রাতে সুরা মুলুক এবং সুরা সেজদা পড়ার ফজিলত
প্রশ্নঃ ১২২৪৯. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, প্রতি রাত্রে এশার নামাজের পর সুরা সাজাদাহ পড়ার ফজিলত কী? এবং সুরা সাজাদাহ-র সিজদার আয়াত পড়ার পর সিজদা দেওয়ার নিয়ম কী?
উত্তর
و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
হাদিস শরিফে আছে
عن جابر بن عبدالله رضي الله عنه قال: [كَانَ لا يَنامُ حتى يقرأَ الم تَنْزِيلُ السَّجْدَةُ، و تَبارَكَ الذي بيدِهِ الملكُ]
রাসূলুল্লাহ সা. সুরা মুলক এবং আলিফ লাম মি সাজদা না পাঠ করে ঘুমাতে না ।
সূরা অলিফ লাম মীম সাজদায় মানুষের মৃত্যু, পুনরুত্থান, কেয়ামত , সর্বশক্তিমান আল্লাহ তায়ালার বিচার এবং পরকালের হিসাবনিকাশ সম্পর্কে আলোকপাত করা হয়েছে। এই সুরা পড়ার মাধ্যমে, একজন মুসলমান তার কাজগুলো পর্যালোচনা করতে পারে। যে ভাল ও মন্দ কাজের মাধ্যমে সে সারা দিন যাপন করেছে তা স্মরণ করতে পারে। অন্যায়ভাবে অন্যের সম্পদ ভোগ করা এবং আল্লাহ তায়ালা অসন্তুষ্টিমূলক যেসব কাজ করেছে সেগুলো সংশোধন করার ব্যাপারে নিজের মনের সাথে বোঝাপড়া করতে পারে। এই সুরায় মুসলিমদের তাকিদ দেওয়া হয়েছে। যেন তারা এ্ই সুরার বিধানগুলো শিক্ষা করে পরিপূর্ণ অনুসরণ করে।যাতে সে তেলাওয়াতের সাওয়াব লাভ করে এবং এতে বর্ণিত ঘটনাসমূহ থেকে উপদেশ গ্রহন করত পারে, গুনাহ এবং আল্লাহর নিষিদ্ধ বিষয়াদী থেকে বিরত থাকতে পারে। এছাড়াও রাতে ঘুমানো আগে সুরা সাজদা তেলাওয়া করার মধ্যে রাসূলুল্লাহ সা. এর সুন্নাহের অনুসরণ রয়েছে।
# সাজদা দেওয়ার নিয়ম হলো, স্বাভাবিক নিয়মে অযু অবস্থায় দাঁড়ানো থেকে অথবা বসা থাকলে বসা থেকে আল্লাহু আকবার বরে সেজাদায় চলে যাবে। তারপর সেজদার তাসবিহ পড়ে আবার আল্লাহু আকবার বরে মাথা তুুলে নিবে।
والله اعلم بالصواب
উত্তর দাতা:
বাইতুল কুরআন মাদারাসা , মোহাম্মাদপুর
মন্তব্য (0)
কোনো মন্তব্য নেই। প্রথম মন্তব্য করুন!
মন্তব্য করতে লগইন করুন