আল মুসনাদুস সহীহ- ইমাম মুসলিম রহঃ
৫- মসজিদ ও নামাযের স্থান সমূহের বর্ণনা
হাদীস নং: ১২৬৭
আন্তর্জাতিক নং: ৬১৩-১
৩১. পাঁচ ফরয নামাযের সময়
১২৬৭। যুহাইর ইবনে হারব ও উবাইদুল্লাহ ইবনে সাঈদ (রাহঃ) ......... বুরায়দা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী (ﷺ) কে একব্যক্তি নামাযের ওয়াক্ত সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলেন। তিনি তাকে বললেন, তুমি আমাদের সঙ্গে এই দুই দিন নামায আদায় কর। তারপর (প্রথম দিন) সূর্য ঢলে পড়তেই তিনি বিলাল (রাযিঃ) কে আযান দিতে বললেন। তিনি আযান দিলেন। তারপর তাঁকে নির্দেশ দিলেন তিনি যোহরের ইকামত দিলেন। তারপর তিনি নির্দেশ দিলেন বিলাল (রাযিঃ) আসরের ইকামত দিলেন। তখন সূর্য উপরে-অবস্থিত শুভ্র, স্বচ্ছ। তারপর তাঁকে নির্দেশ দিলেন। তিনি মাগরিবের ইকামত দিলেন তখন সূর্য অস্তমিত হয়েছে। তারপর তাকে নির্দেশ দিলেন, তিনি ইশার ইকামত দিলেন। তখন শাফাক অদৃশ্য হয়েছে। তারপর নির্দেশ দিলেন। তিনি ফজরের ইকামত দিলেন। তখন মাত্র সুবহে সা’দিক হয়েছে।
তারপর দ্বিতীয় দিন এলে তিনি যোহরের জন্য তাপ ঠাণ্ডা হওয়ার পর আযানের নির্দেশ দিলেন। তিনি তাপ ঠাণ্ডা হওয়ার অপেক্ষা করলেন এবং তাপ যথেষ্ট ঠাণ্ডা হওয়ার পর যোহর আদায় করলেন। তিনি অতঃপর আসর পড়লেন। সূর্য তখনও উপরে, কিন্তু প্রথম দিন অপেক্ষা বিলম্বে। অতঃপর মাগরিব আদায় করলেন-শাফাক অদৃশ্য হওয়ার আগে। তারপর ইশা আদায় করলেন-রাত্রির এক তৃতীয়াংশের পর। তারপর ফজর পড়লেন সুব্হে সাদিক ফর্সা হওয়ার পর। তারপর বললেন, নামাযের ওয়াক্ত সম্পর্কে প্রশ্নকারী লোকটি কোথায়? সে ব্যক্তি বলল, ইয়া রাসুলাল্লাহ! আমি। তিনি বললেন, তোমাদের নামাযের সময় এই দুই দিন যা দেখলে তার মাঝখানে।
তারপর দ্বিতীয় দিন এলে তিনি যোহরের জন্য তাপ ঠাণ্ডা হওয়ার পর আযানের নির্দেশ দিলেন। তিনি তাপ ঠাণ্ডা হওয়ার অপেক্ষা করলেন এবং তাপ যথেষ্ট ঠাণ্ডা হওয়ার পর যোহর আদায় করলেন। তিনি অতঃপর আসর পড়লেন। সূর্য তখনও উপরে, কিন্তু প্রথম দিন অপেক্ষা বিলম্বে। অতঃপর মাগরিব আদায় করলেন-শাফাক অদৃশ্য হওয়ার আগে। তারপর ইশা আদায় করলেন-রাত্রির এক তৃতীয়াংশের পর। তারপর ফজর পড়লেন সুব্হে সাদিক ফর্সা হওয়ার পর। তারপর বললেন, নামাযের ওয়াক্ত সম্পর্কে প্রশ্নকারী লোকটি কোথায়? সে ব্যক্তি বলল, ইয়া রাসুলাল্লাহ! আমি। তিনি বললেন, তোমাদের নামাযের সময় এই দুই দিন যা দেখলে তার মাঝখানে।
باب أَوْقَاتِ الصَّلَوَاتِ الْخَمْسِ
حَدَّثَنِي زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، وَعُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ سَعِيدٍ، كِلاَهُمَا عَنِ الأَزْرَقِ، - قَالَ زُهَيْرٌ حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ يُوسُفَ الأَزْرَقُ، - حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ عَلْقَمَةَ بْنِ مَرْثَدٍ، عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ بُرَيْدَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَنَّ رَجُلاً سَأَلَهُ عَنْ وَقْتِ الصَّلاَةِ فَقَالَ لَهُ " صَلِّ مَعَنَا هَذَيْنِ " . يَعْنِي الْيَوْمَيْنِ فَلَمَّا زَالَتِ الشَّمْسُ أَمَرَ بِلاَلاً فَأَذَّنَ ثُمَّ أَمَرَهُ فَأَقَامَ الظُّهْرَ ثُمَّ أَمَرَهُ فَأَقَامَ الْعَصْرَ وَالشَّمْسُ مُرْتَفِعَةٌ بَيْضَاءُ نَقِيَّةٌ ثُمَّ أَمَرَهُ فَأَقَامَ الْمَغْرِبَ حِينَ غَابَتِ الشَّمْسُ ثُمَّ أَمَرَهُ فَأَقَامَ الْعِشَاءَ حِينَ غَابَ الشَّفَقُ ثُمَّ أَمَرَهُ فَأَقَامَ الْفَجْرَ حِينَ طَلَعَ الْفَجْرُ فَلَمَّا أَنْ كَانَ الْيَوْمُ الثَّانِي أَمَرَهُ فَأَبْرَدَ بِالظُّهْرِ فَأَبْرَدَ بِهَا فَأَنْعَمَ أَنْ يُبْرِدَ بِهَا وَصَلَّى الْعَصْرَ وَالشَّمْسُ مُرْتَفِعَةٌ أَخَّرَهَا فَوْقَ الَّذِي كَانَ وَصَلَّى الْمَغْرِبَ قَبْلَ أَنْ يَغِيبَ الشَّفَقُ وَصَلَّى الْعِشَاءَ بَعْدَ مَا ذَهَبَ ثُلُثُ اللَّيْلِ وَصَلَّى الْفَجْرَ فَأَسْفَرَ بِهَا ثُمَّ قَالَ " أَيْنَ السَّائِلُ عَنْ وَقْتِ الصَّلاَةِ " . فَقَالَ الرَّجُلُ أَنَا يَا رَسُولَ اللَّهِ . قَالَ " وَقْتُ صَلاَتِكُمْ بَيْنَ مَا رَأَيْتُمْ " .


বর্ণনাকারী: