ফিকহুস সুনান ওয়াল আসার
১১. ইসলাম নির্ধারিত দন্ডবিধি
হাদীস নং: ১৭৯৯
'মুহসান' বা ‘পরিপূর্ণ বিবাহিত ব্যক্তি ব্যভিচারের স্বীকারোক্তি করলে তাকে 'রজম' বা প্রস্তরাঘাতে হত্যা করতে হবে। শাসকের নিকট স্বীকারোক্তির পদ্ধতি এবং মৃত্যুর পরে করণীয়
(১৭৯৯) আবু হুরাইরা রা. বলেন, মুসলিমদের একব্যক্তি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর নিকট আগমন করেন। তখন তিনি মসজিদে ছিলেন । লোকটি তাঁকে ডেকে বলে, হে আল্লাহর রাসূল, আমি ব্যভিচার করেছি। তখন তিনি তার দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে বসেন। লোকটি সরে গিয়ে তাঁর সম্মুখে দাঁড়িয়ে আবারো বলে, হে আল্লাহর রাসূল, আমি ব্যভিচার করেছি। তিনি আবারো মুখ ঘুরিয়ে নেন। এভাবে লোকটি চারবার নিজের বিরুদ্ধে ব্যভিচারের সাক্ষ্য প্রদান করে । তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাকে বলেন, তোমার মধ্যে কি পাগলামি আছে? লোকটি বলে, না । তিনি বলেন, তুমি কি বিবাহিত? লোকটি বলে, হ্যাঁ। তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) সাহাবিগণকে বলেন, তোমরা একে নিয়ে যাও এবং রজম করো বা প্রস্তরাঘাতে মৃত্যুদণ্ড প্রদান করো।
عن أبي هريرة رضي الله عنه أنه قال أتى رجل من المسلمين رسول الله صلى الله عليه وسلم وهو في المسجد فناداه فقال يا رسول الله إني زنيت فأعرض عنه فتنحى تلقاء وجهه فقال له يا رسول الله إني زنيت فأعرض عنه حتى ثنى ذلك عليه أربع مرات فلما شهد على نفسه أربع شهادات دعاه رسول الله صلى الله عليه وسلم فقال أبك جنون؟ قال لا قال فهل أحصنت؟ قال نعم فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم: إذهبوا به فارجموه
হাদীসের ব্যাখ্যা:
১। রজমের বিধান প্রযোজ্য হতে হলে বিবাহিতের জন্যও অনেক শর্ত রয়েছে। শর্তগুলোর অবর্তমানে বিবাহিত ব্যক্তিকেও ব্যভিচারের কারণে রজম করা হবে না, বরং বেত্রাঘাতের শাস্তি প্রদান করা হবে। কিছু শর্ত গ্রন্থকার আলোচনা করবেন। (অনুবাদক)
২। ইসলামে ব্যভিচারের শাস্তি খুবই কঠিন। অবিবাহিতের জন্য ১০০ বেত্রাঘাত ও বিবাহের জন্য প্রস্তরাঘাতে মৃত্যুদণ্ড । এক্ষেত্রে অপরাধীর শাস্তি দেওয়ার চেয়েও বেশি লক্ষ্য রাখা হয়েছে ব্যভিচারের প্রসার ও প্রকাশ রোধ করার দিকে। এজন্য ব্যভিচারের শাস্তি প্রদানকে কঠিনতর করা হয়েছে। ব্যভিচার প্রমাণের মাত্র দুইটি উপায় । প্রথমত, চারজন প্রত্যক্ষদর্শী সাক্ষী সন্দেহাতীতভাবে সাক্ষ্য দিবেন যে, তারা উভয়ের স্পষ্টভাবে যৌনমিলনে রত দেখেছেন। দ্বিতীয়ত, অপরাধীর নিজের ইচ্ছাকৃত স্বীকারোক্তি। একমাত্র বেপরোয়া বেহায়া প্রকাশ্য রাস্তায় ব্যভিচারে লিপ্ত হওয়া ব্যক্তি ছাড়া আর কারো জন্য প্রথম পদ্ধতিতে ব্যভিচার প্রমাণ করা যায় না। দ্বিতীয় পদ্ধতি একান্তই মানুষের ব্যক্তিগত ইচ্ছা। কেউ যদি দুনিয়ার শাস্তির মাধ্যমে আখিরাতের মুক্তি অর্জন করতে চায় তাহলে এরূপ করতে পারে। এক্ষেত্রে চারবার স্বীকারোক্তির পরে তাকে অস্বীকার করার সুযোগ দিতে হবে। বিভিন্নভাবে তাকে স্বীকারোক্তি প্রত্যাহার করতে বারংবার সুযোগ দিতে হবে। পূর্ণ মিলন হয় নি', 'ভুলে করেছি', 'না-জেনে করেছি' ইত্যাদি বললে শাস্তি হবে না । সর্বোপরি শাস্তির সময় যদি সে অস্বীকার করে বা পালিয়ে যায় তাহলে তাকে সুযোগ দিতে হবে। এ বিষয়ক হাদীসগুলো গ্রন্থকার এখানে উল্লেখ করেছেন। (অনুবাদক)
২। ইসলামে ব্যভিচারের শাস্তি খুবই কঠিন। অবিবাহিতের জন্য ১০০ বেত্রাঘাত ও বিবাহের জন্য প্রস্তরাঘাতে মৃত্যুদণ্ড । এক্ষেত্রে অপরাধীর শাস্তি দেওয়ার চেয়েও বেশি লক্ষ্য রাখা হয়েছে ব্যভিচারের প্রসার ও প্রকাশ রোধ করার দিকে। এজন্য ব্যভিচারের শাস্তি প্রদানকে কঠিনতর করা হয়েছে। ব্যভিচার প্রমাণের মাত্র দুইটি উপায় । প্রথমত, চারজন প্রত্যক্ষদর্শী সাক্ষী সন্দেহাতীতভাবে সাক্ষ্য দিবেন যে, তারা উভয়ের স্পষ্টভাবে যৌনমিলনে রত দেখেছেন। দ্বিতীয়ত, অপরাধীর নিজের ইচ্ছাকৃত স্বীকারোক্তি। একমাত্র বেপরোয়া বেহায়া প্রকাশ্য রাস্তায় ব্যভিচারে লিপ্ত হওয়া ব্যক্তি ছাড়া আর কারো জন্য প্রথম পদ্ধতিতে ব্যভিচার প্রমাণ করা যায় না। দ্বিতীয় পদ্ধতি একান্তই মানুষের ব্যক্তিগত ইচ্ছা। কেউ যদি দুনিয়ার শাস্তির মাধ্যমে আখিরাতের মুক্তি অর্জন করতে চায় তাহলে এরূপ করতে পারে। এক্ষেত্রে চারবার স্বীকারোক্তির পরে তাকে অস্বীকার করার সুযোগ দিতে হবে। বিভিন্নভাবে তাকে স্বীকারোক্তি প্রত্যাহার করতে বারংবার সুযোগ দিতে হবে। পূর্ণ মিলন হয় নি', 'ভুলে করেছি', 'না-জেনে করেছি' ইত্যাদি বললে শাস্তি হবে না । সর্বোপরি শাস্তির সময় যদি সে অস্বীকার করে বা পালিয়ে যায় তাহলে তাকে সুযোগ দিতে হবে। এ বিষয়ক হাদীসগুলো গ্রন্থকার এখানে উল্লেখ করেছেন। (অনুবাদক)
