ফিকহুস সুনান ওয়াল আসার

১৪. কুড়ানো দ্রব্য, শিশু ও পলাতক দাসদাসী

হাদীস নং: ১৯৭৯
কুড়ানো দ্রব্য, তার বিজ্ঞপ্তি প্রদান, পলাতক উট ও মেষ
(১৯৭৯) তাবিয়ি ইবন শিহাব যুহরি বলেন, উমার ইবনুল খাত্তাব রা.র সময়ে হারানো পালানো উটগুলোকে অবাণিজ্যিক পালিত উটের মতোই মনে করা হত; তাদের বাচ্চা হত, কেউ তাদের স্পর্শ করত না। উসমান রা.র যুগে তিনি নির্দেশ দিলেন যে, এগুলোকে ধরে এগুলো সম্পর্কে প্রচার করতে হবে। এরপর (মালিক না পাওয়া গেলে) বিক্রয় করতে হবে। অতঃপর যখন তার মালিক আসবে তখন তাকে মূল্য প্রদান করতে হবে।
عن ابن شهاب يقول: كانت ضوال الإبل في زمان عمر بن الخطاب إبلا مؤبلة تناتج لا يمسها أحد حتى إذا كان زمان عثمان بن عفان رضي الله عنهما أمر بتعريفها ثم تباع فإذا جاء صاحبها أعطي ثمنها

হাদীসের ব্যাখ্যা:

গ্রন্থকার বলেন, উসমান রা.র যুগে প্রথম সামাজিক ফিতনা-ফাসাদ ও অশান্তি শুরু হয় । এর পূর্বে সমাজ ছিল বিশ্বস্ততায় পরিপূর্ণ। ফিতনার পরে সামাজিক অবস্থা একদম পাল্টে যায়। এজন্য অবস্থার পরিবর্তনে বিধান পরিবর্তিত হয় । (দ্বীনের মূল নির্দেশ হল, মানুষের অধিকার সংরক্ষণ করা । সাধারণভাবে হারানো উট মরুভূমিতে প্রাণ হারায় না বা ক্ষতিগ্রস্থ হয় না। কোনো মানুষ তাকে না ধরলে এক সময় তা মালিকের কাছে ফিরে যায়। এজন্য উমারের যুগ পর্যন্ত এ সকল উট কেউ ধরতেন না। কিন্তু উসমান রা. ভয় পেলেন যে, কোনো মানুষ গোপনে এসকল উট নিয়ে আত্মসাৎ করবে। এজন্য তিনি তা পেলেই তার পরিচয় সংরক্ষণ ও বিজ্ঞাপনের নির্দেশ দেন। যেন মালিক তা ফেরত পায় বা অন্তত তার মূল্য ফেরত পায়)। আল্লাহই ভালো জানেন ।
tahqiqতাহকীক:তাহকীক চলমান
ফিকহুস সুনান - হাদীস নং ১৯৭৯ | মুসলিম বাংলা