আপনার জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর

সকল মাসায়েল একত্রে দেখুন

#২৯৬০
আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ,

আমার বাসা উত্তরায় আর অফিস গাজীপুরে। প্রতিদিন বাসা থেকে গিয়ে অফিস করি। যাতায়াতে ভীষণ কষ্ট হয়। এ ছাড়া খরচ তো আছেই। তাই গাজীপুরে বাসা খুজছিলাম। ইতিমধ্যে এক ব্যক্তির সাথে পরিচয় হল, যার বাসা গাজীপুরে আর অফিস উত্তরায় এবং আমার মতোই বাসা থেকে যাতায়াত করে অফিস করেন। আমি তাকে প্রস্তাব করি যে, উত্তরায় আমার নিজস্ব বাসা আছে। আপনি সেখানে থাকবেন বিনিময়ে আপনার এই বাসায় আমি থাকব। যেহেতু তিনিও আমার মতোই কষ্টের শিকার তাই তিনি আমার প্রস্তাবে রাজি হয়ে যায়। এখন জানার বিষয় হল, এভাবে চুক্তি করা জায়েয আছে কি? যদি জায়েয না হয় তাহলে এই ধরনের ক্ষেত্রে সহীহ পদ্ধতি কী হবে?

question and answer iconউত্তর দিয়েছেন: মাসিক আলকাউসার
১৩ অক্টোবর, ২০২০
#৩০৩৫
আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ,

আমি এক মাসের চুক্তিতে ২,৫০০/- টাকার বিনিময়ে ১টি রুম ভাড়া নিয়েছি। ৭/৮ দিন থাকার পর বাসার পানির পাইপ ফেটে যাওয়ার কারণে পানি এতই খারাপ হয়েছে যে, খাওয়া-দাওয়া, অযু-গোসল ইত্যাদি কোনো কাজে ব্যবহারের যোগ্য ছিল না। এমনকি এ কারণে আমার এক বাচ্চার ডায়রিয়া হয়েছে এবং আমার স্ত্রী ও আরেক বাচ্চা অসুস্থ হয়েছে। তারপরও আমি ৪/৫ দিন বাহির থেকে পানি এনে সকল কাজ করি। পরবর্তীতে পানির লাইন ঠিক না করার কারণে ১২ দিন পর বাসা ছেড়ে দিই। এখন বাড়িওয়ালা বলছে, ঐ মাসের পূর্ণ ভাড়া দেওয়ার জন্য। আমি বলছি যে, আমি যুক্তিসঙ্গত কারণে বাসা ছেড়েছি। বিনা কারণে বাসা ছাড়িনি। তাই যতদিন ছিলাম ততদিনের ভাড়া দিব। জানিয়ে বাধিত করবেন যে, শরীয়তের আলোকে কার কথা সঠিক?

question and answer iconউত্তর দিয়েছেন: মাসিক আলকাউসার
১৩ অক্টোবর, ২০২০
#২৯৮১
আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ,

অনেক সময় দেখা যায়, যে সমস্ত দোকানে পণ্যের মূল্য ফিক্সড নয় সে সকল দোকানে ক্রেতা ও বিক্রেতার মাঝে পণ্যের দাম নিয়ে দরকষাকষি হয়। পণ্যের দাম মনপুত হলে ক্রেতা পণ্য ক্রয় করে। মনপুত না হলে দোকান থেকে চলে যায়। অনেক সময় দেখা যায়, ক্রেতা যখন দোকান থেকে বের হয়ে কিছু দূর চলে আসে তখন বিক্রেতা ক্রেতাকে পণ্য নেওয়ার জন্য ডাকতে থাকে। ক্রেতা ফিরে না আসলে তাকে তিরস্কারমূলক কথাও বলে থাকে। আবার অনেক সময় দেখা যায় যে, বিক্রেতা অনেক সময় ধরে ক্রেতাকে পণ্য দেখানোর পর ক্রেতার পছন্দ না হলে সে যখন দোকান থেকে চলে আসে তখন তাকেও তিরস্কারমূলক কথা বলা হয়। এখন আমার জানার বিষয় হল, প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে ক্রেতা ঐ পণ্যটি ক্রয় করতে বাধ্য কি না এবং উভয়ক্ষেত্রে সে ভর্ৎসনার যোগ্য হবে কি না। জানিয়ে বাধিত করবেন।

question and answer iconউত্তর দিয়েছেন: মাসিক আলকাউসার
২৮ অক্টোবর, ২০২০
#২৯৬৩
আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ,

এক ব্যক্তি আমাকে গেঞ্জি তৈরির অর্ডার দিয়েছে। তার সাথে আমার যেভাবে চুক্তি হয়েছে হিসাব করে দেখি যে, প্রতি গেঞ্জিতে (আনুমানিক) আমার খরচ হবে ১৫০/- টাকা আর আমার লাভ হবে ৩/- টাকা। কিন্তু আমার কাছে প্রতি গেঞ্জির জন্য ১০০/- টাকা করে আছে। এ কারণে আরেক ব্যক্তির সাথে এভাবে চুক্তি করেছি যে, সে আমার এ কাজে প্রতি গেঞ্জির জন্য ৫০/- টাকা করে বিনিয়োগ করবে। প্রতি গেঞ্জিতে যেহেতু লাভ ৩/- টাকা। তাই তাকে আমি ১/- টাকা করে দিব। অর্থাৎ সে প্রতি ৫০/- টাকায় ১/- টাকা পাবে। জানার বিষয় হল বিনিয়োগকারীর সাথে ৩/- টাকা লাভ থেকে ১/- টাকা নির্ধারিত হিসাবে দেওয়ার চুক্তি সহীহ হয়েছে কি না? যদি জায়েয না হয় তাহলে শতকরা হারে লাভ দেওয়ার শর্তে চুক্তি করা জায়েয হবে কি?

question and answer iconউত্তর দিয়েছেন: মাসিক আলকাউসার
১৩ অক্টোবর, ২০২০