আপনার জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর

সকল মাসায়েল একত্রে দেখুন

২৪১৪
আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ,

আমি ফোনের ব্যবসা করি। আমার এখানে অনেক ছাত্র কাস্টমার আছে। অধিকাংশ ছাত্রের বাড়িতেই যোগাযোগের জন্য আমার মোবাইল নাম্বারটি দেওয়া আছে। বাড়ি থেকে যোগাযোগের জন্য এ নাম্বারেই ফোন করে থাকে। আবার মাস শেষে যখন টাকা পাঠানোর প্রয়োজন হয় তখন তারা এ নাম্বারে রিচার্জ করে টাকা পাঠিয়ে দেয়। এভাবে আমার এই মোবাইল নাম্বারে অনেকেই টাকা পাঠায়। সেই রিচার্জের টাকা থেকে কিছু কেটে রাখি। এখন উক্ত টাকা থেকে কিছু টাকা কেটে রাখা বৈধ হবে কি না? শরয়ী দলিল-প্রমাণের আলোকে সঠিক সমাধান দানে হুজুরের মর্জি কামনা করছি।


question and answer iconউত্তর দিয়েছেন: মাসিক আলকাউসার
২৮ অক্টোবর, ২০২০
আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ,

আমার একটি বিষয় জানার খুবই প্রয়োজন। যেহেতু হালাল বা হারামের বিষয় তাই মেহেরবানী করে সমাধান দিলে কৃতজ্ঞ হব।

বিষয়টি হল, আমি একটি লাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানির এজেন্ট। আমি এখানে মানুষকে দিয়ে ডিপিএস করাই। কোম্পানি তা থেকে আমাকে কিছু কমিশন দেয়। আমার জানার বিষয় হল, এখান থেকে যে টাকা পাই তা কি হালাল হবে? আর যদি হালাল না হয়, তাহলে আমি কি এই টাকা মসজিদ-মাদরাসা বা অন্যান্য সেবামূলক কাজে খরচ করতে পারব? আমি কি চাকরিটা চালিয়ে যা পাই তা যদি এইভাবে ব্যয় করি, তাহলে শরীয়তের দৃষ্টিতে কি আমি দায়মুক্ত থাকব। আর যাদেরকে দিয়ে ডিপিএস করাই তাদের কাছে কি দায়ী থাকব? কেননা ডিপিএস করার এক বছরের ভিতরে ভাঙলে ডিপিএসকারী কোনো টাকাই পাবে না। এমনকি এক বছর পরে ভাঙলেও ডিপিএসকারীর কিছু লস হয়। যদিও আমি গ্রাহকদেরকে এই বিষয়গুলো জানিয়ে ডিপিএস করিয়ে থাকি।

মুফতী সাহেবকে আর একটু জানিয়ে রাখি, আমি আমার এলাকার এক আলেম থেকে জানতে পারি যে, আমাদের দেশের প্রায় সব ব্যাংক-বীমার কার্যক্রম হারামের ভিতরে পরে। তারপর আমি আমার ম্যানেজারকে বলি যে, স্যার এই চাকরি করা তো শরীয়তের দৃষ্টিতে জায়েয নয়। তখন সে আমাকে ড. জাকির নায়েকের একটি ভিডিও দেখায়; সেখানে তিনি বলেন, ইন্সুরেন্স করা যাবে না- এরকম কথা কুরআনের কোথাও লেখা নেই। তবে তিনি বলেছেন, যেখানে সুদ আছে সেখানে কখনোই মুমিন যেতে পারে না।

তাই মুফতী সাহেবের কাছে আমার আকুল আবেদন এই প্রশ্নগুলোর উত্তর শরীয়তের দলীল দ্বারা দিলে আমি অনেক উপকৃত হব এবং হারাম থেকে বাঁচতে পারব।

question and answer iconউত্তর দিয়েছেন: মাসিক আলকাউসার
৮ অক্টোবর, ২০২০
৫৪৩
আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ,

আমি একটি জেনারেল (সুদী) ব্যাংকে প্রায় ৯ বছর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা হিসাবে কাজ করেছি এবং এ সময়ে প্রাপ্ত বেতন-বোনাস দিয়ে গাড়ি-বাড়ি করেছি। পরবর্তীতে একসময় ‘সুদী ব্যাংকে চাকরি করা বৈধ নয়’ এ মাসআলা জানার পর সুদী কারবারের সাথে জড়িত থাকার কারণে নিজের মাঝে অনুশোচনা জাগে। ফলে ব্যাংকের চাকরি ছেড়ে দিয়ে এখন অন্য একটি চাকরিতে যোগদান করেছি।

এখন মুফতী সাহেবের কাছে জানতে চাচ্ছি, আগের চাকরির বেতন-বোনাস দিয়ে যে গাড়ি-বাড়ি করেছি তা আমার জন্য বৈধ কি না? যদি বৈধ না হয়ে থাকে তাহলে আমার এখন করণীয় কী? দয়া করে বিস্তারিত জানিয়ে কৃতজ্ঞ করবেন।

question and answer iconউত্তর দিয়েছেন: মাসিক আলকাউসার
২৮ অক্টোবর, ২০২০
৩৬৫
আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ,

আমার জানার বিষয় হল যে, আমার আলআরাফাহ ইসলামী ব্যাংক ও এনআরসি ব্যাংকে সেভিং একাউন্টে কিছু টাকা জমা আছে। এই টাকা দিয়ে বসুন্ধরা গ্রæপ, সিটি গ্রæপ, মেঘনা গ্রæপ, টি কে গ্রæপসহ অন্যান্য কোম্পানির নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যসামগ্রী যেমন, আটা, ময়দা, চিনি, তৈল, ডালডা, ভুসি ইত্যাদি পণ্য দাম যখন কম থাকে তখন পণ্যগুলো কোম্পানি থেকে ক্রয় করা হয়। পণ্যের মূল্য তাদের ব্যাংক একাউন্টে নগদ জমা করা হয়। তারা পণ্য প্রদানের একটি তারিখ দিয়ে শুধু পণ্যের ¯িøপ দিয়ে দেয়। এই ¯িøপটিকে ব্যবসার ভাষায় ডিও বলা হয়। ডিও কিনে তাতে উল্লেখিত পণ্যসামগ্রী সংশ্লিষ্ট কোম্পানির গোডাউনে মজুদ রাখা হয়। কোনো পণ্যসামগ্রী আমি স্ব-চোখে দেখিও না এবং আমার গোডাউনেও আনি না, কেবলমাত্র কোম্পানীর দায়িত্বশীল প্রতিনিধির সাথে সরাসরি বা মোবাইলে কথা বলে পণ্যসামগ্রী কিনে সংশ্লিষ্ট কোম্পানির ব্যাংক একাউন্টে টাকা পাঠিয়ে দিলে কোম্পানি আমাকে ঐ ডিও লেটার দিয়ে দেয়, পরবর্তীতে উল্লেখিত পণ্যসামগ্রীর দাম বৃদ্ধি হলে, উক্ত ডিও লেটার কাগজটি অন্য আরেকজন ব্যবসায়ীর কাছে কিছু লাভ করে বিক্রি করে দেওয়া হয়। এই ধরনের ব্যবসা করা জায়েয কি না? এই ব্যবসা করা যাবে কি না? জানালে খুবই উপকৃত হব।

question and answer iconউত্তর দিয়েছেন: মাসিক আলকাউসার
২৮ অক্টোবর, ২০২০
২৮১
আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ,

বাংলাদেশ ব্যাংক কলোনি, আর্সিম গেট সংলগ্ন বাজারে আমার একটি মুদি দোকান আছে। ব্যাংকের কর্মকর্তারাই এখানের সাধারণ ক্রেতা। তারা সারা মাস প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি বাকিতে নেয় এবং মাস শেষে বেতন পেয়ে মূল্য পরিশোধ করে। তাদের অন্য কোনো আয় আছে কিনা আমার জানা নেই। শুধু এতটুকু জানি যে, বেতন পাওয়ার পর তারা আমাদের ঋণ আদায় করে। এখন আমার জানার বিষয় হল, তাদের কাছে পণ্য বিক্রি করা এবং মাস শেষে আমাদের ধারণামতে ব্যাংকের বেতন দিয়ে পণ্যের পরিশোধিত মূল্য গ্রহণ করা বৈধ হবে কি? যদি বৈধ না হয় তাহলে কীভাবে তাদের কাছে পণ্য বিক্রি করব? সুন্দর সমাধানে আপনাদের সুমর্জি কামনা করছি।

question and answer iconউত্তর দিয়েছেন: মাসিক আলকাউসার
২৮ অক্টোবর, ২০২০