আপনার জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর

সকল মাসায়েল একত্রে দেখুন

২৩১০
আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ,

আমি একদিন যোহরের নামায পড়ছিলাম। দুরাকাত পড়ার পর ভুলে তাশাহহুদের পর দরূদ শরীফ ও দুআ পড়ে চার রাকাত মনে করে সালাম ফিরিয়ে নিই। সালাম ফিরানোর পরপরই আমি দ্রুত সুন্নত পড়ার জন্য দাঁড়িয়ে যাই। সুন্নতের জন্য আলাদা নিয়তও বেঁধে ফেলি। কিন্তু এরপরই আমার স্মরণ হয়, আমার যোহরের ফরয পুরা হয়নি। তাই সুন্নতের নিয়ত বাদ দিয়ে মনে মনে ফরযের বাকি দু রাকাতের নিয়ত করে নিই। তারপর সাহু সিজদা দিয়ে নামায শেষ করি। এখন জানার বিষয় হল, আমার যোহরের নামায কি আদায় হয়েছে, নাকি পুনরায় পড়তে হবে?

 

question and answer iconউত্তর দিয়েছেন: মুফতী মাসিক আলকাউসার
২৯ অক্টোবর, ২০২০
২০৭২
আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ,

গত কিছুদিন আগে আসরের নামাযে ইমাম সাহেব প্রথম বৈঠক না করে ভুলবশত দাঁড়িয়ে যান। তখন মুসল্লিরাও দাঁড়িয়ে যায়। সাথে সাথে অনেকে লোকমা দেয়। লোকমা দিলে ইমাম সাহেবসহ সবাই বসে পড়েন। নামাযের পর সাহু সিজদা আদায় করে নেন। কিন্তু নামাযের পর আমাদের মাদরাসার একজন সিনিয়র উস্তায দাঁড়িয়ে বললেন, নামায হয়নি। পুনরায় আদায় করতে হবে। আরেকজন মুফতী সাহেব বললেন, নামায হয়ে গেছে, পুনরায় পড়তে হবে না। এ অবস্থায় প্রথমজনের কথা অনুযায়ী আবার নামায আদায় করা হয়। উল্লেখ্য, ইমাম কিন্তু একজনই। আর ঐ মুফতী সাহেব নামায না পড়ে বের হয়ে যান। এখন প্রশ্ন হল, প্রথম জামাত কি সহীহ হয়েছে? যদি সহীহ হয়ে থাকে তাহলে দ্বিতীয় জামাতের হুকুম কী হবে?

বিস্তারিত দলিল-প্রমাণসহ জানিয়ে বাধিত করবেন।


question and answer iconউত্তর দিয়েছেন: মুফতী মাসিক আলকাউসার
২৯ অক্টোবর, ২০২০
৩০৭৮
আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ,

আমাদের এলাকার মসজিদে কয়েকদিন আগে একটি মাহফিল হয়েছিল। আসর বাদ মোয়াযযিন সাহেব ঘোষণা দিলেন, আজ ইশার জামাত রাত সাড়ে আটটায় পড়া হবে। রাত আটটা বিশ মিনিটে জনৈক ওয়ায়েজ বললেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর যমানায় ঘড়ি ছিল না। দায়েমী মুসল্লীগণ যখন হাজির হয়ে যেতেন তখন ইকামত দেওয়া হত। আজ এই মাহফিল উপলক্ষে এ সুন্নতকে যিন্দা করার জন্য আমরা এখন জামাত শুরু করে দিব। যেহেতু মসজিদ পূর্ণ হয়ে গেছে তাই ৮ টা ২০ মিনিটে ইকামত হয়ে গেল। মসজিদের দোতলা, তিন তলা তখনও খালি ছিল। জামাত ৮টা ৩০ মিনিটে হবে এ ঘোষণার কারণে যারা নির্দিষ্ট সময়ে হাজির হয়েছে তারা অনেকে জামাত পায়নি। অনেকে মাসবুক হয়েছে। এখন জানতে চাই, দশ মিনিট আগে ইকামত দেওয়ায় সুন্নতে নববী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যিন্দা হল, নাকি ৮ টা ৩০ মিনিটে জামাত শুরু হওয়া উচিত ছিল? যদি ঘড়ির সময় অনুযায়ী নির্দিষ্ট সময় জামাত শুরু করা বেদআত হয়ে থাকে তাহলে প্রত্যেক মসজিদে নামাযের সময়সুচি ঝুলিয়ে রেখে ঘড়ির সময় হিসাবে জামাত শুরু করা কি উচিত হচ্ছে?

question and answer iconউত্তর দিয়েছেন: মুফতী মাসিক আলকাউসার
২৮ অক্টোবর, ২০২০
আপনার জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর | মুসলিম বাংলা