ফিকহুস সুনান ওয়াল আসার

৩০. জবরদখল, ছিনতাই সম্পর্কে

হাদীস নং: ২২২৭
জবরদখলকৃত দ্রব্য বিনষ্ট হলে বা পরিবর্তিত হলে জবরদখলকারী তার মালিকানা লাভ করবে এবং তাকে এর মূল্য বা সমান দ্রব্য ক্ষতিপূরণ দিতে হবে
(২২২৭) আনাস রা. বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাঁর এক স্ত্রীর ঘরে অবস্থান করছিলেন । তখন উম্মুল মুমিনীনদের অন্য একজন তার এক খাদেমার হাতে খাদ্যভর্তি একটি খাঞ্চা পাঠিয়ে দেন। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) যে স্ত্রীর ঘরে অবস্থান করছিলেন সেই স্ত্রী (এতে ক্রোধান্বিত হয়ে) তার হাত দিয়ে আঘাত করে খাঞ্চাটি ভেঙ্গে ফেলেন। তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ভাঙা খাঞ্চাটি একত্র করেন এবং তার মধ্যে তার খাদ্যও জমা করেন এবং (উপস্থিত লোকজনকে) বলেন, তোমরা খানা খাও। তিনি উক্ত খাদেমা ও খাঞ্চা আটকে রাখেন । যখন লোকজনের খাওয়া শেষ হল, তখন তিনি ভালো একটি খাঞ্চা (উক্ত খাদেমার মাধ্যমে) ফেরত পাঠান এবং ভাঙা খাঞ্চাটি (যে স্ত্রীর বাড়িতে অবস্থান করছিলেন) তার জন্য রেখে দেন।
عن أنس رضي الله عنه: أن النبي صلى الله عليه وسلم كان عند بعض نسائه فأرسلت إحدى أمهات المؤمنين مع خادم بقصعة فيها طعام فضربت بيدها فكسرت القصعة فضمها وجعل فيها الطعام وقال كلوا وحبس الرسول والقصعة حتى فرغوا فدفع القصعة الصحيحة وحبس المكسورة.

হাদীসের ব্যাখ্যা:

এই হাদীস থেকে জানা যায় যে, কেউ কারো দ্রব্য নষ্ট করলে ক্ষতিপূরণ হিসেবে অনুরূপ দ্রব্য প্রদান করতে হবে। এ বিষয়ে সাধারণ মূলনীতি হল, যদি অবিকল অনুরূপ দ্রব্য পাওয়া যায় তবে তা প্রদান করতে হবে। নইলে নষ্ট করা দ্রব্যের মূল্য ক্ষতিপূরণ হিসেবে প্রদান করতে হবে। এজন্য গ্রন্থকার বলেন, সম্ভবত উক্ত দুইটি খাঞ্চা একটি অপরটির অবিকল অনুরূপ ছিল, যেমনটি আমরা বর্তমান যুগে দেখতে পাই। এজন্য তিনি ক্ষতিপূরণ হিসেবে একটি খাঞ্চার পরিবর্তে অন্য খাঞ্চা প্রদান করেন। দ্বিতীয় সম্ভাবনা হল, ভাঙা খাঞ্চাটির মূল্য না দিয়ে অন্য খাঞ্চা প্রদানের আদেশ ছিল 'সন্ধি' বা 'সালিস' । নিম্নের হাদীসটি থেকে এই প্রকারের সন্ধির কথা জানা যায় ।
tahqiqতাহকীক:তাহকীক নিষ্প্রয়োজন