ফিতনার অযুহাতে সাহু সেজদা ছেড়ে দেওয়া
প্রশ্নঃ ১৭২. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, মুহতারাম! আমি ঢাকার একটি বড় মসজিদে তারাবীহ পড়াই। এবার রমযানের ২৭ তারিখে তারাবীর নামাযের প্রথম রাকাতে সূরা ফাতিহার তিন-চার আয়াত মনে মনে পড়ি, এরপর স্মরণ হলে উচ্চস্বরে সূরা ফাতিহা শুরু থেকে পড়ি। সেদিন মসজিদে ৩-৪ হাজার মুসল্লী ছিল। অনেক বড় জামাত ফেতনা হতে পারে- একথা ভেবে সাহু সিজদা দিইনি। মুহতারামের নিকট জানার বিষয় হচ্ছে, আমার এই কাজটি কি ঠিক হয়েছে? জুমা ও ঈদের নামাযের মত তারাবীর জামাত বড় হলে সাহু সিজদা ছেড়ে দেওয়ার সুযোগ আছে কি না?
উত্তর
و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
নামাযে সাহু সিজদা ওয়াজিব হলে তা দিয়ে দেওয়াই কর্তব্য। আর সাহু সিজদা দিলে ফেতনা হবে- এ কথা সবসময় ঠিক নয়। কারণ সাহু সিজদার বিধান প্রায় সব মুসল্লী জানে। তবে জুমা ও ঈদের জামাতসহ অন্য কোনো নামাযের বড় জামাতে সাহু সিজদা দেওয়ার কারণে মুসল্লীদের মাঝে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হওয়ার আশংকা থাকলে সেক্ষেত্রে সাহু সিজদা না দেওয়ার সুযোগ রয়েছে। অতএব প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রেও বিভ্রান্তির আশংকা হলে আপনার সাহু সিজদা না দেওয়াটা ঠিক আছে।
উল্লেখ্য, বর্তমানে মাইকের ব্যবস্থা থাকায় সাহু সিজদার কারণে মুসল্লীদের বিভ্রান্তি হওয়ার আশংকা কম। তাই এ ধরনের ক্ষেত্রেও সাহু সিজদা করে নেওয়াই উচিত।
والله اعلم بالصواب
উত্তর দাতা:
মন্তব্য (0)
কোনো মন্তব্য নেই। প্রথম মন্তব্য করুন!
মন্তব্য করতে লগইন করুন