হারাম থেকে বাঁচার কুরআনিক তাবিজ
প্রশ্নঃ ১২০৪৮২. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, চারপাশে সবাই সুদ,অবৈধ টাকা দিয়ে ব্যবসা বানিজ্য বাড়ি ঘর উন্নতি করে একাকার। আমিতা করতে পারছি না সুদ খেতে। মাঝে মাঝে মনে সুদ নিয়ে ব্যবসা, বাড়ি করেই ফেলি কিন্তু পারছি না ।এত বড় পাপ। কিছু করতে পারছি না, ফ্যামিলি বুঝে না। যা আয় করি তাতে উন্নয়ন মূলক কিছু করা যায় না। কোনো রকম চলছে। মানসিক ভাবে হতাশাগ্রস্ত কি করব?
উত্তর
و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
সম্মানিত প্রশ্নকারী!
যেন আল্লাহ তায়ালা আপনাকে লক্ষ্য করেই নিচের আয়াতগুলো ইরশাদ করেছেন। আয়াত এবং তার তাফসিরগুলো দেখুন এবং সেই আলোকে আপনি আপনার অবস্থান বিবেচনা করুন। আপনি সুদ, ঘুষ এবং অবৈধ উপার্জন থেকে বিরত থাকাছেন এজন্য আপনাকে মুবারকবাদ। আপনাকে কাছে পেলে পদচুম্বন করা দরকার। আপনি আল্লাহ তায়ালার কাছে হিম্মত এবং হারাম বর্জন এবং হালাল উপার্জনের ওপর ইস্তেকামাত থাকার তাওফিক প্রার্থনা করুন। আপনার পরিবারকে নিচের আয়াত এবং তার তাফসিরগুলো পড়ে শোনান। আল্লাহ তায়ালা আপনার রুটি রুজিতে বারাহাক নসিব করুন। আমিন। নিচের রেফারেন্স উত্তরটিও দেখুন। এবং সেই অনুযায়ী আমাল করুন।
لَا یَغُرَّنَّکَ تَقَلُّبُ الَّذِیۡنَ کَفَرُوۡا فِی الۡبِلَادِ ؕ١٩٦مَتَاعٌ قَلِیۡلٌ ۟ ثُمَّ مَاۡوٰىہُمۡ جَہَنَّمُ ؕ وَبِئۡسَ الۡمِہَادُ ١٩٧لٰکِنِ الَّذِیۡنَ اتَّقَوۡا رَبَّہُمۡ لَہُمۡ جَنّٰتٌ تَجۡرِیۡ مِنۡ تَحۡتِہَا الۡاَنۡہٰرُ خٰلِدِیۡنَ فِیۡہَا نُزُلًا مِّنۡ عِنۡدِ اللّٰہِ ؕ وَمَا عِنۡدَ اللّٰہِ خَیۡرٌ لِّلۡاَبۡرَارِ
অর্থ: নগরীতে কাফেরদের চাল-চলন যেন তোমাদিগকে ধোঁকা না দেয়। (এটা) সামান্য ভোগ (যা তারা লুটছে), অতঃপর তাদের ঠিকানা জাহান্নাম, আর তা নিকৃষ্টতম বিছানা। কিন্তু যারা নিজেদের প্রতিপালককে ভয় করে চলে, তাদের জন্য আছে এমন সব উদ্যান, যার তলদেশে নহর প্রবাহিত। আল্লাহর পক্ষ হতে আতিথেয়তাস্বরূপ তারা সর্বদা সেখানে থাকবে। আর আল্লাহর কাছে যা-কিছু আছে, পুণ্যবানদের জন্য তাই শ্রেয়।
তাফসির:
যোগসূত্র: পূর্ববর্তী আয়াতে সৎকর্মশীল ঈমানদার লোকদের কতিপয় দোয়া প্রার্থনার বর্ণনা ছিল। আলোচ্য আয়াতগুলোতে সে দোয়ার মঞ্জুরি এবং তাদের সৎকর্মের জন্য বিপুল প্রতিদানের কথা বলা হয়েছে। দ্বিতীয় ও চতুর্থ আয়াতে হেদায়েত দেওয়া হয়েছে যে, কাফিরদের বাহ্যিক ভোগ-বিলাস, ধন-সম্পদ এবং পার্থিব চলাফেরার প্রতি লক্ষ্য করে মুসলমানদের ধোঁকায় পড়া উচিত নয়। কারণ, তাদের এহেন অবস্থা সামান্য কয়েক দিনের জন্য মাত্র, তারপরেই রয়েছে চিরস্থায়ী আযাব।
তারপর তাদের পালনকর্তা মঞ্জুর করে নিয়েছেন তাদের দোয়া। তার কারণ (আমার চিরাচরিত নিয়ম হলো এই যে), আমি কারো (সৎ) কাজকে তোমাদের মধ্যে যেই তা করুক বিনষ্ট করি না (তার বিনিময় দেওয়া হবে না, এমন নয়)। তা সে কাজ পুরুষই করুক কিংবা স্ত্রীলোক (উভয়ের জন্য একই নিয়ম। কারণ), তোমরা (উভয়েই) পরস্পরের অংশ বিশেষ। (কাজেই উভয়ের জন্য হুকুমও একই রকম। যখনই সে ঈমান এনে বড় একটা সৎ কাজ করেছে এবং তার প্রেক্ষিতে আগত সুফল লাভের প্রার্থনা করেছে, তখন আমি তার দোয়া প্রার্থনাকে আমার চিরাচরিত নিয়মের ভিত্তিঞ্জুের করে নিয়েছি। আর আমি যখন ঈমানের জন্য এমন সুফল দান করে থাকি), তখন যারা (ঈমান এনেছে এবং সঙ্গে সঙ্গে কঠিন আমলগুলোও সম্পাদন করেছে, যেমন হিজরত করে) দেশত্যাগ করেছে এবং (তাও নিজের খুশিতে নয় ভ্রমণ-পর্যটনের জন্য নয়, বরং তাদেরকে চরমভাবে উত্ত্যক্ত করে) বের করে দেওয়া হয়েছে। আর (হিজরত, নির্বাসন ও অন্যান্য) উৎপীড়ন সবই ভোগ করতে হয়েছে আমার পথে। (অর্থাৎ আমার দীনের কারণে এবং যেগুলোকে তারা সহ্য করেছে) আর (তদুপরি তারা) জিহাদ করেছে (তাদের মধ্যে অনেকেই) শাহাদত বরণ করেছে। (কিন্তু শেষ পর্যন্ত জিহাদ থেকে পৃষ্ঠ প্রদর্শন করেনি। কাজেই এহেন পরিশ্রমপূর্ণ সৎকর্মের জন্য সুফল প্রাপ্ত হবে নাই বা কেন ?) নিশ্চয়ই তাদের সমস্ত ত্রুটি-বিচ্যুতি (যা আমার হকের ব্যাপারে তাদের দ্বারা হয়ে গেছে) আমি তা ক্ষমা করে দেব এবং অবশ্যই তাদেরকে জান্নাতের এমন উদ্যানে প্রবিষ্ট করাব, যার তলদেশে প্রবাহিত থাকবে নহরসমূহ। এই প্রতিদান পাবে আল্লাহর কাছ থেকে। আর আল্লাহর কাছেই আছে (অর্থাৎ তাঁরই ক্ষমতায় রয়েছে) উত্তম প্রতিদান। (উল্লিখিত আয়াতগুলোতে মুসলমানদের দুঃখ-কষ্টের এবং তার শুভ পরিণতির বর্ণনা দেওয়া হয়েছে। পরবর্তীতে কাফিরদের আরাম-আয়েশ ও ভোগ-বিলাস এবং সে সবের অশুভ পরিণতির কথা আলোচনা হচ্ছে, যাতে মুসলমানদের সান্ত্বনা এবং অসৎ কর্মীদের সংশোধন ও তওবার তৌফিক হতে পারে)।
(হে সত্যান্বেষী ! রুযী-রোজগার কিংবা বিলাস ব্যসনের জন্য) কাফিরদের চলাফেরা যেন তোমাকে ভুল পথে পরিচালিত না করে, এটা যে কয়েক দিনের খেলামাত্র। (কারণ, মৃত্যুর সাথে সাথে এর নাম-নিশানা পর্যন্ত থাকবে না। আর) তারপরে তাদের (চিরকালীন) ঠিকানা হবে জাহান্নাম। আর তা হলো নিকৃষ্টতম অবস্থান। কিন্তু (এদের মধ্যে) যেসব লোক আল্লাহকে ভয় করবে (এবং কৃতজ্ঞ মুসলমানদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাবে), তাদের জন্য নির্ধারিত রয়েছে জান্নাতী উদ্যান। তার (প্রাসাদরাজির) তলদেশে প্রবাহিত থাকবে প্রস্রবণসমূহ। তারা এ সমস্ত উদ্যানে চিরকাল বসবাস করতে থাকবে। এই আতিথেয়তা হবে আল্লাহর পক্ষ থেকে। বস্তুত যেসব বস্তু আল্লাহর নিকট রয়েছে (অর্থাৎ উল্লিখিত স্বর্গীয় উদ্যান, প্রস্রবণ প্রভৃতি) তা সৎকর্মশীল বান্দাদের জন্য (কাফিরদের কয়েক দিনের ভোগ-বিলাস অপেক্ষা) অনেক উত্তম।
والله اعلم بالصواب
উত্তর দাতা:
মুফতী ও মুহাদ্দিস, জামিয়া ইমাম বুখারী, উত্তরা, ঢাকা।
রেফারেন্স উত্তর :
প্রশ্নঃ ৩৯০১১. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, চরম অর্থনৈতিক অবস্থায় মানে খাওয়ার টাকার অভাব , সংসার চালানোর অভাব, ঔষধ কেনার অভাব এরকম চরম অর্থনৈতিক অবস্থা হলে সেই ব্যাক্তি কি করতে পারে এমন কিছু আমল বলে দেন? সে কি কোনো সুদী ব্যাংকে যে কোনো কাজ করতে পারবে এহেন পরিস্থিতিতে যেহুতু তার দেশ হিন্দুপ্রধান সুতরাং মিশ্র দেশ
উত্তর
و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
এক.
তিরমিযী শরীফের ৩৬০১ নং হাদীসে হযরত আবূ হুরায়রা (রা.) বলেছেন, রসূলুল্লাহ সল্লাল্লহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম এ দোয়াটি আমাকে বেশি বেশি পড়তে বলেছেন। কেননা এটা জান্নাতের রত্নভান্ডার। প্রসিদ্ধ তাবেয়ী হযরত মাকহূল রহ. বলেছেন, যে ব্যক্তি
” ﻟَﺎ ﺣَﻮْﻝَ ﻭَﻟَﺎ ﻗُﻮَّﺓَ ﺍِﻟَّﺎ ﺑِﺎﻟﻠﻪِ ﻭَﻟَﺎ ﻣَﻨْﺠَﺎَ ﻣِﻦَ ﺍﻟﻠﻪِ ﺍِﻟَّﺎ ﺍِﻟَﻴْﻪِ ”
“লা হাওলা ওয়ালা-ক্বুওয়াতা ইল্লা-বিল্লাহি ওয়ালা মানজা মিনাল্লহি ইল্লা ইলাইহি”
পড়বে আল্লাহ তা‘আলা তার থেকে সত্তর প্রকারের কষ্ট দূর করবেন। যার মধ্যে সবচেয়ে ছোট হল দারিদ্রতা।
দুই.
প্রিয় প্রশ্নকারী!
আল্লাহ তায়ালা আপনার সমস্ত অভাব অনটন দূর করে দিন। পেরেশানি, দুশ্চিন্তা এবং সকল প্রকারের বিপদাপদ থেকে মুক্ত ও নিরাপদে রাখুন। আমিন।
অভাব থেকে মুক্তির জন্য-
প্রথমত: আল্লাহ তায়ালার কাছে চাইতে হবে। আর আল্লাহ তায়ালা বান্দার প্রার্থনা ফিরিয়ে দেন না। আল্লাহ বলেন,- وَ قَالَ رَبُّکُمُ ادۡعُوۡنِیۡۤ اَسۡتَجِبۡ لَکُمۡ
আর তোমাদের রব বলেছেন, ‘তোমরা আমাকে ডাক, আমি তোমাদের জন্য সাড়া দেব।(সুরা গাফির আয়াত: ৬০)
দ্বিতীয়ত আল্লাহ তায়ালা বান্দার ওপর যা কিছু আদেশ করেছেন সেগুলো বাস্তবায়ন করতে হবে এবং যা কিছু থেকে নিষেধ করেছেন সেগুলোর থেকে বিরত থাকতে হবে।
আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেন,-
وَمَن يَتَّقِ اللَّهَ يَجْعَل لَّهُ مَخْرَجًا وَيَرْزُقْهُ مِنْ حَيْثُ لَا يَحْتَسِبُ وَمَن يَتَوَكَّلْ عَلَى اللَّهِ فَهُوَ حَسْبُهُ إِنَّ اللَّهَ بَالِغُ أَمْرِهِ قَدْ جَعَلَ اللَّهُ لِكُلِّ شَيْءٍ قَدْرًا
-আর যে আল্লাহকে ভয় করে, আল্লাহ তার জন্যে নিস্কৃতির পথ করে দেবেন। এবং তাকে তার ধারণাতীত জায়গা থেকে রিযিক দেবেন। যে ব্যক্তি আল্লাহর উপর ভরসা করে তার জন্যে তিনিই যথেষ্ট। আল্লাহ তার কাজ পূর্ণ করবেন। আল্লাহ সবকিছুর জন্যে একটি পরিমাণ স্থির করে রেখেছেন।(সুরা তালাক: আয়াত-23)
হজরত আবু হুরায়রা (রা.) হতে বর্ণিত— রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেন-
إن الله تعالى يقول : يا بن آدم تفرغ لعبادتي أملأ صدرك غنى وأسدُّ فقرك ، وإلا تفعل ملأت يديك شغلا ولم أسد فقرك
-হে আদম সন্তান, আমার ইবাদতের জন্য তুমি ঝামেলামুক্ত হও, আমি তোমার অন্তরকে প্রাচুর্য দিয়ে ভরে দেব এবং তোমার দারিদ্র্য ঘুচিয়ে দেব। আর যদি তা না কর, তবে তোমার হাত ব্যস্ততায় ভরে দেব এবং তোমার অভাব দূর করব না।’(তিরমিজি, মুসনাদে আহমদ ও ইবনে মাজাহ)।
অভাব থেকে মুক্তির জন্য আল্লাহতায়ালা আমাদের দোয়া শিখিয়েছেন সুরা মায়েদার ১১৪ নম্বর আয়াতে।
رَبَّنَاۤ اَنۡزِلۡ عَلَیۡنَا مَآئِدَۃً مِّنَ السَّمَآءِ تَکُوۡنُ لَنَا عِیۡدًا لِّاَوَّلِنَا وَ اٰخِرِنَا وَ اٰیَۃً مِّنۡکَ ۚ وَ ارۡزُقۡنَا وَ اَنۡتَ خَیۡرُ الرّٰزِقِیۡنَ
অর্থ, মারইয়ামের পুত্র ঈসা বলল— ‘হে আল্লাহ, হে আমাদের রব, আসমান থেকে আমাদের প্রতি খাবারপূর্ণ দস্তরখান নাজিল করুন; এটি আমাদের জন্য ঈদ হবে। আমাদের পূর্ববর্তী ও পরবর্তীদের জন্য। আর আপনার পক্ষ থেকে এক নিদর্শন হবে। আর আমাদের রিজক দান করুন, আপনিই শ্রেষ্ঠ রিজকদাতা’। (সুরা মায়েদা আয়াত : ১১৪)
অভাব দূর করার অন্যতম হাতিয়ার হলো জামাতের সাথে নামাজ। আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেন,-
وَأْمُرْ أَهْلَكَ بِالصَّلَاةِ وَاصْطَبِرْ عَلَيْهَا ۖ لَا نَسْأَلُكَ رِزْقًا ۖ نَّحْنُ نَرْزُقُكَ ۗ وَالْعَاقِبَةُ لِلتَّقْوَىٰ
তোমার পরিবার-পরিজনকে সালাত আদায়ের আদেশ দাও এবং নিজেও তার উপর অবিচল থাক। আমি তোমার কাছে কোন রিয্ক চাই না। আমিই তোমাকে রিয্ক দেই আর শুভ পরিণাম তো মুত্তাকীদের জন্য।(সূরা ত্বোয়াহ আয়াত-১৩২)
কাজেই এক্ষেত্রে জামাতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই।
বুখারি মুসলিমের হাদিসে لا حول ولا قوة إلا بالله কে জান্নাতের খনিসমূহের একটি খনি বলা হযেছে। অপর হাদিসে হজরত আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত রাসূলুল্লাহ সা. বলেন,-
: لا حول ولا قوة إلا بالله دواء من تسعة وتسعين داء، أيسرها الهم.
অর্থাৎ লা হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ- নিরানব্বইটি রোগের ঔষধ। তন্মধ্যে সর্বোনিম্ম রোগ হলো, দুশ্চিন্তা।
এ ছাড়া যেসব কাজ অভাব থেকে মুক্ত করে। আল্লাহভীতি ও সর্বাবস্থায় আল্লাহর ওপর ভরসা রাখা, পরিবার, আত্মীয়তার সম্পর্ক অটুট রাখা, নিজের ভুলের জন্য আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাওয়া, বেশি বেশি ইস্তিগফার পড়া, এতিম মিসকিনদের সঙ্গে সুন্দর আচরণ করা, আল্লাহর রাস্তায় ব্যয় করা, নামাজের জন্য দুনিয়ার সব ব্যস্ততাকে দূরে রাখা, আল্লাহর রাস্তায় বের হওয়া, তাড়াতাড়ি বিয়ে করা, আল্লাহতায়ালার কাছে অভাব মুক্তির জন্য দোয়া করা। সকাল সন্ধা জিকির করা, সম্ভব হলে ছয় তাসবিহের আমল করা।
আল্লাহ তায়ালার ওয়াদা, কুদরত এবং তার মহান সত্তার ওপর একিন রেখে যদি ইনশাআল্লাহ ওই আমলগুলো করা হয় তাহলে আশা করা যায় আল্লাহ তায়ালা আমাদের অভাব অনটন, পেরেশানি ও দুশ্চিন্তা দূর করে দিবেন। আল্লাহ তায়ালা আমাদের সবাইকে আমল করার তাওফিক দান করুন। আমিন।
# এগুলো সব জীবন্ত তাবিজ। তাবিজ গলায় কম ঝুলিয়ে বরং এই আমলগুলো করতে থাকলে ইনশআল্লাহ আল্লাহ তায়ালা অভাব অনটন দূর করে দিবেন।
والله اعلم بالصواب
উত্তর দাতা:
উস্তাজুল ইফতা, জামিয়া ইমাম বুখারী, উত্তরা, ঢাকা।
মন্তব্য (0)
কোনো মন্তব্য নেই। প্রথম মন্তব্য করুন!
মন্তব্য করতে লগইন করুন