রিয়াযুস সালিহীন-ইমাম নববী রহঃ
ভূমিকা অধ্যায়
হাদীস নং: ৩৮৫
আল্লাহর জন্য ভালোবাসার ফযীলত, এর প্রতি উৎসাহদান এবং কেউ কাউকে ভালোবাসলে তাকে সে সম্পর্কে অবহিত করা আর তাকে তা অবহিত করা হলে জবাবে সে যা বলবে।
কাউকে মহব্বত করলে তাকে তা জানানো
হাদীছ নং: ৩৮৫
হযরত আনাস রাযি. থেকে বর্ণিত, এক ব্যক্তি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট উপস্থিত ছিল। এ অবস্থায় এক ব্যক্তি সেখান দিয়ে যাচ্ছিল। সে বলল, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমি এই ব্যক্তিকে ভালোবাসি। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে বললেন, তুমি কি তাকে জানিয়েছ? সে বলল, না। তিনি বললেন, তাকে জানাও । সুতরাং সে গিয়ে তাকে ধরল এবং বলল, আমি তোমাকে আল্লাহর জন্য ভালোবাসি। সে বলল, তুমি যার জন্য আমাকে ভালোবাস, তিনিও তোমাকে ভালোবাসুন -আবূ দাউদ।
সুনানে আবূ দাউদ, হাদীছ নং ৫১২৫; মুসনাদে আহমাদ, হাদীছ নং ১২৪৩০; মুসনাদে আবৃ ইয়ালা, হাদীছ নং ৩৪৪২; নাসাঈ, আস্ সুনানুল কুবরা, হাদীছ নং ৯৯৪০; সহীহ ইবনে হিব্বান, হাদীছ নং ৫৭১; তবারানী, আল-মু'জামুল কাবীর, হাদীছ নং ১৩৩৬১; শুআবুল ঈমান, হাদীছ নং ৮৫৯৬; বাগাবী, শারহুস সুন্নাহ, হাদীছ নং ৩৪৮৫
হাদীছ নং: ৩৮৫
হযরত আনাস রাযি. থেকে বর্ণিত, এক ব্যক্তি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট উপস্থিত ছিল। এ অবস্থায় এক ব্যক্তি সেখান দিয়ে যাচ্ছিল। সে বলল, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমি এই ব্যক্তিকে ভালোবাসি। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে বললেন, তুমি কি তাকে জানিয়েছ? সে বলল, না। তিনি বললেন, তাকে জানাও । সুতরাং সে গিয়ে তাকে ধরল এবং বলল, আমি তোমাকে আল্লাহর জন্য ভালোবাসি। সে বলল, তুমি যার জন্য আমাকে ভালোবাস, তিনিও তোমাকে ভালোবাসুন -আবূ দাউদ।
সুনানে আবূ দাউদ, হাদীছ নং ৫১২৫; মুসনাদে আহমাদ, হাদীছ নং ১২৪৩০; মুসনাদে আবৃ ইয়ালা, হাদীছ নং ৩৪৪২; নাসাঈ, আস্ সুনানুল কুবরা, হাদীছ নং ৯৯৪০; সহীহ ইবনে হিব্বান, হাদীছ নং ৫৭১; তবারানী, আল-মু'জামুল কাবীর, হাদীছ নং ১৩৩৬১; শুআবুল ঈমান, হাদীছ নং ৮৫৯৬; বাগাবী, শারহুস সুন্নাহ, হাদীছ নং ৩৪৮৫
46 - باب فضل الحب في الله والحث عَلَيهِ وإعلام الرجل من يحبه، أنه يحبه، وماذا يقول لَهُ إِذَا أعلمه
385 - وعن أنس - رضي الله عنه: أنَّ رَجُلًا كَانَ عِنْدَ النَّبيِّ، - صلى الله عليه وسلم - فَمَرَّ رَجُلٌ بِهِ، فَقَالَ: يَا رَسُول الله، أنِّي لأُحِبُّ هَذَا، فَقَالَ لَهُ النَّبيّ - صلى الله عليه وسلم: «أأعْلَمْتَهُ؟» قَالَ: لاَ. قَالَ: «أَعْلِمْهُ»، فَلَحِقَهُ، فَقَالَ: إنِّي أُحِبُّكَ في الله، فَقَالَ: أَحَبَّكَ الَّذِي أَحْبَبْتَنِي لَهُ. رواه أَبُو داود بإسناد صحيح. (1)
হাদীসের ব্যাখ্যা:
এ হাদীছটির মূল বিষয় হলো, কেউ কাউকে আল্লাহর জন্য ভালোবাসলে তাকে তা জানিয়ে দেওয়া চাই।
হাদীসে আছে যে, এক সাহাবী নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে জনৈক গমনরত ব্যক্তি সম্পর্কে যখন জানালেন যে, তিনি তাকে ভালোবাসেন, তখন নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে সে সম্পর্কে অবগত করতে বললেন। তখন সাহাবী উঠে ওই ব্যক্তির কাছে গেলেন এবং তাকে বললেন- إِنِّي أُحِبُّكَ فِي اللَّهِ (আমি তোমাকে আল্লাহর জন্য ভালোবাসি)।
উত্তরে সে ব্যক্তি বললেন- أَحَبَّكَ الَّذِي أَحْبَبْتَنِي لَهُ (তুমি যার জন্য আমাকে ভালোবাস, তিনিও তোমাকে ভালোবাসুন)।
এর দ্বারা জানা গেল, কাউকে ভালোবাসলে কী বলে তাকে সে সম্পর্কে অবহিত করবে এবং সেই ব্যক্তি তার উত্তরে কী বলবে। আরবী জানলে তো আরবীতে বলাই ভালো, নয়তো নিজ ভাষায়ই বলবে।
ভালোবাসার ব্যক্তিকে ভালোবাসা সম্পর্কে অবহিত করা, এ নববী শিক্ষাটি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। বিভিন্ন হাদীছ দ্বারা জানা যায়, আল্লাহর জন্য পরস্পরে ভালোবাসার সম্পর্ক গড়ে তোলা ঈমানের দাবি। এর দ্বারা ঈমান পরিপূর্ণতা পায়। তবে এক মুসলিমের অন্য মুসলিমকে ভালোবাসলেই কাজ শেষ হয়ে যায় না। সে ভালোবাসাকে স্থায়ী ও গভীর করার চেষ্টাও জরুরি। অন্যথায় যে-কোনও সময় সে সম্পর্ক ভেঙ্গেও যেতে পারে; বরং তার পরিবর্তে জন্ম নিতে পারে শত্রুতা, যা ঈমান-আমলের জন্য ধ্বংসাত্মক।
যেসব কাজ দ্বারা পারস্পরিক মহব্বত ও ভালোবাসা অধিকতর গভীর ও স্থায়ী হয়, তার একটি হচ্ছে ভালোবাসার কথা জানিয়ে দেওয়া। এতে করে যাকে ভালোবাসা হয় সে খুশি হয়। তাতে তার অন্তরেও ভালোবাসা জন্মায়। ভালোবাসা যখন উভয়দিক থেকেই হয়, তখন তা ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পায় এবং তা সাধারণত স্থায়ী হয়।
হাদীছ থেকে শিক্ষণীয়ঃ
ক. যাকে ভালোবাসা হয় তাকে ভালোবাসার কথা জানিয়ে দেওয়া চাই।
খ. যাকে ভালোবাসার কথা জানানো হয়, তার উচিত সে ভালোবাসার মূল্যায়ন করা এবং এই দু'আর মাধ্যমে তাকে সম্বর্ধিত করা যে- তুমি যার জন্য আমাকে ভালোবাস, সেই আল্লাহ তাআলাও তোমাকে ভালোবাসুন ।
গ. ভদ্রতা ও সৌজন্যবোধও যে ইসলামী শিক্ষার এক গুরুত্বপূর্ণ অংশ, এ হাদীছ দ্বারা তা উপলব্ধি করা যায়।
হাদীসে আছে যে, এক সাহাবী নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে জনৈক গমনরত ব্যক্তি সম্পর্কে যখন জানালেন যে, তিনি তাকে ভালোবাসেন, তখন নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে সে সম্পর্কে অবগত করতে বললেন। তখন সাহাবী উঠে ওই ব্যক্তির কাছে গেলেন এবং তাকে বললেন- إِنِّي أُحِبُّكَ فِي اللَّهِ (আমি তোমাকে আল্লাহর জন্য ভালোবাসি)।
উত্তরে সে ব্যক্তি বললেন- أَحَبَّكَ الَّذِي أَحْبَبْتَنِي لَهُ (তুমি যার জন্য আমাকে ভালোবাস, তিনিও তোমাকে ভালোবাসুন)।
এর দ্বারা জানা গেল, কাউকে ভালোবাসলে কী বলে তাকে সে সম্পর্কে অবহিত করবে এবং সেই ব্যক্তি তার উত্তরে কী বলবে। আরবী জানলে তো আরবীতে বলাই ভালো, নয়তো নিজ ভাষায়ই বলবে।
ভালোবাসার ব্যক্তিকে ভালোবাসা সম্পর্কে অবহিত করা, এ নববী শিক্ষাটি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। বিভিন্ন হাদীছ দ্বারা জানা যায়, আল্লাহর জন্য পরস্পরে ভালোবাসার সম্পর্ক গড়ে তোলা ঈমানের দাবি। এর দ্বারা ঈমান পরিপূর্ণতা পায়। তবে এক মুসলিমের অন্য মুসলিমকে ভালোবাসলেই কাজ শেষ হয়ে যায় না। সে ভালোবাসাকে স্থায়ী ও গভীর করার চেষ্টাও জরুরি। অন্যথায় যে-কোনও সময় সে সম্পর্ক ভেঙ্গেও যেতে পারে; বরং তার পরিবর্তে জন্ম নিতে পারে শত্রুতা, যা ঈমান-আমলের জন্য ধ্বংসাত্মক।
যেসব কাজ দ্বারা পারস্পরিক মহব্বত ও ভালোবাসা অধিকতর গভীর ও স্থায়ী হয়, তার একটি হচ্ছে ভালোবাসার কথা জানিয়ে দেওয়া। এতে করে যাকে ভালোবাসা হয় সে খুশি হয়। তাতে তার অন্তরেও ভালোবাসা জন্মায়। ভালোবাসা যখন উভয়দিক থেকেই হয়, তখন তা ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পায় এবং তা সাধারণত স্থায়ী হয়।
হাদীছ থেকে শিক্ষণীয়ঃ
ক. যাকে ভালোবাসা হয় তাকে ভালোবাসার কথা জানিয়ে দেওয়া চাই।
খ. যাকে ভালোবাসার কথা জানানো হয়, তার উচিত সে ভালোবাসার মূল্যায়ন করা এবং এই দু'আর মাধ্যমে তাকে সম্বর্ধিত করা যে- তুমি যার জন্য আমাকে ভালোবাস, সেই আল্লাহ তাআলাও তোমাকে ভালোবাসুন ।
গ. ভদ্রতা ও সৌজন্যবোধও যে ইসলামী শিক্ষার এক গুরুত্বপূর্ণ অংশ, এ হাদীছ দ্বারা তা উপলব্ধি করা যায়।
ব্যাখ্যা সূত্রঃ_ রিয়াযুস সালিহীন (অনুবাদ- মাওলানা আবুল বাশার মুহাম্মাদ সাইফুল ইসলাম হাফি.)
