আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ
৮২- কুরআন ও সুন্নাহকে দৃঢ়ভাবে গ্রহণ ও অনুসরণের বর্ণনা
হাদীস নং: ৬৮০৬
আন্তর্জাতিক নং: ৭৩০৪
৩০৭৯. দ্বীনের ক্ষেত্রে মাত্রাতিরিক্ত কঠোরতা অবলম্বন, তর্ক-বিতর্কে প্রবৃত্ত হওয়া, বাড়াবাড়ি করা এবং বিদআত অপছন্দীয়।
৬৮০৬। আদম (রাহঃ) ......... সাহল ইবনে সা’দ সাঈদী (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, উওয়ায়মির (রাযিঃ) আসিম ইবনে আদীর কাছে এসে বলল, আচ্ছা বলুন তো, যদি কোন ব্যক্তি তার স্ত্রীর সাথে অন্য কাউকে পায় এবং তাকে হত্যা করে ফেলে, তাহলে এর জন্য (কিসাস হিসাবে) আপনারা কি তাকে হত্যা করবেন? হে আসিম! আপনি আমার জন্য এ বিষয়টি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কে জিজ্ঞাসা করুন। তিনি জিজ্ঞাসা করলে নবী (ﷺ) এহেন বিষয় সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করাকে অপছন্দ করলেন এবং দূষণীয় মনে করলেন। আসিম (রাযিঃ) ফিরে এসে তাকে জানাল যে, নবী (ﷺ) বিষয়টিকে খারাপ মনে করেছেন। উওয়ায়মির (রাযিঃ) বললেনঃ আল্লাহর কসম! আমি নিজেই নবী (ﷺ) এর নিকট যাব। তারপর তিনি আসলেন। আসিম (রাযিঃ) চলে যাওয়ার পরেই আল্লাহ তাআলা কুরআন নাযিল করেছেন। নবী (ﷺ) তাকে বললেনঃ তোমাদের ব্যাপারে আল্লাহ তাআলা কুরআনের আয়াত নাযিল করেছেন। তিনি তাদের দু’জনকেই (সে ও তার স্ত্রী) ডাকলেন। তারা উপস্থিত হল এবং লিআন করল। তারপর উওয়ায়মির (রাযিঃ) বলল, ইয়া রাসুলাল্লাহ! যদি আমি তাকে আটকিয়ে রাখি তাহলে তো আমি তার উপর মিথ্যা আরোপ করেছি, এ বলে তিনি তার সাথে বিবাহ বন্ধনকে ছিন্ন করলেন। অবশ্য নবী (ﷺ) তাকে বিবাহ বন্ধন ছিন্ন করতে বলেননি। পরে লিআন কারীদের মাঝে (বিবাহ বন্ধন ছিন্ন করার) এ প্রথাই প্রচলিত হয়ে পড়ে। নবী (ﷺ) (মহিলাটি সম্পর্কে) বললেনঃ একে লক্ষ্য রেখ, যদি সে খাটো ওয়াহারার (এক জাতীয় পোকা) ন্যায় লালচে সন্তান প্রসব করে, তাহলে আমি মনে করব উওয়ায়মির মিথ্যাই বলেছে। আর যদি সে কাল চোখবিশিষ্ট ও অপেক্ষাকৃত বৃহৎ নিতম্বধারী সন্তান প্রসব করে, তাহলে মনে করব উওয়ায়মির তার সম্পর্কে সত্যই বলেছে। পরে সে অবাঞ্ছিত সন্তানই প্রসব করে।
باب مَا يُكْرَهُ مِنَ التَّعَمُّقِ وَالتَّنَازُعِ فِي الْعِلْمِ وَالْغُلُوِّ فِي الدِّينِ وَالْبِدَعِ
7304 - حَدَّثَنَا آدَمُ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي ذِئْبٍ، حَدَّثَنَا الزُّهْرِيُّ، عَنْ سَهْلِ بْنِ سَعْدٍ السَّاعِدِيِّ، قَالَ: جَاءَ عُوَيْمِرٌ العَجْلاَنِيُّ، إِلَى عَاصِمِ بْنِ عَدِيٍّ، فَقَالَ: أَرَأَيْتَ رَجُلًا وَجَدَ مَعَ امْرَأَتِهِ رَجُلًا فَيَقْتُلُهُ، أَتَقْتُلُونَهُ بِهِ، سَلْ لِي يَا عَاصِمُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَسَأَلَهُ، فَكَرِهَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ المَسَائِلَ، وَعَابَهَا، فَرَجَعَ عَاصِمٌ، فَأَخْبَرَهُ أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَرِهَ المَسَائِلَ، فَقَالَ عُوَيْمِرٌ: وَاللَّهِ لَآتِيَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَجَاءَ وَقَدْ أَنْزَلَ اللَّهُ تَعَالَى القُرْآنَ خَلْفَ عَاصِمٍ، فَقَالَ لَهُ: «قَدْ أَنْزَلَ اللَّهُ فِيكُمْ قُرْآنًا» فَدَعَا بِهِمَا، فَتَقَدَّمَا، فَتَلاَعَنَا، ثُمَّ قَالَ عُوَيْمِرٌ: كَذَبْتُ عَلَيْهَا يَا رَسُولَ اللَّهِ، إِنْ أَمْسَكْتُهَا، فَفَارَقَهَا وَلَمْ يَأْمُرْهُ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِفِرَاقِهَا، فَجَرَتِ السُّنَّةُ فِي المُتَلاَعِنَيْنِ، وَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «انْظُرُوهَا، فَإِنْ جَاءَتْ بِهِ أَحْمَرَ قَصِيرًا مِثْلَ وَحَرَةٍ، فَلاَ أُرَاهُ إِلَّا قَدْ كَذَبَ، وَإِنْ جَاءَتْ بِهِ أَسْحَمَ أَعْيَنَ ذَا أَلْيَتَيْنِ، فَلاَ أَحْسِبُ إِلَّا قَدْ صَدَقَ عَلَيْهَا» فَجَاءَتْ بِهِ عَلَى الأَمْرِ المَكْرُوهِ
