কোচিংয়ের কারণে নামাজ বিলম্ব
প্রশ্নঃ ১৮৬০৮. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন তাই আশা করছি সম্পূর্ণ ভালো করে উত্তর দেবেন। আমি ভারত এ থাকি আমি এক ক্লাস ১০ এর ছাত্র আমি জানতে চাই ভারত এর মত সেক্যুলার দেশ এ দৃষ্টি সংযত রাখা খুবই কঠিন এবং বিশেষ করে ছাত্র দের জন্য কারণ প্রায় সব জায়গায় নারী আর নারী আমি কিভাবে দৃষ্টি সংযত রাখবো বুঝতে পারছি না আল্লাহর কসম আমি চাই না এই ছেলে মেয়েদের একসাথে মেলামেশায় থাকতে কিন্তু সব জায়গায় প্রায় এক অবস্থা আমি কি করবো খুব হতাশ হয়ে যাচ্ছি আমি ঘরে অথবা কাউকে বলতে ও পারি না কারণ তারা আমাকে উল্টে জিনা এর দিকে উৎসাহিত করবে তাদের কাছে এইসব কিছু ই না দয়া করে আমাকে কিছু বলুন কি করবো এই পরিস্থিতি তে । আর একটা বিষয় আমি পড়াশোনা করি তার জন্য হয়তো নামাজ কাজা হয়ে যাবে অথবা কোনো কোনো সময় ঈশা এর নামাজ জামাত এর পড়তে পারবো না তাই আমি নামাজ কাজ হওয়ার চেয়ে ভালো ঈশার এর নামাজ কোনো কোনো সময় ঘরে পড়ি কিন্তু এটা তো মুনাফিক এর লক্ষণ আমাকে নিজেকে মুনাফিক মনে হয় মনে হয় ঘর বাড়ি সব ছেড়ে হিজরত করে চলে যায়।।।। আশা করছি ভালো করে উত্তর দেবেন কারণ ৭ দিন আমি আর প্রশ্ন করতে পারবো।। আমার জন্য দুআ করবেন
উত্তর
و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
১. নিচের রেফারেন্স উত্তরটি দেখুন।
২. কোচিং বা পড়ার সময় পরিবর্ত করে নিন।কেননা হাদীস শরীফে এসেছেঃ
عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ " صَلاَةُ الرَّجُلِ فِي بَيْتِهِ بِصَلاَةٍ وَصَلاَتُهُ فِي مَسْجِدِ الْقَبَائِلِ بِخَمْسٍ وَعِشْرِينَ صَلاَةً وَصَلاَتُهُ فِي الْمَسْجِدِ الَّذِي يُجَمَّعُ فِيهِ بِخَمْسِمِائَةِ صَلاَةٍ وَصَلاَةٌ فِي الْمَسْجِدِ الأَقْصَى بِخَمْسِينَ أَلْفِ صَلاَةٍ وَصَلاَةٌ فِي مَسْجِدِي بِخَمْسِينَ أَلْفِ صَلاَةٍ وَصَلاَةٌ فِي الْمَسْجِدِ الْحَرَامِ بِمِائَةِ أَلْفِ صَلاَةٍ " .
আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ কেউ যদি তার ঘরে সলাত আদায় করে, তাহলে তার এ সলাত এক সলাতের সমান। আর যদি সে এলাকার পাঞ্জেগানা মাসজিদে সলাত আদায় করে তাহলে তার এই সলাত পঁচিশ সলাতের সমান। আর সে যদি জুমু‘আহ্ মাসজিদে সলাত আদায় করে তাহলে তার সলাত পাঁচশত সলাতের সমান। সে যদি মাসজিদে আক্বসা (আকসা) অর্থাৎ- বায়তুল মাক্বদিসে সলাত আদায় করে, তার এ সলাত পঞ্চাশ হাজার সলাতের সমান। আর যদি আমার মাসজিদে (মাসজিদে নাবাবী) সলাত আদায় করে তার এ সলাত পঞ্চাশ হাজার সলাতের সমান। আর সে যদি মাসজিদুল হারামে সলাত (সালাত/নামায/নামাজ) আদায় করে তবে তার সলাত এক লাখ সলাতের সমান।
কাজেই যথাসাথ্য জামাতে নামাজ আদায়ের এহতেমাম করুন। একান্ত না পারলে ওয়াক্তের ভেতরে একাকী হলেও আদায় করে নিন। আর আল্লাহ তায়ালার কাছে দোয়া করতে থাকুন। যেন তিনি জামাতে নামাজ আদায়ের উত্তম ব্যবস্থা করে দেন।
والله اعلم بالصواب
উত্তর দিয়েছেন:
বাইতুল কুরআন মাদারাসা , মোহাম্মাদপুর
রেফারেন্স উত্তর :
প্রশ্নঃ ৮৫৩৯. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, হুযুর, দেশের প্রায় সব পাবলিক ইউনিভার্সিটিতেই ছেলে মেয়েদের একসাথে পড়ানো হয়,আমার জন্য ভার্সিটিতে যাওয়া কি হারাম হবে?
উত্তর
و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
শরীয়তে যেসব বিষয় সুস্পষ্ট হারাম, সেগুলোকে হারাম বলতে দ্বিধা করাও হারাম। প্রাপ্তবয়স্ক নারী-পুরুষ গায়রে মাহরামদের মাঝে পর্দাহীন ভাবে সহাবস্থান করা, শরীয়তের ফরজ বিধান পর্দা লঙ্ঘন করা সুস্পষ্ট হারাম।
আল্লাহ তাআলা নারী-পুরুষের গঠন, মনন, চাহিদা ভিন্ন করেছেন। উভয়ের কর্মক্ষেত্র আলাদা করেছেন। যোগ্যতাও ভিন্ন দিয়েছেন। তা সত্ত্বেও নারী-পুরুষের সহশিক্ষার উদ্দেশ্য কী? চরিত্রহীন করে গড়ে তোলা ছাড়া আর কী?
সুতরাং সহশিক্ষার এই পাঠ্যক্রমে পড়াশোনা করা জায়েয নয়।
উল্লেখ্য, আধুনিক বিশ্বের গতি থেকে বিচ্যুত হয়ে থাকার সুযোগ নেই। রাষ্ট্র ও সমাজের স্বার্থে উচ্চ শিক্ষার বিকল্প নেই। শরীয়ত সম্মতভাবে জাগতিক উচ্চশিক্ষার সুষ্ঠু সুন্দর ব্যবস্থা হওয়ার আগ পর্যন্ত ভার্সিটিতে পড়াশোনা করুন। যথাসম্ভব দৃষ্টি অবনত রাখুন। আল্লাহ তাআলার কাছে অনাকাঙ্খিত এই গুনাহের জন্য তাওবাহ-ইস্তিগফার করতে থাকুন। দোয়া করতে থাকুন, আল্লাহ্ তা'আলা যেন সুন্দর পরিবেশ করে দেন। সেই মর্মে চেষ্টা ও ফিকির করতে থাকুন।
والله اعلم بالصواب
উত্তর দিয়েছেন:
মুফতী ও মুহাদ্দিস, জামিআ মুহাম্মাদিয়া আরাবিয়া, মোহাম্মদপুর
মন্তব্য (0)
কোনো মন্তব্য নেই। প্রথম মন্তব্য করুন!
মন্তব্য করতে লগইন করুন