয়। উপরন্তু এটি মানুষের মনে অযথাই ভুল ধারণা সৃষ্টি করে। এমনকি একে কেন্দ্র করে শারীরিক নির্যাতন ও জোরপূর্বক স্বীকারোক্তি আদায়ের ঘটনাও ঘটে থাকে। তাই চোর ধরার ক্ষেত্রে এর ব্যবহার নাজায়েজ। তবে হ্যাঁ, যদি কোন ব্যক্তিকে দোষারোপ না করে শুধু হারানো বস্তু খুঁজে পাওয়ার ক্ষেত্রে একে ব্যবহার করা হয় তাহলে তা জায়েজ হবে। ইমদাদুল ফতোয়া, ভলিয়ম : ৪ পৃ :৮২।
এছাড়াও এ পদ্ধতি পবিত্র কুরআন অবমাননার শামিল, যা অত্যন্ত ঘৃণিত ও গর্হিত কাজ। এ কাজ থেকে বিরত থাকা উচিত।
والله اعلم بالصواب
উত্তর দাতা:
মুফতী ও মুহাদ্দিস, জামিয়া মুহাম্মাদিয়া আরবিয়া মোহাম্মদপুর
মন্তব্য (0)
কোনো মন্তব্য নেই। প্রথম মন্তব্য করুন!
মন্তব্য করতে লগইন করুন