আপনার জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর

সকল মাসায়েল একত্রে দেখুন

৩৪৬১
আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।

বাংলাদেশে উচ্চশিক্ষার জন্য, বিশেষ করে ইঞ্জিনিয়ারিং ও মেডিকেলে শিক্ষাদানের জন্য অনেক বিদেশি লেখকদের বই পড়ানো হয়। এই সকল বই এর দাম তুলনামূলক কিছুটা বেশি হয় অনেক ক্ষেত্রে কেনা অনেক কষ্টকর হয়ে যায়। এই সকল বই এর গ্রন্থসত্ব সংরক্ষিত থাকে এবং বিনা অনুমতিতে এগুলো কপি করে বিতরণ( ডিজিটাল pdf, ফটোকপি ইত্যাদি ) নিষিদ্ধ থাকে। বাংলাদেশে কপিরাইট আইনের তেমন প্রয়োগ না থাকায়, এ সকল বই অহরহ বিভিন্ন দোকানে ফটোকপি করে অনেক কম দামে পাইরেটেড কপি বিক্রি করে। দাম কম হওয়ার শিক্ষার্থীরাও সাধারণত এই ফটোকপি বই গুলো কিনে থাকে। ফলে বইয়ের প্রকাশক,লেখকগণ এই বিক্রির লাভ থেকে বঞ্চিত হন। একসময় কিছু ব্যবসায়ী এ বই গুলো আমদানি করে নিয়ে আসতো কিন্তু পাইরেসির হিড়িকে আসল বই এর ক্রেতা খুব কম হয়ে যাওয়ায় আমদানি করাও অনেক কমে যায়। ফলে অনেক আসল বই দেশের বাজারে অনেক খুঁজেও পাওয়া যায় না। তবে অনেক ক্ষেত্রে কিছু আন্তর্জাতিক অনলাইন মার্কেটপ্লেসে এগুলোর অনুমোদিত pdf কেনা যায়, কিন্তু অনেকের কাছে সেখানে মূল্য পরিশোধের মাধ্যম ( যেমন- Debit card, Master কার্ড) এগূলো থাকে না। এমতাবস্থায়, আসল বই না পাওয়া গেলে পাইরেটেড কপি পড়া জায়েজ হবে কি? এখন অনুমোদনহীন কপি পড়ে পরর্বতীতে যদি ওই বই এর আসল কপি কেনার সূযোগ, সামর্থ্য আসে তখন ওটার প্রয়োজন না থাকলেও আসল কপি কিনে লেখকের পাওনা পরিশোধ করতে হবে কিনা?

এক্ষেত্রে লেখক যদি নন-মুসলিন হন ও নন-মুসলিম দেশের নাগরিক হন এক্ষেত্রে অনেকে বলেন তাদের জান-মালের নিরাপত্তা শরীয়ত দেয় না। তাই তাদের অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা জায়েজ। কিন্তু এখানে আমার মনে হয় আমরা তো তাদের সাথে জিহাদ করছি না আর আমাদের দেশেও ইসলামী শাসনব্যবস্থা কায়েম নেই। আর এই সকল দেশের সাথে আমাদের দেশ জাতিসংঘের মত বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার মাধ্যমে অনেক ক্ষেত্রে চুক্তিবদ্ধ। আর তাদের সাথে আমরা নিয়মিত ব্যবসায়ীক লেনদেন করছি। তাদের কাছে পণ্য রপ্তানি করছি, তাদের থেকে আমদানীকৃত পণ্য টাকা দিয়ে কিনে ব্যবহার করছি। এক্ষেত্রে তাদের হারবী কাফির বলা যাবে কিনা? এ ধরণের কাফিরদের ব্যাপারে আমাদের শরীয়ত কি ধরণের নির্দেশনা দেয় তা পরিষ্কার করলে উপকৃত হব।।

জাযাকাল্লাহ্ খাইর।
question and answer iconউত্তর দিয়েছেন: মুফতী ইসহাক মাহমুদ, মুফতী ও মুহাদ্দিস, জামিআ মুহাম্মাদিয়া আরাবিয়া, মোহাম্মদপুর
৫ নভেম্বর, ২০২০
ঢাকা ১২১৫
আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ,

আমার একটি বিষয় জানার খুবই প্রয়োজন। যেহেতু হালাল বা হারামের বিষয় তাই মেহেরবানী করে সমাধান দিলে কৃতজ্ঞ হব।

বিষয়টি হল, আমি একটি লাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানির এজেন্ট। আমি এখানে মানুষকে দিয়ে ডিপিএস করাই। কোম্পানি তা থেকে আমাকে কিছু কমিশন দেয়। আমার জানার বিষয় হল, এখান থেকে যে টাকা পাই তা কি হালাল হবে? আর যদি হালাল না হয়, তাহলে আমি কি এই টাকা মসজিদ-মাদরাসা বা অন্যান্য সেবামূলক কাজে খরচ করতে পারব? আমি কি চাকরিটা চালিয়ে যা পাই তা যদি এইভাবে ব্যয় করি, তাহলে শরীয়তের দৃষ্টিতে কি আমি দায়মুক্ত থাকব। আর যাদেরকে দিয়ে ডিপিএস করাই তাদের কাছে কি দায়ী থাকব? কেননা ডিপিএস করার এক বছরের ভিতরে ভাঙলে ডিপিএসকারী কোনো টাকাই পাবে না। এমনকি এক বছর পরে ভাঙলেও ডিপিএসকারীর কিছু লস হয়। যদিও আমি গ্রাহকদেরকে এই বিষয়গুলো জানিয়ে ডিপিএস করিয়ে থাকি।

মুফতী সাহেবকে আর একটু জানিয়ে রাখি, আমি আমার এলাকার এক আলেম থেকে জানতে পারি যে, আমাদের দেশের প্রায় সব ব্যাংক-বীমার কার্যক্রম হারামের ভিতরে পরে। তারপর আমি আমার ম্যানেজারকে বলি যে, স্যার এই চাকরি করা তো শরীয়তের দৃষ্টিতে জায়েয নয়। তখন সে আমাকে ড. জাকির নায়েকের একটি ভিডিও দেখায়; সেখানে তিনি বলেন, ইন্সুরেন্স করা যাবে না- এরকম কথা কুরআনের কোথাও লেখা নেই। তবে তিনি বলেছেন, যেখানে সুদ আছে সেখানে কখনোই মুমিন যেতে পারে না।

তাই মুফতী সাহেবের কাছে আমার আকুল আবেদন এই প্রশ্নগুলোর উত্তর শরীয়তের দলীল দ্বারা দিলে আমি অনেক উপকৃত হব এবং হারাম থেকে বাঁচতে পারব।

question and answer iconউত্তর দিয়েছেন: মাসিক আলকাউসার
৮ অক্টোবর, ২০২০
২৮১
আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ,

বাংলাদেশ ব্যাংক কলোনি, আর্সিম গেট সংলগ্ন বাজারে আমার একটি মুদি দোকান আছে। ব্যাংকের কর্মকর্তারাই এখানের সাধারণ ক্রেতা। তারা সারা মাস প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি বাকিতে নেয় এবং মাস শেষে বেতন পেয়ে মূল্য পরিশোধ করে। তাদের অন্য কোনো আয় আছে কিনা আমার জানা নেই। শুধু এতটুকু জানি যে, বেতন পাওয়ার পর তারা আমাদের ঋণ আদায় করে। এখন আমার জানার বিষয় হল, তাদের কাছে পণ্য বিক্রি করা এবং মাস শেষে আমাদের ধারণামতে ব্যাংকের বেতন দিয়ে পণ্যের পরিশোধিত মূল্য গ্রহণ করা বৈধ হবে কি? যদি বৈধ না হয় তাহলে কীভাবে তাদের কাছে পণ্য বিক্রি করব? সুন্দর সমাধানে আপনাদের সুমর্জি কামনা করছি।

question and answer iconউত্তর দিয়েছেন: মাসিক আলকাউসার
২৮ অক্টোবর, ২০২০
আপনার জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর | মুসলিম বাংলা