আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ

১০- জুমআর অধ্যায়

হাদীস নং:
আন্তর্জাতিক নং: ৯১২
৫৭৫. জুমআর দিনের আযান ।
৮৬৬। আদম (রাহঃ) ......... সায়িব ইবনে ইয়াযীদ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী (ﷺ), আবু বকর (রাযিঃ) এবং উমর (রাযিঃ)-এর সময় জুম’আর দিন ইমাম যখন মিম্বরের উপর বসতেন, তখন প্রথম আযান দেওয়া হত। পরে যখন উসমান (রাযিঃ) খলীফা হলেন এবং লোকসংখ্যা বৃদ্ধি পেল, তখন তিনি ‘যাওরা’ থেকে তৃতীয়* আযান বৃদ্ধি করেন। আবু আব্দুল্লাহ (ইমাম বুখারী) (রাহঃ) বলেন, ‘যাওরা’ হল মদীনার অদূরে বাজারের একটি স্থান।
*এর আগে কেবল খুতবার আযান ও ইকামত প্রচলিত ছিল। এখন থেকে তৃতীয় অর্থাৎ, নামাযের জন্য বর্তমানে প্রচলিত আযানের সূচনা হয়।

হাদীসের ব্যাখ্যা:

এ হাদীস থেকে প্রমাণিত হয় যে, হযরত উসমান রা.-এর খিলাফতের পূর্ব পর্যন্ত জুমআর দিন খতীবের সামনে একবার আযান দেয়া হতো; যেটাকে আমরা বর্তমানে ছানী আযান বলে থাকি। অতঃপর হযরত উসমান রা.-এর যুগে এসে যখন মানুষের সংখ্যা অনেক বেড়ে গেলো তখন নামাযের ওয়াক্ত সম্পর্কে মানুষকে ব্যাপকভাবে জানানোর জন্য তৃতীয় খলীফায়ে রাশেদ হযরত উসমান রা. এ আযানের প্রচলন ঘটালেন। এখন আমাদের জন্য উভয় আযানের অনুকরণ করা ছুন্নাত হবে। কেননা সহীহ হাদীসের বর্ণনায় রসূল স. আমাদেরকে খুলাফায়ে রাশেদার ছুন্নাতের অনুকরণের নির্দেশ দিয়েছেন। (আবু দাউদ-৪৫৫২, মুসনাদে আহমাদ-১৭১৪৪ তিরমিযী-২৬৭৬ এবং ইবনে মাযা-৪২) এটাই হানাফী মাযহাবের মত। (শামী: ১/৩৮৪, ২/১৬১)

উল্লেখ্য, সে যুগে ইকামাতকে আযান বলে গণ্য করা হতো। তাই হাদীসে এটাকে তৃতীয় আযান বলা হয়েছে। অন্যথায় আযান হতো দুটি আর ইকামাত একটি।
tahqiqতাহকীক:তাহকীক নিষ্প্রয়োজন