ব্যাংকলোন গ্রহনকারী ইমামের পেছেনে নামাজ
প্রশ্নঃ ১১৭০৪. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, ব্যাংক থেকে লোন লেনে ওয়ালা ইমামের পিছনে নামায পড়া কেমন হবে
উত্তর
و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
রাসূল (সা.) ইরশাদ করেন- সাতটি ধ্বংসকারী বিষয় থেকে তোমরা বিরত থাকবে। সাহবীগণ বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! সেগুলো কী? তিনি বললেন, (১) আল্লাহর সঙ্গে শরীক করা। (২) যাদু (৩) আল্লাহ তায়ালা যাকে হত্যা করা হারাম করেছেন, শরীয়াত সম্মত ব্যতিরেকে তাকে হত্যা করা (৪) সুদ খাওয়া (৫) ইয়াতীমের মাল গ্রাস করা (৬) রণক্ষেত্র থেকে পালিয়ে যাওয়া এবং (৭) সরল প্রকৃতির সতী মু‘মিন নারীদের অপবাদ দেয়া। সহীহ বুখারী-৪/১০, হাদী-২৭৬৬।
তিনি আরো ইরশাদ করেন, সুদ ভক্ষণকারী, তার লেখক এবং সাক্ষী সবার উপর অভিসম্পাত করেছেন। সহীহ মুসলিম; হা. নং ১৫৯৮। তিনি আরো ইরশাদ করেন, সুদ দাতা ও গ্রহিতা দু‘জনকেই অভিশাপ দিয়েছেন। তিরমিযী; হা. নং ১৩৩৭। হাদীসটি সহীহ। রাসূল (সা.) আরো বলেন, জেনে-শুনে এক দিরহাম সুদ খাওয়া ছত্রিশবার যিনার চেয়েও নিকৃষ্ট। মুসনাদে আহমদ; হা. নং ২১৯৫৭। উক্ত হাদীসটিকে আল্লাম মুনযিরী, হায়সামী ও শায়খ আলবানীসহ সকলেই সহীহ বলেছেন। রাসূল (সা.) আরো বলেন, সুদের গুনাহের সত্তুর (৭০) টি ধরণ রয়েছে। তার নুন্নতম ধরন হলো, নিজ মায়ের সাথে অপকর্ম করা। সুনানে ইবন মাজা; হা. নং ২২৭৪। উক্ত হাদীসকে আল্লামা মুনযিরী ও শায়খ আলবানী সহীহ বলেছেন।
সুতরাং যে ইমাম সুদের সাথে সম্পৃক্ত সে হলো ফাসেক অর্থাৎ পাপাচারী, আর ফাসেক এর পিছনে নামায পড়া মাকরূহে তাহরীমি অর্থাৎ হারামের কাছাকাছি। তাই অন্য কোন মসজিদ থাকলে উক্ত ইমামের পিছনে নামায পড়া পরিহার করা আবশ্যক। হানাফী মাযহাবের বিখ্যাত কিতাব ‘ফাতাওয়ায়ে শামী’’ তে এসেছে- ফাসেক ব্যক্তির হুকুম বেদআতির ন্যায়, সর্ব অবস্থায় তার ইমামতি মাকরুহে তাহরীমি। যদি এমন কোন অবস্থা হয় যে, ঐ ইমামকে না রাখলো অন্য কোন ইমামতি করারযোগ্য মানুষ খুজে পাওয়া যাবে অথবা তার জুলুমের আশংকা আছে ইত্যাদি জটিল কারণ থাকে, তাহলে প্রয়োজনের তাগিতে, মাকরুহে তাহরীমি হওয়া সত্ত্বেও তার পিছনে নামায পড়লে হয়ে যাবে।
والله اعلم بالصواب
উত্তর দাতা:
মন্তব্য (0)
কোনো মন্তব্য নেই। প্রথম মন্তব্য করুন!
মন্তব্য করতে লগইন করুন