প্রশ্নঃ ১৩২৭১. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, আসসালামুয়ালাইকুম,
আমার একটা মেয়ের সাথে সম্পর্ক ছিলো ৬ মাসের আমরা দুইজনই দুইজনকে ভালোবাসতাম। পরে একদিন মনে হলো এইটাতো হারাম কাজ পরে আমি আমার পরিবারকে মেয়েটির বিষয়ে জানাই । কিন্তু আমার পরিবার মেয়েটিকে গ্রহণ করবে না বলে দিছে আমার মা বাবা ও রাজি না কারন আমি আমার মা বাবার এক মাএ সন্তান তারা তাদের পছন্দ মতো মেয়ের সাথে বিয়ে দিবে। পরে আমি মেয়েটিকে অনেক ভাবে বোঝানর চেস্তা করছি কিন্তু মেয়েটা আমাকে অনেক ভালবাসে সে কিছুই বুজতে চায় না। সে শুধু বলে আপনি আমার বিশাস ভাংলেন। আর আমি ও আমার মা বাবাকে কস্ত দিতে চাই না। কিন্তু মেয়েটা আমার জন্ন্যে কাদে। আর আমি, ও মা কে রাজি করাতে পারছি না। এখন আমি কি করবো ?
উত্তর
و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
আপনার প্রশ্নের উত্তর জানতে নিচের রেফারেন্স উত্তরটি দেখুন।
والله اعلم بالصواب
উত্তর দাতা:
বাইতুল কুরআন মাদারাসা , মোহাম্মাদপুর
রেফারেন্স উত্তর :
প্রশ্নঃ ১১৯৯৫. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, যদি বাবা মা বিয়ে দিতে না চায় তবে হারাম থেকে বেঁচে থাকতে নিজেরা বিয়ে করা যায়? এই ব্যাপারে মাসাইল কি? যদি বলতেন।
উত্তর
و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
প্রিয় প্রশ্নকারী!
বিবাহ একটি মহৎ ইবাদত। এটা নিছক সামাজিক কোনো রীতিনীতি নয়। নয় কোনো ছেলে খেলাও। যেখানে আমরা জীবনের নূন্যতম বিষয়েও পরিবারের সাথে আলোচনা করে থাকে সেখানে বিবাহের ন্যায় গুরুত্বপূর্ণ, গুরুগম্ভীর ও দূরদৃষ্টি সম্পৃক্ত স্পর্শকাতর বিষয়ে কিভাবে পরিবারকে না জানিয়ে করার চিন্তা করি বিষয়টি আমাদের ভাবিয়ে তুলছে।
পরিবারের মুরুব্বিদের না জানিয়ে/পালিয়ে বিয়ে করা শরীয়তের নীতি-আদর্শের সম্পূর্ণ খেলাফ। কেননা এখানে আবেগের চেয়ে বাস্তবতা, অভিজ্ঞতা এবং বর-কনের কাফায়াত (বিবাহ প্রত্যাশীদের সমতা) এর পরিমাণ বেশী। এগুলোতে একটি ভুল সিদ্ধান্ত জীবন থেকে ‘‘জীবন’’কে বের করে দিতে পারে।
তাছাড়া পরিবারের লোকজন বিশেষত পিতামাতা কখনোই সন্তানের অমঙ্গল চায় না। সন্তানের মঙ্গল এবং পারিপার্শ্বিকতার কথা চিন্তা করেই অনেক সময় পরিবার ছেলেমেয়েদের পছন্দ মতে এবং তাদের প্রত্যাশিত সময়ে বিবাহ দেন না।
আরেকটি বিষয় যা না বললেই নয়। তাহলো আমাদের অভিজ্ঞতায় বলে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই যারা bf/gf বা এজাতীয় কোনো সম্পর্কে জড়িত পড়ে তাদেরই এজাতীয় বিষয়ের সম্মুখীন হতে হয়। অথচ নারীপুরুষের বিবাহপূর্ব যেকোনো সম্পর্ককে শরীয়ত কঠোরভাবে নিষেধ করেছে। একারণেই পর্দার বিধান দিয়েছে। কিন্তু আফসোসের বিষয় হলো, মানুষ হারাম সম্পর্ককে ভালোবাসার ছদ্মাবরণে আপন করে নিয়েছে। এর ফলে যেমনিভাবে ধ্বংস হচ্ছে ব্যক্তিজীবন তেমনি পরিবার, সমাজ ধ্বংস হচ্ছে। ধ্বংস হচ্ছে হারাম সম্পর্কের সূচনার মধ্য দিয়ে আসা (যদিও বিয়ে করে বৈধ পদ্ধতিতেই সন্তান গ্রহন করা হয়) আমাদের কোমলমতি সন্তানগুলোও। বাবা মায়ের অবৈধ সম্পর্কে কুপ্রভাব থেকে সন্তানরাও মুক্ত থাকে না। আল্লাহ তায়ালা আমাদের হেফাজত করুন। এর ভয়াবহা উপলব্ধি করার তাওফিক দান করুন। আমিন।
কাজেই আবেগ তাড়িত না হয়ে আবেগ কন্ট্রোল করে শরীয়তসম্মত পন্থায় পারিবারের পরামর্শক্রমে বিষয়গুলোর সুরাহা করা আবশ্যক। আল্লাহ তায়ালা আমাদের সবাইকে দীনের সহিহ বুঝ ও সুভবুদ্ধি দান করুন।
والله اعلم بالصواب
উত্তর দাতা:
বাইতুল কুরআন মাদারাসা, মোহাম্মাদপুর, ঢাকা।
মন্তব্য (0)
কোনো মন্তব্য নেই। প্রথম মন্তব্য করুন!
মন্তব্য করতে লগইন করুন