প্রশ্নঃ ১০৯৫৭. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, এক পরিবার আমাদের পরিবারকে ভীষণ ভাবে অপমান করে, এবং প্রতারণা করে। পরিবার সম্পর্কে গীবত করে ,এবং এদের ব্যাবহারে ও বা সংস্পর্শে থাকলে মানসিক যন্ত্রণার শিকার হই,যারফলে আমি একজন সামান্য মানসিক রোগরান্ত ,(mdd) এবং তারা আমাদের নিকট আত্মীয় হয়। এরকম পরিস্থিতিতে আমার পরিবারকে তাদের থেকে দূরে রাখা এবং এড়িয়ে চলা , এককথায় সম্পর্ক ছিন্ন করা জায়েজ হবে কি না ??
২৯ নভেম্বর, ২০২১
West Bengal ৭০০১০৯
উত্তর
و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
যাদের সাথে সম্পর্ক রাখলে ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে তাদের ক্ষত-ক্ষতি থেকে বাঁচার স্বার্থে সম্পর্কচ্ছেদ করা বা কথাবার্তা ও যোগাযোগ বন্ধ করা জায়েয রয়েছে তারা রক্ত সম্পর্কীয় বা একান্ত নিকটাত্মীয় হলেও।
সামাজের কিছু মানুষ অন্যের ক্ষতি করতে বা মানুষকে কষ্ট দিতে সিদ্ধহস্ত। তাই অন্যরা সাধ্যমত তাদের থেকে দূরে থাকতে চেষ্টা করে। এমন মানুষ আল্লাহ তা‘আলার নিকট সর্ব নিকৃষ্ট।
মানুষের ক্ষয়-ক্ষতি থেকে বাঁচার স্বার্থে অথবা কারো কথাবার্তা ও আচার-আচরণ খারাপ হলে তাদের থেকে দূরে থাকার অনুমতি পাওয়া যায় নিম্নোক্ত হাদীস সমূহ থেকে:
◼ ১. ‘আয়িশা রাযিয়াল্লাহু আনহা থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন: রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,
إِنَّ شَرَّ النَّاسِ عِنْدَ اللهِ مَنْزِلَةً يَوْمَ الْقِيَامَةِ مَنْ تَرَكَهُ النَّاسُ اتِّقَاءَ شَرِّهِ
‘‘নিশ্চয়ই কিয়ামতের দিন আল্লাহ্ তা‘আলার নিকট সর্ব নিকৃষ্ট ব্যক্তি সে যাকে অন্যরা পরিত্যাগ করে তার অনিষ্ট থেকে বাঁচার জন্যে’’। (বুখারী ৬০৩২; মুসলিম ২৫৯১)
◼ ২) রাসূল (ﷺ) বলেছেন,
إِنَّ شَرَّ النَّاسِ مَنْزِلَةً عِنْدَ اللَّهِ يَوْمَ الْقِيَامَةِ مَنْ وَدَعَهُ أَوْ تَرَكَهُ النَّاسُ اتِّقَاءَ فُحْشِهِ
“কিয়ামতের দিনে আল্লাহর কাছে ঐ ব্যক্তি নিকৃষ্ট স্তরের বলে গণ্য হবে, যাকে লোকজন তার দুর্ব্যবহারের জন্য পরিত্যাগ করে।” (মুসলিম: ৬৪৯০; বুখারী: ৬০৩২; আবূ দাউদ; ৪৭৯১)।
◼ ৩. রাসূল (ﷺ) বলেছেন,
إِنَّ شَرَّ النَّاسِ مَنْ تَرَكَهُ النَّاسُ ـ أَوْ وَدَعَهُ النَّاسُ ـ اتِّقَاءَ فُحْشِهِ
“নিশ্চয় সবচেয়ে নিকৃষ্ট লোক সে-ই যার অশালীনতা থেকে বেঁচে থাকার জন্য মানুষ তার সংশ্রব ত্যাগ করে।” (বুখারী: ৬০৫৪)।
আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে সমাজের অসাধু, ক্ষতিকর ও খারাপ মানুষের ক্ষয়-ক্ষতি থেকে হেফাজত করুন। আমীন।
আল্লাহু আলাম।
والله اعلم بالصواب
উত্তর দিয়েছেন:
মুসলিম বাংলা ফাতওয়া বিভাগ
মন্তব্য (0)
কোনো মন্তব্য নেই। প্রথম মন্তব্য করুন!
মন্তব্য করতে লগইন করুন
এ সম্পর্কিত আরও জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর
মাসায়েল-এর বিষয়াদি
আল কুরআনুল কারীম
৪
হাদীস ও সুন্নাহ
৬
তাসাউফ-আত্মশুদ্ধি । ইসলাহী পরামর্শ
৩
শরীআত সম্পর্কিত
১৪
ফিতনাসমুহ; বিবরণ - করণীয়
২
আখিরাত - মৃত্যুর পরে
৩
ঈমান বিধ্বংসী কথা ও কাজ
৬
ফিরাকে বাতিলা - ভ্রান্ত দল ও মত
২
পবিত্রতা অর্জন
৮
নামাযের অধ্যায়
১৯
যাকাত - সদাকাহ
৫
রোযার অধ্যায়
৬
হজ্ব - ওমরাহ
২
কাফন দাফন - জানাযা
৫
কসম - মান্নত
১
কুরবানী - যবেহ - আকীকা
৪
বিবাহ শাদী
৮
মীরাছ-উত্তরাধিকার
২
লেনদেন - ব্যবসা - চাকুরী
৯
আধুনিক মাসায়েল
৬
দন্ড বিধি
২
দাওয়াত ও জিহাদ
৩
ইতিহাস ও ঐতিহ্য
৬
সীরাতুন নবী সাঃ । নবীজীর জীবনচরিত
৩
সাহাবা ও তাবেঈন
৩
ফাযায়েল ও মানাকেব
৩
কিতাব - পত্রিকা ও লেখক
৩
পরিবার - সামাজিকতা
৭
মহিলা অঙ্গন
২
আখলাক-চরিত্র
২
আদব- শিষ্টাচার
১২
রোগ-ব্যধি। চিকিৎসা
২
দোয়া - জিকির
২
নাম। শব্দ জ্ঞান
৩
নির্বাচিত
২
সাম্প্রতিক
১
বিবিধ মাসআলা
১