প্রশ্নঃ ২১৩৩৩. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ,
আমি বিবাহ করতে চাই।বিবাহের মধ্যে সুন্নত অথবা বিবাহের প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত মাসয়ালা আমার জানা অতীব প্রয়োজন,তাই বিবাহের প্রস্তাব থেকে শুরু করে শেষ পর্যন্ত আমি জানতে চাই।ইকরামের সহিত জানাতে পারলে আমি খুবই উপকৃত হবো,জাযাকাল্লাহ খইরন।
উত্তর
و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
নিচের রেফারেন্স উত্তরগুলো দেখুন। মাসায়েল সেকশনে এজাতীয় আরও অনেক প্রশ্নের উত্তর পেয়ে যাবেন। সার্চ করে দেখে নিন। আরও বিস্তারিত জানতে দয়া করে সরাসরি বিজ্ঞ উলামায়ে কেরামের সাথে যোগাযোক করুন।
والله اعلم بالصواب
উত্তর দাতা:
বাইতুল কুরআন মাদারাসা , মোহাম্মাদপুর
রেফারেন্স উত্তর :
প্রশ্নঃ ১৩০৮২. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, আসসালামুয়ালাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ।মুহতারামবাবা মা যদি পাএী দেখার উদ্দেশ্য এ গাইরে মাহরাম দের সামনে যেতে বাধ্য করে কি করনীয়।আর বিয়ের জন্য দীনদারিতার চেয়ে অর্থ কে প্রাধান্য দেয় তবে কি করবো।নিজের ও ভালো দীনের বুজ আগে ছিলো না। দীনের বুজ আসার পরে তো দীনদারী তা কে বেশি করে গুরুত্ব দেই। যদি বলতেন বিষয় গুলো
উত্তর
و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
বিবাহের জন্য পাত্র পাত্রী উভয়পক্ষের সার্বিক অবস্থা সম্পর্কে খোঁজখবর নিয়ে সবকিছু পছন্দ হয়ে বিবাহের জন্য উভয় পক্ষ আগ্রহী, এমতাবস্থায় পাত্রীকে এক নজর দেখে নেওয়া সুন্নত। সব কিছুর আগেই পাত্রী দেখার বিষয়টি যেভাবে আমাদের সমাজে প্রচলিত তা নিতান্তই গর্হিত।
পাত্রী দেখার মাসআলা হল, পাত্রীকে বিবাহের জন্য পরিপূর্ণ পছন্দ হলে বিবাহের পূর্বে শুধুমাত্র ছেলে পাত্রীর চেহারা ও দু'হাতের কব্জি পর্যন্ত এক দৃষ্টি দেখে নিতে পারবে।
ছেলে পক্ষের আরো অন্যান্য আত্মীয়-স্বজন কুরবানির গরুর হাটের গরুর মত মেয়েকে দেখা লজ্জাস্কর।
বিবাহের পূর্বে পরিবারের লোকেরা ছেলে পক্ষের গাইরে মাহরামদের সম্মুখে মেয়েকে প্রদর্শন করতে চাইলে মেয়ে নিজের পরিবারের মুরুব্বিদেরকে মাসআলা বুঝিয়ে বলতে হবে এবং নিজেও নিজের ইজ্জত আব্রু ও পর্দা রক্ষা করার বিষয়ে জোরালো ভূমিকা রাখতে হবে ইনশাআল্লাহ আল্লাহ তায়ালা সাহায্য করবেন।
والله اعلم بالصواب
উত্তর দাতা:
মুফতী ও মুহাদ্দিস, জামিআ মুহাম্মাদিয়া আরাবিয়া, মোহাম্মদপুর
প্রশ্নঃ ৫১৯৬. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, নবীর সুন্নত তরিকায় বিয়ে করার নিয়ম কি?
উত্তর
و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
বিবাহের সুন্নাত সমূহ
১. মাসনূন বিবাহ সাদাসিধে ও অনাড়ম্বর হবে, যা অপচয়, অপব্যয়, বেপর্দা ও বিজাতীয় সংস্কৃতি, গান-বাদ্য, ভিডিও-অডিও মুক্ত হবে এবং তাতে যৌতুকের শর্ত বা সামর্থ্যের অধিক মহরানার শর্ত থাকবে না। (তাবরানী আউসাত, হাদীস নং- ৩৬১২)
২. সৎ ও খোদাভীরু পাত্র-পাত্রীর সন্ধান করে বিবাহের পয়গাম পাঠানো। কোন বাহানা বা সুযোগে পাত্রী দেখা সম্ভব হলে, দেখে নেয়া মুস্তাহাব। কিন্তু আনুষ্ঠানিকভাবে ঘটা করে পাত্রী দেখানোর যে প্রথা আমাদের সমাজে প্রচলিত, তা সুন্নাতের পরিপন্থী ও পরিত্যাজ্য। (ইমদাদুল ফাতাওয়া, ৪ : ২০০/ বুখারী হাদীস নং- ৫০৯০)
৩. শাওয়াল মাসে এবং জুমু‘আর দিনে মসজিদে বিবাহ সম্পাদন করা। উল্লেখ্য, সকল মাসের যে কোন দিন বিবাহ করা জায়েয আছে। (মুসলিম, হাদীস নং- ১৪২৩/ বাইহাকী, হাদীস নং- ১৪৬৯৯)
৪. বিবাহের খবর ব্যাপকভাবে প্রচার করে বিবাহ করা এবং বিবাহের পরে আকদ অনুষ্ঠানে উপস্থিত লোকদের মাঝে খেজুর বণ্টন করা। (বুখারী শরীফ, হাদীস নং- ৫১৪৭)
৫. সামর্থ্যানুযায়ী মহর ধার্য করা।(আবু দাউদ: হাদীস নং- ২১০৬)
৬. বাসর রাতে স্ত্রীর কপালের উপরের চুল হাতে নিয়ে এই দু‘আ পড়াঃ
اَللّهُمَّ إنِّيْ أسْألُكَ مِنْ خَيْرِهَا وَخَيْرِ مَا جَبَلْتَ عَلَيْهِ . وأعُوْذُ بِكَ مِنْ شَرِّهَا وَشَرِّ مَا جَبَلْتَ عَلَيْهِ.
(আবু দাউদ, হাদীস নং- ২১৬০)
৭. স্ত্রীর সঙ্গে প্রথমে অন্তরঙ্গতা সৃষ্টি করবে, তারপর যখনই সহবাস-এর ইচ্ছা হয়, তখন প্রথমে নিম্নোক্ত দু‘আ পড়ে নেবেঃ
بِسْمِ اللّهِ اَللَّهُمَّ جَنِّبْنَا الشَّيْطَانَ وَجَنِّبِ الشَّيْطانَ مَا رَزَقْتَنَا.
(মুসলিম, হাদীস নং- ১৪৩৪)
বি.দ্র. উপরোক্ত দু‘আ না পড়লে শয়তানের তাছীরে বাচ্চার উপর কু-প্রভাব পড়ে। অতঃপর সন্তান বড় হলে, তার মধ্যে ধীরে ধীরে তা প্রকাশ পেতে থাকে এবং বাচ্চা নাফরমান ও অবাধ্য হয়। সুতরাং পিতা-মাতাকে খুবই সতর্ক থাকা জরুরী।
৮. বাসর রাতের পর দু’হাতে আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধব, শুভাকাঙ্ক্ষী এবং গরীব-মিসকিনদের তাওফীক অনুযায়ী ওলীমা খাওয়ানোর আয়োজন করা। (মুসলিম, হাদীস নং- ১৪২৭)
বি.দ্র. (ক) কোন পক্ষ যেওরের শর্ত করা নিষেধ এবং ছেলের পক্ষ থেকে যৌতুক চাওয়া হারাম। (আহসানুল ফাতাওয়া, ৫ : ১৩)
(খ) কনের ইযন-এর জন্য সাক্ষীর কোন প্রয়োজন নাই। সুতরাং ছেলের পক্ষের লোক ইযন শুনতে যাওয়া অনর্থক এবং বেপর্দা। সুতরাং তা নিষেধ। মেয়ের কোন মাহরাম বিবাহের উকিল হওয়ার অনুমতি নিবে। (মুসলিম, হাদীস নং- ১৪২১)
(গ) শর্ত আরোপ করে বরযাত্রীর নামে বরের সাথে অধিক সংখ্যক লোকজন নিয়ে যাওয়া এবং কনের বাড়ীতে মেহমান হয়ে কনের পিতার উপর বোঝা সৃষ্টি করা আজকের সমাজের একটি জঘন্য কু-প্রথা, যা সম্পূর্ণরূপে পরিত্যাগ করা আবশ্যক। (মুসনাদে আহমদ, হাদীস নং- ২০৭২২/ বুখারী হাদীস নং- ২৬৯৭)
(ঘ) ওলীমায় অতিরিক্ত ব্যয় করা কিংবা খুব উঁচু মানের খানার ব্যবস্থা করা জরুরী নয়। বরং সামর্থ্যানুযায়ী খরচ করাই সুন্নাত আদায়ের জন্য যথেষ্ট। যে ওলীমায় শুধু ধনী ও দুনিয়াদার লোকদের দাওয়াত করা হয়, দীনদার ও গরীব-মিসকিনদের দাওয়াত করা হয় না, সে ওলীমাকে হাদীসে নিকৃষ্টতম ওলীমা বলে আখ্যায়িত করা হয়েছে। সুতরাং এ ধরনের নিকৃষ্ট ওলীমার আয়োজন থেকে বিরত থাকা উচিত।(আবু দাউদ, হাদীস নং- ৩৭৫৪)
(ঙ) ওলীমার মজলিসে হাদিয়া লেন-দেন ঠিক নয়। কেউ হাদিয়া দিতে চাইলে নিজের সুযোগ মত পাঠিয়ে দিবে, প্রচার করবে না। গোপনে দিবে, এটাই হাদিয়ার সুন্নাত।
والله اعلم بالصواب
উত্তর দাতা:
মন্তব্য (0)
কোনো মন্তব্য নেই। প্রথম মন্তব্য করুন!
মন্তব্য করতে লগইন করুন