রিয়াযুস সালিহীন-ইমাম নববী রহঃ
৭. রোগীর শুশ্রূষা ও মাইয়্যেতের প্রতি কর্তব্য
হাদীস নং: ৯৩১
রোগীর শুশ্রূষা ও মাইয়্যেতের প্রতি কর্তব্য
পরিচ্ছেদ:১৩ জানাযার নামাযে মুসল্লীদের সংখ্যা বৃদ্ধি করা ও তাদের তিন বা ততোধিক কাতার বানানো
জানাযার নামাযে লোকসংখ্যা বেশি হওয়ার ফযীলত
হাদীছ নং: ৯৩১
হযরত আয়েশা রাযি. বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, যে-কোনও মায়্যিতের উপর যদি মুসলিমদের একটি দল জানাযার নামায পড়ে, যাদের সংখ্যা হয় একশ', আর তারা তাদের জন্য শাফা'আত করে, তবে তার জন্য তাদের শাফা'আত অবশ্যই কবুল করা হয়। -মুসলিম
(সহীহ মুসলিম: ৯৪৭; তাবারানী, আল মু'জামুল আওসাত: ৬০৩৯; বায়হাকী, আস সুনানুল কুবরা: ৬৯০৩; শু'আবুল ঈমান: ৮৮১১)
হাদীছ নং: ৯৩১
হযরত আয়েশা রাযি. বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, যে-কোনও মায়্যিতের উপর যদি মুসলিমদের একটি দল জানাযার নামায পড়ে, যাদের সংখ্যা হয় একশ', আর তারা তাদের জন্য শাফা'আত করে, তবে তার জন্য তাদের শাফা'আত অবশ্যই কবুল করা হয়। -মুসলিম
(সহীহ মুসলিম: ৯৪৭; তাবারানী, আল মু'জামুল আওসাত: ৬০৩৯; বায়হাকী, আস সুনানুল কুবরা: ৬৯০৩; শু'আবুল ঈমান: ৮৮১১)
كتاب عيادة المريض وتشييع الميت والصلاة عليه وحضور دفنه والمكث عند قبره بعد دفنه
باب استحباب تكثير المصلين عَلَى الجنازة وجعل صفوفهم ثلاثة فأكثر
931 - عن عائشة رضي الله عنها، قالت: قَالَ رسولُ الله - صلى الله عليه وسلم: «مَا مِنْ مَيتٍ يُصَلِّي عَلَيْهِ أُمَّةٌ مِنَ المُسْلِمِينَ يَبْلُغُونَ مِئَةً كُلُّهُمْ يَشْفَعُونَ لَهُ إِلاَّ شُفِّعُوا فِيهِ». رواه مسلم. (1)
হাদীসের ব্যাখ্যা:
জানাযার নামায ফরযে কেফায়াহ। এ নামায দ্বারা মায়্যিতের জন্য আল্লাহ তা'আলার কাছে শাফা'আত করা হয়। শাফা'আত মানে সুপারিশ করা। জানাযার দু'আর মাধ্যমে সুপারিশ করা হয় যেন আল্লাহ তা'আলা মায়্যিতকে ক্ষমা করে দেন। মায়্যিতকে আল্লাহ যাতে ক্ষমা করেন, সে কামনা প্রত্যেক মুসলিমেরই থাকা উচিত। সকল মুসলিম ভাই ভাই। এর দাবি হল প্রত্যেক মুসলিম অপর মুসলিমের দুনিয়া ও আখিরাত উভয় জাহানের কল্যাণ কামনা করবে। পরকালীন জীবনের কল্যাণ কামনা অধিকতর জরুরি, যেহেতু সে জীবন অনন্তকালের। তাই কোনও মুসলিম ব্যক্তি মারা গেলে জীবিতদের উচিত অতি আগ্রহের সঙ্গে তার জানাযায় অংশগ্রহণ করা। এ হাদীছটি সে উৎসাহই দান করছে। যে ব্যক্তিই জানাযায় অংশগ্রহণ করবে, সে মায়্যিতের পক্ষে একজন সুপারিশকারী। হাদীছটি দ্বারা জানা যাচ্ছে, এরকম সুপারিশকারীর সংখ্যা একশ' হলে আল্লাহ তা'আলা তাদের সুপারিশ কবুল করেন এবং মায়্যিতকে ক্ষমা করে দেন। আল্লাহ তা'আলা কত বড়ই না মেহেরবান। কোনও মায়্যিতের জানাযায় একশজন লোক উপস্থিত থাকা কঠিন কিছু নয়। একেক পাড়ায়, মহল্লায় শত শত লোক বাস করে। মৃত ভাইয়ের জন্য অন্তরে দরদ ও শুভকামনা থাকলে তার জানাযায় একশজন লোক হাজির হয়ে যাওয়া খুবই সহজ। কাজটি সহজ, অথচ তার সুফল কত বড়? বলাবাহুল্য, যে ব্যক্তি আগ্রহের সঙ্গে অন্যের জানাযায় হাজির থাকবে, আল্লাহ তা'আলা তার জানাযায়ও হাজির থাকার জন্য মানুষের অন্তরে আগ্রহ পয়দা করে দেবেন। আল্লাহ তা'আলা এটা আমাদেরকে এর উপর আমল করার তাওফীক দান করুন।
হাদীছটি দ্বারা এটা উপলব্ধি করা যায় যে, আল্লাহ তা'আলার কাছে একজন মুসলিম ব্যক্তির কী উঁচু মর্যাদা! সে যদি মুসলিম হয়, অর্থাৎ আখেরী নবী হযরত মুহাম্মাদ মুস্তফা সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের অনুসারী হয়, তবে আল্লাহ তা'আলা তাকে একজন শাফা'আতকারীর মর্যাদা দান করেন। পাপী ব্যক্তির পক্ষে তার শাফা'আত কবুল করেন, যদি সে পাপী ব্যক্তি নিজেও একজন মুসলিম হয়। অমুসলিমের পক্ষে জানাযাও নেই, সুপারিশও নেই। আখিরাতের নাজাত কেবল মুসলিমদের জন্যই নির্ধারিত।
হাদীস থেকে শিক্ষণীয়ঃ
ক. জানাযার নামাযে স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করা উচিত।
খ. জানাযার নামায দ্বারা মায়্যিতের জন্য মাগফিরাতের সুপারিশ করা হয়।
গ. জানাযায় অংশগ্রহণকারীদের সংখ্যা একশ' হলে আল্লাহর কাছে তাদের সুপারিশ কবুল হয়।
হাদীছটি দ্বারা এটা উপলব্ধি করা যায় যে, আল্লাহ তা'আলার কাছে একজন মুসলিম ব্যক্তির কী উঁচু মর্যাদা! সে যদি মুসলিম হয়, অর্থাৎ আখেরী নবী হযরত মুহাম্মাদ মুস্তফা সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের অনুসারী হয়, তবে আল্লাহ তা'আলা তাকে একজন শাফা'আতকারীর মর্যাদা দান করেন। পাপী ব্যক্তির পক্ষে তার শাফা'আত কবুল করেন, যদি সে পাপী ব্যক্তি নিজেও একজন মুসলিম হয়। অমুসলিমের পক্ষে জানাযাও নেই, সুপারিশও নেই। আখিরাতের নাজাত কেবল মুসলিমদের জন্যই নির্ধারিত।
হাদীস থেকে শিক্ষণীয়ঃ
ক. জানাযার নামাযে স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করা উচিত।
খ. জানাযার নামায দ্বারা মায়্যিতের জন্য মাগফিরাতের সুপারিশ করা হয়।
গ. জানাযায় অংশগ্রহণকারীদের সংখ্যা একশ' হলে আল্লাহর কাছে তাদের সুপারিশ কবুল হয়।
ব্যাখ্যা সূত্রঃ_ রিয়াযুস সালিহীন (অনুবাদ- মাওলানা আবুল বাশার মুহাম্মাদ সাইফুল ইসলাম হাফি.)