আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ

৮২- কুরআন ও সুন্নাহকে দৃঢ়ভাবে গ্রহণ ও অনুসরণের বর্ণনা

হাদীস নং: ৬৮০৭
আন্তর্জাতিক নং: ৭৩০৫
৩০৭৯. দ্বীনের ক্ষেত্রে মাত্রাতিরিক্ত কঠোরতা অবলম্বন, তর্ক-বিতর্কে প্রবৃত্ত হওয়া, বাড়াবাড়ি করা এবং বিদআত অপছন্দীয়।
৬৮০৭। আব্দুল্লাহ ইবনে ইউসুফ (রাহঃ) ......... ইবনে শিহাব (রাহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, মালিক ইবনে আওস নযরী (রাহঃ) আমাকে এ হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। অবশ্য মুহাম্মাদ ইবনে জুবাইর ইবনে মুতঈম এ সম্পর্কে কিছু কথা বলেছিলেন। পরে আমি মালিকের নিকট যাই এবং তাকে এ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করি। তখন তিনি বলেন, উমর (রাযিঃ) এর সাথে সাক্ষাতের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়ে তার নিকটে উপস্থিত হলাম। এমন সময় তার দাররক্ষক ইয়ারফা এসে বলল, উসমান, আব্দুর রহমান, যুবাইর এবং সা’দ (রাযিঃ) আসতে চাচ্ছেন। আপনার পক্ষ থেকে অনুমতি আছে কি? তিনি বললেন, হ্যাঁ। তারপর তাঁরা প্রবেশ করলেন এবং সালাম দিয়ে আসন গ্রহণ করলেন। দাররক্ষক (পুনরায় এসে) বলল, আলী এবং আব্বাসের ব্যাপারে আপনার অনুমতি আছে কি? তিনি তাদের উভয়কে অনুমতি দিলেন। আব্বাস (রাযিঃ) এসে বললেন, হে আমীরুল মু'মিনীন! আমার ও সীমালংঘননকারীর মাঝে ফায়সালা করে দিন। এবং তারা পরস্পরে গালমন্দ করলেন। তখন দলটি বললেন, উসমান ও তার সঙ্গীরা, হে আমীরুল মু'মিনীন! এ দু’জনের মাঝে ফায়সালা করে দিয়ে একজনকে অপরজন থেকে শান্তি দিন। উমর (রাযিঃ) বললেন, আপনারা একটু ধৈর্য ধরুন। আমি আপনাদেরকে সেই আল্লাহর কসম দিয়ে জিজ্ঞাসা করছি যার নামে আসমান ও যমীন স্বস্থানে বিদ্যমান, আপনারা কি এ কথা জানেন? যে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছিলেনঃ আমাদের সস্পদ উত্তরাধিকারীদের মধ্যে বন্টন হয় না, আমরা যা রেখে যাই তা সাদ্‌কা হিসাবে গণ্য হয়। এ কথা দ্বারা নবী (ﷺ) নিজেকেই উদ্দেশ্য করেছিলেন। (আগত) দলের সকলেই বললেন, হ্যাঁ তিনি এ কথা বলেছিলেন। তারপর উমর (রাযিঃ) আলী ও আব্বাস (রাযিঃ) এর দিকে ফিরে বললেন, আপনাদের দু’জনকে আল্লাহর কসম দিয়ে জিজ্ঞাসা করছি, আপনারা কি জানেন যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এ কথা বলেছিলেন? তাঁরা দু’জনেই বললেনঃ হ্যাঁ। উমর (রাযিঃ) বললেন, আমি আপনাদেরকে জানিয়ে দিচ্ছি যে, আল্লাহ তাআলা এই সম্পদের একাংশ তাঁর রাসূল (ﷺ) এর জন্য নির্ধারিত করে দিয়েছিলেন, অপর কারো জন্য দেওয়া হয়নি। এ মর্মে আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেছেনঃ আল্লাহ ইহুদীদের কাছ থেকে তার রাসূলকে যে ফায় দিয়েছেন তার জন্য তোমরা ঘোড়া কিংবা উটে আরোহণ করে যুদ্ধ করনি (৫৯ঃ ৬)। সুতরাং এ সম্পদ একমাত্র রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর জন্যই নির্দিষ্ট ছিল। তারপর আল্লাহর কসম! তিনি আপনাদেরকে বাদ দিয়ে এককভাবে নিজের জন্য তা সষ্ণিত করে রাখেননি, কিংবা এককভাবে আপনাদেরকেও দিয়ে দেননি। বরং তিনি আপনাদের সকলকেই তা থেকে প্রদান করেছেন এবং সকলের মাঝে বণ্টন করে দিয়েছেন। অবশেষে তা থেকে এই পরিমাণ সস্পদ অবশিষ্ট রয়েছে। নবী (ﷺ) এই সস্পদ থেকে তার পরিবার-পরিজনের জন্য তাদের বছরের খরচ দিতেন। এরপর যা অবশিষ্ট থাকত তা আল্লাহর মাল যে পথে ব্যয় হয় সে পথে ব্যয়ের জন্য রেখে দিতেন।
নবী (ﷺ) তাঁর জীবদ্দশায় এরূপ করতেন। আল্লাহর কসম দিয়ে জিজ্ঞাসা করছি, আপনারা কি এ সম্পর্কে অবগত আছেন? সকলেই বললেন, হ্যাঁ। তারপর আলী (রাযিঃ) ও আব্বাস (রাযিঃ) কে লক্ষ্য করে বললেন, আল্লাহর কসম দিয়ে আপনাদের দু’জনকে জিজ্ঞাসা করছি, আপনারা কি এ সম্পর্কে জানেন? তারা দু’জনেই বললেন, হ্যাঁ। এরপর আল্লাহ তার নবী (ﷺ) কে ওফাত দান করলেন। তখন আবু বকর (রাযিঃ) বললেন, আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর স্থলাভিষিক্ত। অতএব তিনি সে সম্পদ অধিগ্রহণ করলেন এবং রাসূলুল্লাহ (ﷺ) যে খাতে এ সম্পদ খরচ করতেন তিনিও হুবহু সেভাবেই খরচ করতেন। আপনারা তখন ছিলেন। তারপর আলী (রাযিঃ) ও আব্বাস (রাযিঃ) এর দিকে ফিরে বললেন, আপনারা দু’জন তখনও মনে করতেন যে আবু বকর (রাযিঃ) এ ব্যাপারে এরূপ ছিলেন। আল্লাহ জানেন তিনি এ ব্যাপারে সত্যবাদী, সৎপরায়ণ, ন্যায়নিষ্ঠ ও হকের অনুসারী ছিলেন। তারপর আল্লাহ তাআ’লা আবু বকর (রাযিঃ) কেও ওফাত দিলেন। তখন আমি বললাম, এখন আমি আবু বকর ও রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর স্থলাভিষিক্ত। সুতরাং দু’বছর আমি তা আমার তত্ত্বাবধানে রাখলাম এবং আবু বকর (রাযিঃ) ও রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তা যে খাতে ব্যয় করতেন, আমিও অনুরূপ করতে লাগলাম। তারপর আপনারা দু’জন আমার কাছে এলেন। আপনাদের দু’জনের একই কথা ছিল, দাবিও ছিল অভিন্ন। আপনি এসেছিলেন স্বীয় ভ্রাতুষ্পুত্র থেকে নিজের অংশ আদায় করে নেয়ার দাবি নিয়ে, আর ইনি (আলী) এসেছিলেন তাঁর স্ত্রীর পৈতৃক সূত্রে প্রাপ্ত অংশ আদায় করে নেয়ার দাবি নিয়ে। আমি বললাম, যদি আপনারা চান তাহলে আমি আপনাদেরকে তা দিয়ে দিতে পারি, তবে এ শর্তে যে, আপনারা আল্লাহর নামে এই অঙ্গীকার ও প্রতিশ্রুতিতে আবদ্ধ হবেন যে, এ সস্পদ রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ও আবু বকর (রাযিঃ) যে ভাবে ব্যয় করতেন এবং আমি এর দায়িত্বভার গ্রহণ করার পর যেভাবে তা ব্যয় করেছি, আপনারাও অনুরূপভাবে ব্যয় করবেন। তখন আপনারা দু’জনে বলেছিলেন, এ শর্তেই আপনি তা আমাদের হাতে অর্পণ করুন। ফলে আমি তা আপনাদের কাছে সোপর্দ করে দিয়েছিলাম। আল্লাহর কসম দিয়ে আপনাদেরকে জিজ্ঞাসা করছি, আমি কি সেই শর্তের উপর এদের কাছে সে সম্পদ দিয়ে দেইনি? সকলেই বলল, হ্যাঁ। তখন তিনি আলী (রাযিঃ) ও আব্বাস (রাযিঃ) এর দিকে ফিরে বললেন, আল্লাহর কসম দিয়ে আপনাদের দু’জনকে জিজ্ঞাসা করছি, আমি কি ঐ শর্তে আপনাদেরকে সে সস্পদ দিয়ে দেইনি? তারা দু’জন বললেন, হ্যাঁ। তখন তিনি বললেনঃ আপনারা কি আমার কাছ থেকে এর ভিন্ন কোন মিমাংসা পেতে চান? সে সত্তার কসম করে বলছি, যার নির্দেশে আকাশ ও যমীন স্বস্থানে বিদ্যমান, কিয়ামতের পূর্বে আমি এ ব্যাপারে নতুন কোন মিমাংসা করব না। যদি আপনারা এর তত্ত্বাবধানে অক্ষম হন, তাহলে তা আমার নিকট দিয়ে দিন। আপনাদের দু’জনের স্থলে আমি একাই এর তত্ত্বাবধায়ের জন্য যথেষ্ট।
باب مَا يُكْرَهُ مِنَ التَّعَمُّقِ وَالتَّنَازُعِ فِي الْعِلْمِ وَالْغُلُوِّ فِي الدِّينِ وَالْبِدَعِ
7305 - حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ يُوسُفَ، حَدَّثَنَا اللَّيْثُ، حَدَّثَنِي عُقَيْلٌ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، قَالَ: أَخْبَرَنِي مَالِكُ بْنُ أَوْسٍ النَّصْرِيُّ، وَكَانَ مُحَمَّدُ بْنُ جُبَيْرِ بْنِ مُطْعِمٍ ذَكَرَ لِي ذِكْرًا مِنْ ذَلِكَ، فَدَخَلْتُ عَلَى مَالِكٍ فَسَأَلْتُهُ، فَقَالَ: انْطَلَقْتُ حَتَّى أَدْخُلَ عَلَى عُمَرَ أَتَاهُ حَاجِبُهُ يَرْفَا، فَقَالَ: هَلْ لَكَ فِي عُثْمَانَ، وَعَبْدِ الرَّحْمَنِ، وَالزُّبَيْرِ، وَسَعْدٍ يَسْتَأْذِنُونَ، قَالَ: نَعَمْ، فَدَخَلُوا فَسَلَّمُوا وَجَلَسُوا، فَقَالَ: هَلْ لَكَ فِي عَلِيٍّ، وَعَبَّاسٍ، فَأَذِنَ لَهُمَا، قَالَ العَبَّاسُ: يَا أَمِيرَ المُؤْمِنِينَ، اقْضِ بَيْنِي وَبَيْنَ الظَّالِمِ اسْتَبَّا، فَقَالَ الرَّهْطُ: - عُثْمَانُ وَأَصْحَابُهُ -: يَا أَمِيرَ المُؤْمِنِينَ اقْضِ بَيْنَهُمَا، وَأَرِحْ أَحَدَهُمَا [ص:99] مِنَ الآخَرِ، فَقَالَ: اتَّئِدُوا، أَنْشُدُكُمْ بِاللَّهِ الَّذِي بِإِذْنِهِ تَقُومُ السَّمَاءُ وَالأَرْضُ، هَلْ تَعْلَمُونَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «لاَ نُورَثُ مَا تَرَكْنَا صَدَقَةٌ» يُرِيدُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نَفْسَهُ؟ قَالَ الرَّهْطُ: قَدْ قَالَ ذَلِكَ، فَأَقْبَلَ عُمَرُ عَلَى عَلِيٍّ، وَعَبَّاسٍ فَقَالَ: أَنْشُدُكُمَا بِاللَّهِ هَلْ تَعْلَمَانِ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ ذَلِكَ؟ قَالاَ: نَعَمْ، قَالَ عُمَرُ: فَإِنِّي مُحَدِّثُكُمْ عَنْ هَذَا الأَمْرِ، إِنَّ اللَّهَ كَانَ خَصَّ رَسُولَهُ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي هَذَا المَالِ بِشَيْءٍ لَمْ يُعْطِهِ أَحَدًا غَيْرَهُ، فَإِنَّ اللَّهَ يَقُولُ: {مَا أَفَاءَ اللَّهُ عَلَى رَسُولِهِ مِنْهُمْ فَمَا أَوْجَفْتُمْ} [الحشر: 6] الآيَةَ، فَكَانَتْ هَذِهِ خَالِصَةً لِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، ثُمَّ وَاللَّهِ مَا احْتَازَهَا دُونَكُمْ، وَلاَ اسْتَأْثَرَ بِهَا عَلَيْكُمْ، وَقَدْ أَعْطَاكُمُوهَا وَبَثَّهَا فِيكُمْ حَتَّى بَقِيَ مِنْهَا هَذَا المَالُ، وَكَانَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُنْفِقُ عَلَى أَهْلِهِ نَفَقَةَ سَنَتِهِمْ مِنْ هَذَا المَالِ، ثُمَّ يَأْخُذُ مَا بَقِيَ فَيَجْعَلُهُ مَجْعَلَ مَالِ اللَّهِ، فَعَمِلَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِذَلِكَ حَيَاتَهُ، أَنْشُدُكُمْ بِاللَّهِ: هَلْ تَعْلَمُونَ ذَلِكَ؟ فَقَالُوا: نَعَمْ، ثُمَّ قَالَ لِعَلِيٍّ وَعَبَّاسٍ: أَنْشُدُكُمَا اللَّهَ، هَلْ تَعْلَمَانِ ذَلِكَ؟ قَالاَ: نَعَمْ، ثُمَّ تَوَفَّى اللَّهُ نَبِيَّهُ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقَالَ أَبُو بَكْرٍ: أَنَا وَلِيُّ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقَبَضَهَا أَبُو بَكْرٍ فَعَمِلَ فِيهَا بِمَا عَمِلَ فِيهَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَأَنْتُمَا حِينَئِذٍ - وَأَقْبَلَ عَلَى عَلِيٍّ وَعَبَّاسٍ - تَزْعُمَانِ أَنَّ أَبَا بَكْرٍ فِيهَا كَذَا، وَاللَّهُ يَعْلَمُ أَنَّهُ فِيهَا صَادِقٌ بَارٌّ رَاشِدٌ تَابِعٌ لِلْحَقِّ، ثُمَّ تَوَفَّى اللَّهُ أَبَا بَكْرٍ، فَقُلْتُ: أَنَا وَلِيُّ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَأَبِي بَكْرٍ، فَقَبَضْتُهَا سَنَتَيْنِ أَعْمَلُ فِيهَا بِمَا عَمِلَ بِهِ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَأَبُو بَكْرٍ، ثُمَّ جِئْتُمَانِي وَكَلِمَتُكُمَا عَلَى كَلِمَةٍ وَاحِدَةٍ، وَأَمْرُكُمَا جَمِيعٌ، جِئْتَنِي تَسْأَلُنِي نَصِيبَكَ مِنَ ابْنِ أَخِيكِ، وَأَتَانِي هَذَا يَسْأَلُنِي نَصِيبَ امْرَأَتِهِ مِنْ أَبِيهَا، فَقُلْتُ: إِنْ شِئْتُمَا دَفَعْتُهَا إِلَيْكُمَا عَلَى أَنَّ عَلَيْكُمَا عَهْدَ اللَّهِ وَمِيثَاقَهُ، لَتَعْمَلاَنِ فِيهَا بِمَا عَمِلَ بِهِ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَبِمَا عَمِلَ فِيهَا أَبُو بَكْرٍ، وَبِمَا عَمِلْتُ فِيهَا مُنْذُ وَلِيتُهَا، وَإِلَّا فَلاَ تُكَلِّمَانِي فِيهَا، فَقُلْتُمَا: ادْفَعْهَا إِلَيْنَا بِذَلِكَ، فَدَفَعْتُهَا إِلَيْكُمَا بِذَلِكَ، أَنْشُدُكُمْ بِاللَّهِ، هَلْ دَفَعْتُهَا إِلَيْهِمَا بِذَلِكَ؟ قَالَ الرَّهْطُ: نَعَمْ، فَأَقْبَلَ عَلَى عَلِيٍّ وَعَبَّاسٍ، فَقَالَ: أَنْشُدُكُمَا بِاللَّهِ، هَلْ دَفَعْتُهَا إِلَيْكُمَا بِذَلِكَ؟ قَالاَ: نَعَمْ، قَالَ: أَفَتَلْتَمِسَانِ مِنِّي قَضَاءً غَيْرَ ذَلِكَ، فَوَالَّذِي بِإِذْنِهِ تَقُومُ السَّمَاءُ وَالأَرْضُ، لاَ أَقْضِي فِيهَا قَضَاءً غَيْرَ ذَلِكَ حَتَّى تَقُومَ السَّاعَةُ، فَإِنْ عَجَزْتُمَا عَنْهَا فَادْفَعَاهَا [ص:100] إِلَيَّ، فَأَنَا أَكْفِيكُمَاهَا
tahqiqতাহকীক:বিশুদ্ধ (পারিভাষিক সহীহ)
সহীহ বুখারী - হাদীস নং ৬৮০৭ | মুসলিম বাংলা