আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ
১০- জুমআর অধ্যায়
হাদীস নং:
আন্তর্জাতিক নং: ৯১৩
৫৭৬. জুমআর দিন এক মুয়াজ্জিনের আযান দেওয়া ।
৮৬৭। আবু নুআইম (রাহঃ) ......... সায়িব ইবনে ইয়াযীদ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, মদীনার অধিবাসীদের সংখ্যা যখন বৃদ্ধি পেল, তখন জুমআর দিন তৃতীয় আযান যিনি বৃদ্ধি করলেন, তিনি হলেন, উসমান ইবনে আফফান (রাযিঃ)। নবী (ﷺ) এর সময় (জুম’আর জন্য) একজন ব্যতীত মুয়াযযিন ছিল না এবং জুম’আর দিন আযান দেওয়া হত যখন ইমাম বসতেন অর্থাৎ মিম্বরের উপর খুতবার পূর্বে।
হাদীসের ব্যাখ্যা:
হাদীস থেকে প্রমাণিত হয় যে, হযরত উসমান রা.-এর খিলাফতের পূর্ব পর্যনত্ম জুমআর দিন খতীবের সামনে একবার আযান দেয়া হতো; যেটাকে আমরা বর্তমানে ছানী আযান বলে থাকি। অতঃপর হযরত উসমান রা.-এর যুগে এসে যখন মানুষের সংখ্যা অনেক বেড়ে গেলো তখন নামাযের ওয়াক্ত সম্পর্কে মানুষকে ব্যাপকভাবে জানানোর জন্য তৃতীয় খলীফায়ে রাশেদ হযরত উসমান রা. এ আযানের প্রচলন ঘটালেন। এখন আমাদের জন্য উভয় আযানের অনুকরণ করা ছুন্নাত হবে। কেননা সহীহ হাদীসের বর্ণনায় রসূল স. আমাদেরকে খুলাফায়ে রাশেদার ছুন্নাতের অনুকরণের নির্দেশ দিয়েছেন। (আবু দাউদ-৪৫৫২, মুসনাদে আহমাদ-১৭১৪৪ তিরমিযী-২৬৭৬ এবং ইবনে মাযা-৪২) এটাই হানাফী মাযহাবের মত। (শামী: ১/৩৮৪, ২/১৬১)
উল্লেখ্য, সে যুগে ইকামাতকে আযান বলে গণ্য করা হতো। তাই হাদীসে এটাকে তৃতীয় আযান বলা হয়েছে। অন্যথায় আযান হতো দুটি আর ইকামাত একটি।
উল্লেখ্য, সে যুগে ইকামাতকে আযান বলে গণ্য করা হতো। তাই হাদীসে এটাকে তৃতীয় আযান বলা হয়েছে। অন্যথায় আযান হতো দুটি আর ইকামাত একটি।


বর্ণনাকারী: