আপনার জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর

সকল মাসায়েল একত্রে দেখুন

প্রশ্নঃ ১২৫৯৮. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, শাইখ আমার ২টি প্রশ্ন ছিল। উত্তর দিলে অনেক কৃতজ্ঞ হব..! ১. জুম্মা মোবারক বলা কি বিদাত..?২. আমরা নব হিদায়াত পাওয়ার পর দেখছি, আমাদের আশেপাশে চারিদিকেই শুধু ফিতনা আর ফিতনা।যদিও হিদায়েত পাওয়ার আগে এগুলো সবই স্বাভাবিক মনে হতো। আমি শুনেছি গায়রে মাহরাম পুরুষদের চোখে চোখ রেখে কথা বললে গুনাহ হয়। আমারা যারা জেনারেল লাইনে পড়াশুনা করি তাদের সর্বদাই স্কুল, কলেজে গায়রে মাহরম শিক্ষকদের সাথে পড়াবিষয়ক কথা বলার প্রয়োজনে চোখে চোখ রেখে কথা বলতে হয়। সম্প্রতি H.S.C পরিক্ষা দিয়েছি। এখন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার জন্য নিজেকে প্রস্তুত করছি। কিন্তু এইযে গায়রে মাহরমের বিষয় ও আরও নামারকম বিষয় গুলো যা ফিতনার সাথে সম্পর্কিত আমাকে দারুণভাবে ভাবাচ্ছে। যদিও আমি শিক্ষা অর্জন করে এর আলোকে ইসলামেরই খিদমত করতে চাই, আমাকে দয়া করে কিছু পরামর্শ দিলে খুব উপকৃত হব..!! অগ্রিম ধন্যবাদ। আল্লাহ আপনাকে নেক প্রতিদান দান করুক।

১৪ জানুয়ারী, ২০২২
Shiruail

উত্তর

و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته

بسم الله الرحمن الرحيم





উত্তর-১ রেফারেন্স উত্তর 8036

উত্তর-২
ক. ইসলামে শিক্ষার গুরুত্ব অপরিসীম। আল্লাহ তায়ালা পৃথিবীর প্রথম মানব হযরত আদম আ. কে সকল জ্ঞান শিক্ষা দিয়েছেন। দুনিয়াতে চলতে গেলে তার জন্য প্রয়োজনীয় বিদ্যা শিক্ষা করা অপরিহায্য। তাছাড়া মুমিনের সকল কর্মই নিয়তের ওপর নির্ভলশীল। কাজেই কেউ যদি মানব কল্যাণের উদ্দেশ্যে এবং আল্লাহর সন্তুষ্টির লক্ষ্যে জাগতিক শিক্ষা হাসিল করে তাহলে সেটাও ইবাদাত হিসেবে গণ্য হবে। সুতরাং যদি কারও সুযোগ থাকে এবং নিজের দ্বিন-ইমান হেফাজত করে জাগতিক শিক্ষা হাসিল করতে সক্ষম হয় তাহলে তার জন্য সেই পথে সাধনা করা উচিত।

খ. জেনারেল লাইনের উচ্চশিক্ষা ইসলাম কখনই অনুৎসাহিত করেনি। বরং দেশ ও জাতির কল্যাণে এবং দ্বীনের খিদমতে উচ্চশিক্ষা অবশ্যই গ্রহণ করতে হবে। তার জন্য চাই সুষ্ঠু সুন্দর ইসলামী পরিবেশ। যেখানে নারী-পুরুষদের জন্য থাকবে সম্পূর্ণ আলাদা ব্যবস্থাপনা।

আপাতত যতদিন নারী-পুরুষের পৃথক ব্যবস্থাপনার পরিবেশ না পাওয়া যাচ্ছে ততদিন শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে যান। দৃষ্টি অবনত রাখুন। আর আল্লাহ তাআলার কাছে ইস্তিগফার করতে থাকুন। আল্লাহ তায়ালার কাছে দোয়া করতে থাকুন, তিনি যেন ইসলামী পরিবেশ কায়েম করার তৌফিক নসীব করেন। কেননা আদর্শ ও ইসলামী সমাজ বিনির্মাণে যেভাবে আমাদের যোগ্য আলেম দরকার তেমনিভাবে দরকার সৎ, যোগ্য, দ্বিনদার, আল্লাহভীরু সরকারী আমলা, অফিসার, ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার। আমরা আশাবাদী আপনি তার একটি শূণ্যতা হলেও পুরণ করবেন।

والله اعلم بالصواب

মুফতি সাইদুজ্জামান কাসেমি বাইতুল কুরআন মাদারাসা , মোহাম্মাদপুর

মন্তব্য (0)

কোনো মন্তব্য নেই। প্রথম মন্তব্য করুন!

মন্তব্য করতে লগইন করুন

এ সম্পর্কিত আরও জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর

#৬৯০৯
আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, এই হাদিসের ব্যাখ্যা জানতে চাচ্ছি

গ্রন্থঃ সহীহ মুসলিম (ইসলামিক ফাউন্ডেশন) | অধ্যায়ঃ ৫৫/ ফিতনা সমূহ ও কিয়ামতের নিদর্শনাবলী (كتاب الفتن وأشراط الساعة) | হাদিস নাম্বারঃ ৭১৪২

২৩. কিয়ামত নিকটবর্তী হওয়া

৭১৪২। আবূ বকর ইবনু আবূ শায়বা (রহঃ) ... আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা এক ব্যক্তি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে জিজ্ঞেস করলেন, কিয়ামত কবে হবে? তখন তাঁর নিকট মুহাম্মাদ নামক এক আনসারী বালক উপিস্থিত ছিল। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ এ বালক যদি বেঁচে থাকে তবে সে বৃদ্ধ হওয়ার পূর্বেই কিয়ামত সংগঠিত হয়ে যাবে।

গ্রন্থঃ সহীহ মুসলিম (হাদীস একাডেমী) | অধ্যায়ঃ ৫৪। বিভিন্ন ফিতনাহ ও কিয়ামতের লক্ষনসমূহ (كتاب الفتن وأشراط الساعة) | হাদিস নাম্বারঃ ৭৩০০  (২৯৫৩)

২৭. কিয়ামত সন্নিকটবর্তী

৭৩০০-(১৩৭/২৯৫৩) আবূ বাকর ইবনু আবু শাইবাহ্ (রহঃ) ..... আনাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। একদিন এক লোক রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে প্রশ্ন করলেন, কিয়ামত কবে সংঘটিত হবে? তখন তার কাছে মুহাম্মাদ নামে এক আনসারী বালক উপস্থিত ছিল। রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, এ বালক যদি জীবিত থাকে তবে সে বৃদ্ধ হওয়ার আগেই কিয়ামত সংঘটিত হয়ে হবে। (ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৭১৪২, ইসলামিক সেন্টার ৭১৯৪)
question and answer iconউত্তর দিয়েছেন: মুসলিম বাংলা ইফতা বিভাগ
২৯ নভেম্বর, ২০২২
ঢাকা ১২০৯