প্রশ্নঃ ১৬৭৩৪. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ,
রমাদান মাসে একটি নফল আদায় করলে, অন্য মাসে ফরজ আদায়ের মত নেকী লাভ হয়। তবে কি রমাদান মাসে বিবাহ করার দ্বারা অন্য মাসের তুলনায় বেশী নেকী লাভ হবে? কিন্তু কেউ কেউ বলেন শাওয়াল মাসে বিবাহ করার ফজিলত বেশী।
বিষয়টি পরিষ্কার করে জানালে উপকৃত হই।
উত্তর
و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
বছরের যেকোনো মাসে, যেকোনো দিনে এবং যেকোনো সময়ে বিবাহের কার্য সম্পাদন করা জায়েয রয়েছে।(সহীহ মুসলিম-১৪২৩,সুনানু বায়হাক্বী-১৪৬৯৯, ফাতহুল ক্বাদির-৩/১৮৯)
ইসলামপূর্ব যুগের কোনো কোনো লোকের এই ধারণা ছিল যে, শাওয়াল মাসে বিবাহ-শাদির অনুষ্ঠান অশুভ ও অকল্যাণকর। উম্মুল মুমিনীন হযরত আয়েশা সিদ্দীকা রা. এই ভিত্তিহীন ধারণাকে এই বলে খন্ডন করেছেন যে- ‘‘রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে শাওয়াল মাসেই বিবাহ করেছেন এবং শাওয়াল মাসেই বিবাহ-রজনী উদযাপন করেছেন। অথচ তাঁর অনুগ্রহ লাভে আমার চেয়ে অধিক সৌভাগ্যবতী স্ত্রী আর কে আছে? - (সহীহ মুসলিম, হাদীস : ১৪২৩) সেই হিসেবে শাওয়াল মাসে বিয়ে করা মুস্তাহাব। জুমার দিনে মসজিদে বিবাহের আকদ সম্পাদন করা সুন্নত।
রমজান মাসে বিবাহ করতে কোনো বাধা নেই। পুরোপুরিই জায়েজ। এমনকি উত্তম-অনুত্তমেরও কিছু নেই। তবে এর কারণে নবদম্পতির ব্যক্তিগত আমলে অনেক সমস্যা হতে পারে। একারণেই ওলামায়ে কেরাম রমজানে বিবাহ করতে নিরুৎসাহিত করেন।
والله اعلم بالصواب
উত্তর দাতা:
বাইতুল কুরআন মাদারাসা , মোহাম্মাদপুর
মন্তব্য (0)
কোনো মন্তব্য নেই। প্রথম মন্তব্য করুন!
মন্তব্য করতে লগইন করুন