রিয়াযুস সালিহীন-ইমাম নববী রহঃ
ভূমিকা অধ্যায়
হাদীস নং: ১৭৮
নেককাজ ও তাকওয়া-পরহেযগারীতে পারস্পরিক সাহায্য-সহযোগিতা।
প্রতি দু’জন থেকে একজনের জিহাদে যাওয়া
হাদীছ নং: ১৭৮
হযরত আবূ সা'ঈদ খুদরী রাযি. থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম হুযায়ল গোত্রের শাখা বনু লিহয়ানের বিরুদ্ধে একটি বাহিনী প্রেরণ করেন। তখন তিনি বলেন, প্রতি দু'জন থেকে একজন যেন অভিযানে যোগদান করে। তাহলে ছাওয়াবে উভয়ে অংশীদার হবে. মুসলিম।
(সহীহ মুসলিম, হাদীছ নং ১৮৯৬; সুনানে আবূ দাউদ, হাদীছ নং ২৫১০: মুসনাদে আহমাদ, হাদীছ নং ১১৩১৯)
হাদীছ নং: ১৭৮
হযরত আবূ সা'ঈদ খুদরী রাযি. থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম হুযায়ল গোত্রের শাখা বনু লিহয়ানের বিরুদ্ধে একটি বাহিনী প্রেরণ করেন। তখন তিনি বলেন, প্রতি দু'জন থেকে একজন যেন অভিযানে যোগদান করে। তাহলে ছাওয়াবে উভয়ে অংশীদার হবে. মুসলিম।
(সহীহ মুসলিম, হাদীছ নং ১৮৯৬; সুনানে আবূ দাউদ, হাদীছ নং ২৫১০: মুসনাদে আহমাদ, হাদীছ নং ১১৩১৯)
21 - باب في التعاون على البر والتقوى
178 - وعن أَبي سعيد الخدري - رضي الله عنه: أن رَسُول الله - صلى الله عليه وسلم - بعث بعثًا إِلَى بني لِحْيَان مِنْ هُذَيْلٍ، فَقَالَ: «لِيَنْبَعِثْ مِنْ كُلِّ رَجُلَيْنِ أَحَدُهُمَا وَالأجْرُ بَيْنَهُمَا». رواه مسلم. (1)
হাদীসের ব্যাখ্যা:
এ হাদীছে প্রতি দু'জন থেকে একজনকে জিহাদে যেতে এবং অন্যজনকে বাড়িতে থেকে যেতে বলা হয়েছে। এ দু'জন এক পরিবারেরও হতে পারে, দু' পরিবারেরও হতে পারে। কিংবা এমনও হতে পারে যে, পাশাপাশি কয়েক পরিবারে সক্ষম পুরুষ হয়তো দু'জনই আছে। সে ক্ষেত্রে জিহাদের ডাক আসলে একজন জিহাদে চলে যাবে, অন্যজন বাড়িতে থেকে সকলের তত্ত্বাবধান করবে। এর দ্বারা বোঝা যাচ্ছে সকল সক্ষম পুরুষের একসঙ্গে জিহাদে বা অন্য কোনও সফরে চলে যাওয়া উচিত নয়। নারী ও শিশুদের দেখাশোনার জন্য কারও না কারও অবশ্যই থেকে যাওয়া উচিত। পরিবারবর্গের খোঁজখবর রাখাও দীনী দায়িত্ব। এ ব্যাপারে অবহেলার কোনও সুযোগ নেই।
এ হাদীছে যে বলা হয়েছে ছাওয়াবে উভয়ে অংশীদার হবে, তার মানে এ নয় যে, যে ব্যক্তি জিহাদে যাবে তার ছাওয়াব অর্ধার্ধি ভাগ করে তাদের দু'জনকে দেওয়া হবে। বরং পূর্ণ ছাওয়াবই দু'জনকেই দেওয়া হবে।
হাদীস থেকে শিক্ষণীয়ঃ
ক. কেউ জিহাদে বা অন্য কোনও দীনী জরুরতে সফরে গেলে তার মহল্লায় এমন কোনও পুরুষ থাকা উচিত, যে তার অনুপস্থিতিতে তার পরিবারের দেখাশোনা করবে। গোটা মহল্লা পুরুষশূন্য হয়ে যাওয়া সমীচীন নয় ।
খ. মুমিন ব্যক্তির সর্বদা ছাওয়াব অর্জনের আকাঙ্ক্ষা থাকা উচিত। কাজেই সক্রিয়ভাবে কোনও দীনী কাজে অংশগ্রহণ করতে না পারলে এমন কোনও উপায় অবলম্বন করা উচিত, যাতে কোনও না কোনওভাবে সে কাজের সাথে তার সম্পর্ক স্থাপিত হয়ে যায়।
এ হাদীছে যে বলা হয়েছে ছাওয়াবে উভয়ে অংশীদার হবে, তার মানে এ নয় যে, যে ব্যক্তি জিহাদে যাবে তার ছাওয়াব অর্ধার্ধি ভাগ করে তাদের দু'জনকে দেওয়া হবে। বরং পূর্ণ ছাওয়াবই দু'জনকেই দেওয়া হবে।
হাদীস থেকে শিক্ষণীয়ঃ
ক. কেউ জিহাদে বা অন্য কোনও দীনী জরুরতে সফরে গেলে তার মহল্লায় এমন কোনও পুরুষ থাকা উচিত, যে তার অনুপস্থিতিতে তার পরিবারের দেখাশোনা করবে। গোটা মহল্লা পুরুষশূন্য হয়ে যাওয়া সমীচীন নয় ।
খ. মুমিন ব্যক্তির সর্বদা ছাওয়াব অর্জনের আকাঙ্ক্ষা থাকা উচিত। কাজেই সক্রিয়ভাবে কোনও দীনী কাজে অংশগ্রহণ করতে না পারলে এমন কোনও উপায় অবলম্বন করা উচিত, যাতে কোনও না কোনওভাবে সে কাজের সাথে তার সম্পর্ক স্থাপিত হয়ে যায়।
ব্যাখ্যা সূত্রঃ_ রিয়াযুস সালিহীন (অনুবাদ- মাওলানা আবুল বাশার মুহাম্মাদ সাইফুল ইসলাম হাফি.)


বর্ণনাকারী: