আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ

১২- দুই ঈদের অধ্যায়

হাদীস নং:
আন্তর্জাতিক নং: ৯৮৭
৬২৬. কেউ ঈদের নামায না পেলে সে দু’রাকাআত নামায আদায় করবে। মহিলা এবং যারা বাড়ী ও পল্লীতে অবস্থান করে তারাও এরূপ করবে। কেননা, নবী করীম (ﷺ) বলেছেনঃ হে মুসলিমগণ! এ হলো আমাদের ঈদ।
আর আনাস ইবনে মালিক (রাযিঃ) যাবিয়া নামক স্থানে তার আযাদকৃত গোলাম ইবনে আবু উতবাকে এ আদেশ করেছিলেন। তাই তিনি তার পরিবারবর্গ ও সন্তান সন্ততিদের নিয়ে শহরের অধিবাসীদের ন্যায় তাকবীরসহ নামায আদায় করেন এবং ইকরিমা (রাহঃ) বলেছেন, গ্রামের অধিবাসীরা ঈদের দিন সমবেত হয়ে ইমামের ন্যায় দু’রাকাআত নামায আদায় করবে।
আতা (রাহঃ) বলেন, যখন কারো ঈদের নামায ছুটে যায় তখন সে দু’রাকাআত নামায আদায় করবে।
৯৩৫। ইয়াহয়া ইবনে বুকাইর (রাহঃ) ......... আয়িশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, আবু বকর (রাযিঃ) তার নিকট এলেন। এ সময় মিনার দিবসগুলোর এক দিবসে তার নিকট দু’টি মেয়ে দফ বাজাচ্ছিল, নবী (ﷺ) তার চাদর আবৃত অবস্থায় ছিলেন। তখন আবু বকর (রাযিঃ) মেয়ে দুটিকে ধমক দিলেন। তারপর নবী (ﷺ) মুখমণ্ডল থেকে কাপড় সরিয়ে নিয়ে বললেন, হে আবু বকর! ওদের বাধা দিও না। কেননা, এসব ঈদের দিন। আর সে দিনগুলো ছিল মিনার দিন।
আয়িশা (রাযিঃ) আরো বলেছেন, হাবশীরা যখন মসজিদ (এর প্রাঙ্গণে) খেলাধুলা করছিল, তখন আমি তাদের দেখছিলাম এবং আমি দেখছি, নবী করীম (ﷺ) আমাকে আড়াল করে রেখেছেন। উমর (রাযিঃ) হাবশীদের ধমক দিলেন। তখন নবী (ﷺ) বললেন, ওদের ধমক দিও না। হে বনু আরফিদা! তোমরা যা করছিলে তা নিশ্চিন্তে কর।
tahqiqতাহকীক:তাহকীক নিষ্প্রয়োজন