রিয়াযুস সালিহীন-ইমাম নববী রহঃ
ভূমিকা অধ্যায়
হাদীস নং: ৩৮১
আল্লাহর জন্য ভালোবাসার ফযীলত, এর প্রতি উৎসাহদান এবং কেউ কাউকে ভালোবাসলে তাকে সে সম্পর্কে অবহিত করা আর তাকে তা অবহিত করা হলে জবাবে সে যা বলবে।
আল্লাহর জন্য একে অন্যকে মহব্বত করার ঈর্ষণীয় পুরস্কার
হাদীছ নং : ৩৮১
হযরত মুআয রাযি. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি, মহান আল্লাহ বলেন, যারা আমার গৌরব-মহিমার কারণে একে অন্যকে ভালোবাসে তাদের জন্য থাকবে নূরের মিম্বর। নবী ও শহীদগণও তাদের প্রতি ঈর্ষাবোধ করবেন -তিরমিযী।
জামে তিরমিযী, হাদীছ নং ২৩৯০; মুসনাদে আহমাদ, হাদীছ নং ২২০৮০; সহীহ ইবনে হিব্বান, হাদীছ নং ৫৭৭: তাবারানী, আল-মুজামুল কাবীর, হাদীছ নং ৩৪৩৪; শুআবুল ঈমান, হাদীছ নং ৮৫৮০; বাগাবী, শারহুস সুন্নাহ, হাদীছ নং ৩৪৬৪
হাদীছ নং : ৩৮১
হযরত মুআয রাযি. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি, মহান আল্লাহ বলেন, যারা আমার গৌরব-মহিমার কারণে একে অন্যকে ভালোবাসে তাদের জন্য থাকবে নূরের মিম্বর। নবী ও শহীদগণও তাদের প্রতি ঈর্ষাবোধ করবেন -তিরমিযী।
জামে তিরমিযী, হাদীছ নং ২৩৯০; মুসনাদে আহমাদ, হাদীছ নং ২২০৮০; সহীহ ইবনে হিব্বান, হাদীছ নং ৫৭৭: তাবারানী, আল-মুজামুল কাবীর, হাদীছ নং ৩৪৩৪; শুআবুল ঈমান, হাদীছ নং ৮৫৮০; বাগাবী, শারহুস সুন্নাহ, হাদীছ নং ৩৪৬৪
46 - باب فضل الحب في الله والحث عَلَيهِ وإعلام الرجل من يحبه، أنه يحبه، وماذا يقول لَهُ إِذَا أعلمه
381 - وعن معاذ - رضي الله عنه - قَالَ: سَمِعْتُ رسول الله - صلى الله عليه وسلم - يقول: «قَالَ الله - عز وجل: المُتَحَابُّونَ فِي جَلالِي، لَهُمْ مَنَابِرُ مِنْ نُورٍ يَغْبِطُهُمُ (1) النَّبِيُّونَ وَالشُّهَدَاءُ». رواه الترمذي، (2) وَقالَ: «حديث حسن صحيح».
হাদীসের ব্যাখ্যা:
এ হাদীছে আল্লাহ তাআলার জন্য যারা একে অন্যকে ভালোবাসে, আখেরাতে তারা কী উচ্চমর্যাদার অধিকারী হবে তা জানানো হয়েছে। বলা হয়েছে, তাদের জন্য থাকবে নূরের মিম্বর। তাতে তারা সমাসীন হবে। তাদের এ উচ্চমর্যাদা দেখে নবী ও শহীদগণ পর্যন্ত ঈর্ষাবোধ করবেন। হাদীছটির শব্দ হচ্ছে-
يَغْبِطُهُمُ النَّبِيُّونَ وَالشُّهَدَاءُ (নবী ও শহীদগণও তাদের প্রতি ঈর্ষাবোধ করবেন)। يَغْبِطُ ক্রিয়াপদটির উৎপত্তি غبطة থেকে। গিবতা (غبطة) হলো অন্যের প্রাপ্ত নিআমতের অনুরূপ নিজের জন্য আকাঙ্ক্ষা করা, কিন্তু তার থেকে তা বিলুপ্তি কামনা না করা। আরেক হচ্ছে হাসাদ। হাসাদ বলা হয় অন্যের থেকে নিআমতের বিলুপ্তি কামনার সঙ্গে নিজের জন্য তা পাওয়ার আকাঙ্ক্ষা করা। হাসাদ করা কঠিন পাপ। গিবতা পাপ নয়; বরং ফযীলতের ক্ষেত্রে তা প্রশংসনীয়। যেমন অন্যের ইলমী যোগ্যতা দেখে নিজের জন্যও অনুরূপ যোগ্যতা কামনা করা, অন্যের তাকওয়া-পরহেযগারী দেখে নিজের জন্যও অনুরূপ তাকওয়া-পরহেযগারী কামনা করা ইত্যাদি।
প্রশ্ন হতে পারে, নবী ও শহীদদের মর্যাদা তো আরও উপরে, তারা কেন এদের প্রতি গিবতা বা ঈর্ষা বোধ করবেন?
এর উত্তর হলো, নবী ও শহীদদের ঈর্ষাবোধের কথাটি বলা হয়েছে কেবলই আল্লাহর জন্য পরস্পরে ভালোবাসা পোষণকারীদের উচ্চমর্যাদা ফুটিয়ে তোলা ও সে মর্যাদার কারণে তাদের প্রতি নবী ও শহীদদের মুগ্ধতা প্রকাশের জন্য। এটি একটি বাকশৈলী। এর দ্বারা উদ্দেশ্য এ কথা বোঝানো নয় যে, তারাও অনুরূপ মর্যাদা কামনা করবেন। এরকম বাকশৈলী সব ভাষায়ই আছে। ছাত্র বা শিষ্যকে পুরস্কৃত হতে দেখে তার মুগ্ধ উস্তায বা গুরুজন অনেক সময় বলে থাকে, এরকম পুরস্কৃত যদি আমিও হতে পারতাম! বাস্তবে হয়তো তিনি তারচে'ও বড় পুরস্কার পেয়েছিলেন। তার এ কথা বলার উদ্দেশ্য কেবলই তাকে উৎসাহ দেওয়া ও বাহবা জানানো।
হাদীস থেকে শিক্ষণীয়ঃ
এ হাদীছ দ্বারা জানা যায়, আল্লাহ তাআলার কাছে ওই সকল লোকের কত উচ্চমর্যাদা, যারা কেবল আল্লাহরই জন্য একে অন্যকে ভালোবাসে। সুতরাং আমরাও কেবল আল্লাহর জন্যই একে অন্যকে ভালোবাসব।
يَغْبِطُهُمُ النَّبِيُّونَ وَالشُّهَدَاءُ (নবী ও শহীদগণও তাদের প্রতি ঈর্ষাবোধ করবেন)। يَغْبِطُ ক্রিয়াপদটির উৎপত্তি غبطة থেকে। গিবতা (غبطة) হলো অন্যের প্রাপ্ত নিআমতের অনুরূপ নিজের জন্য আকাঙ্ক্ষা করা, কিন্তু তার থেকে তা বিলুপ্তি কামনা না করা। আরেক হচ্ছে হাসাদ। হাসাদ বলা হয় অন্যের থেকে নিআমতের বিলুপ্তি কামনার সঙ্গে নিজের জন্য তা পাওয়ার আকাঙ্ক্ষা করা। হাসাদ করা কঠিন পাপ। গিবতা পাপ নয়; বরং ফযীলতের ক্ষেত্রে তা প্রশংসনীয়। যেমন অন্যের ইলমী যোগ্যতা দেখে নিজের জন্যও অনুরূপ যোগ্যতা কামনা করা, অন্যের তাকওয়া-পরহেযগারী দেখে নিজের জন্যও অনুরূপ তাকওয়া-পরহেযগারী কামনা করা ইত্যাদি।
প্রশ্ন হতে পারে, নবী ও শহীদদের মর্যাদা তো আরও উপরে, তারা কেন এদের প্রতি গিবতা বা ঈর্ষা বোধ করবেন?
এর উত্তর হলো, নবী ও শহীদদের ঈর্ষাবোধের কথাটি বলা হয়েছে কেবলই আল্লাহর জন্য পরস্পরে ভালোবাসা পোষণকারীদের উচ্চমর্যাদা ফুটিয়ে তোলা ও সে মর্যাদার কারণে তাদের প্রতি নবী ও শহীদদের মুগ্ধতা প্রকাশের জন্য। এটি একটি বাকশৈলী। এর দ্বারা উদ্দেশ্য এ কথা বোঝানো নয় যে, তারাও অনুরূপ মর্যাদা কামনা করবেন। এরকম বাকশৈলী সব ভাষায়ই আছে। ছাত্র বা শিষ্যকে পুরস্কৃত হতে দেখে তার মুগ্ধ উস্তায বা গুরুজন অনেক সময় বলে থাকে, এরকম পুরস্কৃত যদি আমিও হতে পারতাম! বাস্তবে হয়তো তিনি তারচে'ও বড় পুরস্কার পেয়েছিলেন। তার এ কথা বলার উদ্দেশ্য কেবলই তাকে উৎসাহ দেওয়া ও বাহবা জানানো।
হাদীস থেকে শিক্ষণীয়ঃ
এ হাদীছ দ্বারা জানা যায়, আল্লাহ তাআলার কাছে ওই সকল লোকের কত উচ্চমর্যাদা, যারা কেবল আল্লাহরই জন্য একে অন্যকে ভালোবাসে। সুতরাং আমরাও কেবল আল্লাহর জন্যই একে অন্যকে ভালোবাসব।
ব্যাখ্যা সূত্রঃ_ রিয়াযুস সালিহীন (অনুবাদ- মাওলানা আবুল বাশার মুহাম্মাদ সাইফুল ইসলাম হাফি.)
