ফিকহুস সুনান ওয়াল আসার

৯. দাসমুক্তির অধ্যায়

হাদীস নং: ১৭৪৪
যে দাস 'মৃত্যুর পরে আযাদ হবে' বলে মালিক বলেছেন তাকে বিক্রয় করা বা দান করা যাবে না বা উত্তরাধিকারের ভিত্তিতে কেউ তার মালিক হবে না । ওসিয়্যতের একতৃতীয়াংশের মধ্যে সে আযাদ হয়ে যাবে
(১৭৪৪) ইবন উমার রা. বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, 'মুদাব্বার' (মৃত্যুত্তোর আযাদ করার জন্য নির্ধারিত) দাসকে বিক্রয় করা যাবে না বা দান করা যাবে না । মালিকের মৃত্যুর পরে ওসিয়্যতের জন্য নির্ধারিত একতৃতীয়াংশ সম্পদের মধ্য থেকে সে আযাদ হয়ে যাবে ।
عن ابن عمر رضي الله عنهما مرفوعا: المدبر لا يباع ولا يوهب وهو حر من الثلث

হাদীসের ব্যাখ্যা:

মৃত্যুত্তোর বিমুক্তি হল, জীবিত মালিক বলবেন যে, আমার দাস বা দাসী আমার মৃত্যুর পরে আযাদ হয়ে যাবে। (অনুবাদক)

গ্রন্থকার বলেন, বুখারি ও মুসলিম সঙ্কলিত একটি হাদীসে জাবির রা. বলেন, একব্যক্তি তার এক দাসকে মৃত্যুত্তোর আযাদির জন্য নির্ধারণ করে লোকটি খুবই অভাবে পড়লে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) সেই দাসটি বিক্রয় করে দেন । গ্রন্থকার বলেন, এর অর্থ দাসটির মালিকানা বিক্রয় নয়, দাসটির সেবা বিক্রয় । দাসটির সেবা বিক্রয় করে অর্থের ব্যবস্থা করেন। প্রমাণ হল, ইমাম বাকির ইবন যাইনুল আবিদীন আলী ইবন হুসাইন জাবির রা. থেকে বর্ণনা করেছেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তার সেবা বিক্রয় করার অনুমতি দিয়েছিলেন মাত্র । ইবনুল কাত্তান এই বর্ণনাটি মুরসালরূপে সহীহ বলে উল্লেখ করেছেন। মদীনাবাসীদের ভাষায় ভাড়া দেওয়াকে বিক্রয় বলার প্রচলন ছিল। অথবা এই হাদীসের ব্যাখ্যা এরূপ হতে পারে যে, এই ক্ষেত্রে বিশেষ কারণে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) নিজের বিশেষ সিদ্ধান্তে মৃত্যুত্তোর আযাদির ওসিয়্যত বাতিল করে দেন। বিষয়টি ছিল তাঁর খাস বা বিশেষ অধিকার, যা আর কারো নেই । আল্লাহই ভালো জানেন।
tahqiqতাহকীক:তাহকীক চলমান
ফিকহুস সুনান - হাদীস নং ১৭৪৪ | মুসলিম বাংলা