আপনার জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর

সকল মাসায়েল একত্রে দেখুন

শিশুর নামাজেরও এহতেমমা করা উচিত

প্রশ্নঃ ১৩৮৬৯. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, আমার প্রশ্ন হল আমার ছেলের বয়স দশ বছর হয়েছে। সে নামায পড়ে ছোট থেকেই। কিন্তু আসরের নামাজ তার সমস্যা। তিনটায় কোচিংয়ে যায়। ফিরে আসে তখন আসরের ওয়াক্ত থাকেনা। মাগরিবের নামাজ এর আজান হয়ে যায়। কোচিং যাওয়ার সময় তিনটা বা সোয়া তিনটার দিকে আসরের নামাজ পড়া যাবে কি?

২৬ আগস্ট, ২০২৪
শিবগঞ্জ ৬৩৪০

উত্তর

و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته

بسم الله الرحمن الرحيم


মোহতারাম, আপনার সন্তানের প্রতি যদিও নামাযের ফরজ বিধান এখন আরোপিত হয়নি, তবুও সন্তানকে শৈশব থেকেই নামাযের প্রতি মনযোগী করে গরে তুলছেন এটা অত্যন্ত প্রশংসনীয় একটি বিষয়। (মহান আল্লাহ তায়ালা পানার পরিবারকে দুনিয়া ও আখেরাতের সমূহ কল্যাণ দান করুণ )

তবে এক্ষেত্রে মূল মাসয়ালা হলো ,মহান আল্লাহ প্রতিটি নামাজকে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য ফরজ করেছেন। তাই সেই নির্দিষ্ট সময় হলেই তা আদায় করতে হবে।

পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, اِنَّ الصَّلٰوۃَ کَانَتۡ عَلَی الۡمُؤۡمِنِیۡنَ کِتٰبًا مَّوۡقُوۡتًا ‘নিশ্চয়ই নামাজ মুসলমানদের ওপর নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ফরজ।’ (সুরা নিসা : ১০৩)।

আবু আমর শায়বানী (রহ.) হতে বর্ণিত। তিনি ‘আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.)-এর বাড়ির দিকে ইঙ্গিত করে বলেন, এ বাড়ির মালিক আমাদের নিকট বর্ণনা করেছেন, ‘আমি আল্লাহর রাসুল (সা.)-কে জিজ্ঞেস করলাম, কোন আমল আল্লাহর কাছে অধিক প্রিয়?

তিনি বললেন, ‘যথাসময়ে সালাত আদায় করা। ইবনে মাসউদ (রা.) পুনরায় জিজ্ঞেস করলেন, অতঃপর কোনটি?

তিনি বলেন, অতঃপর পিতা-মাতার প্রতি সদ্ব্যবহার। ইবনে মাসউদ (রা.) আবার জিজ্ঞেস করলেন, অতঃপর কোনটি? আল্লাহর রাসুল (সা.) বললেন, অতঃপর আল্লাহর পথে জিহাদ করা। ইবনে মাসউদ (রা.) বলেন, এগুলো তো আল্লাহর রাসুল (সা.) আমাকে বলেছেনই, যদি আমি আরো অধিক জানতে চাইতাম, তাহলে তিনি আরো বলতেন। (বুখারি, হাদিস : ৫২৭)

তাই ভ্রমণে বের হওয়ার ক্ষেত্রে বা
অন্ন কোন কাজে লিপ্ত হওয়ার পূর্বে নামাজের সময় বিবেচনা করে বের হওয়া উচিত। অন্যথায় গাড়ি থামিয়ে পথে কোথাও অথবা কুচিং বা কাজের ফাঁকে সময় করে নামায পড়ে নেওয়া আবশ্যক। যদি আপ্রাণ চেষ্টার পরও এ দুটির একটিও সম্ভব না হয়, তবে কাজা করে নিতে হবে।কিন্তু সময় হওয়ার আগে নামাজ পড়ার কোনো অবকাশ নেই।

( তাই নামাযের নির্ধারিত সময়সূচির উপর সবসময় খেয়াল রাখা উচিৎ )

والله اعلم بالصواب

মুসলিম বাংলা ফাতওয়া বিভাগ

মন্তব্য (0)

কোনো মন্তব্য নেই। প্রথম মন্তব্য করুন!

মন্তব্য করতে লগইন করুন

এ সম্পর্কিত আরও জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর

#২০৬৪৭
আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ,
আমি উচ্চতর পড়াশোনা তাগিদে বর্তমানে ডর্টমুন্ড, জার্মানিতে বসবাস করতেছি। পড়াশোনা পাশাপাশি পার্ট্ট-টাইম চাকুরীর জন্য প্রচুর ব্যস্ততায় সময় অতিবাহিত হয়। মসজিদ দূরে হওয়ায় জুম্মা ছাড়া জামাতে শরিক হওয়া সম্ভব হয় না।

আমি বাংলাদেশ এ থাকতে হানাফি মাজহাব অনুসারী ছিলাম, ১) এখন ব্যস্ততার জন্য আসর নামায হানাফি মাজহাব এর ওয়াক্তের আগেই পরে ফেলা হয় অথবা দিন অনেক বড় হওয়ায়, বাহিরে বের হবার আগে অন্য মাজহাব অনুসারে আসর পরে বের হই কারন বাহিরে বের হইলে নামায না পরার আসংখা থাকে। আমার পাশের অধিকাংশ মানুষ এবং মসজিদে আসর নামায অন্যমাজহাব অনুসরণ করে। এক্ষেত্রে আমার নামায পরার সময় কি গ্রহনযোগ্য হবে?

২) সুবাহ সাদিক এর সময় নির্ধারণ এ এক এক এপ্স এক এক সময় নির্ধারণ করা নিয়ে বিপাকে আছি।
এই এপ্স সাথে (মুসলিম প্রো) ইংলিশ এপ্স এ ফজর শুরু আনুমানিক ৩ টা থেকে, কিন্তু অন্য একটি এপ্স এ ফজর শুরু ২ টা থেকে।
আবার (মুসলিমস ডে) বাংলা একটি এপ্স এতোদিন অনুসরণ করতাম এডবিহিন এর জন্য, অইটার ফজর শুরু ৪ টা থেকে। দুইটাই "ওয়ার্ড মুসলিম লিগ" এ ফিল্টার দেয়া।
(মুসলিমস ডে) বাংলা অইটার এশা শুরু রাত ১২ঃ৪০ যেখানে (মুসলিম প্রো) সহ এই এপ্স এ ১২ টার আগে।
ভিন্নতার কারন সম্পর্কে বিস্তারিত জানা দরকার, আমার পরিচিত অনেকেই এটা নিয়ে বিপাকে আছে।

জাজাকাল্লাহ খাইরান।
question and answer iconউত্তর দিয়েছেন: মুফতী সিরাজুল ইসলাম
২৫ জুলাই, ২০২২
Mulheim an der Ruhr, Mulheim an der Ruhr, North Rhine-Westphalia, Germany