ফিকহুস সুনান ওয়াল আসার
৭. বিবাহ-শাদীর অধ্যায়
হাদীস নং: ১৫৬৫
বিবাহ উপলক্ষে আনন্দ-উল্লাস করা, গান গাওয়া, দফ বাজানো এবং বিবাহ অনুষ্ঠানে কাড়াকাড়ি করে খাওয়া
(১৫৬৫) মুআয ইবন জাবাল রা. বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এক আনসারি যুবকের বিবাহে উপস্থিত ছিলেন। বিবাহ হয়ে গেলে তিনি বলেন, ‘প্রেমময়, মঙ্গলময় দাম্পত্যজীবন এবং প্রশস্ত রিযক। আল্লাহ তোমাদেরকে বরকত দান করুন'। তোমরা তোমাদের বরের মাথার কাছে (বিবাহ উপলক্ষে) দফ বাজাও। এ সময়েই খাদেমারা বাদাম ( almond) ও চিনি ভর্তি খাঞ্চাগুলো নিয়ে উপস্থিত হল। উপস্থিত লোকজন তাদের হাত গুটিয়ে থাকলেন । তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, তোমরা কাড়াকাড়ি করে নিচ্ছ না কেন? তারা বলেন, হে আল্লাহর রাসূল, আপনি তো আমাদেরকে কাড়াকাড়ি করতে নিষেধ করেছেন। তিনি বলেন, তা হল সেনাক্যাম্পের ক্ষেত্রে। বিবাহ অনুষ্ঠানের ক্ষেত্রে এতে আপত্তি নেই।
عن معاذ بن جبل رضي الله عنه قال: شهد رسول الله صلى الله عليه وسلم ملاك شاب من الأنصار فلما زوجوه قال:على الألفة والطير الميمون والسعة في الرزق بارك الله لكم دففوا على رأس صاحبكم فلم يلبث أن جاءت الجواري معهن الأطباق عليها اللوز والسكر فأمسك القوم أيديهم فقال النبي صلى الله عليه وسلم: ألا تنتهبون فقالوا: يا رسول الله إنك كنت نهيت عن النهبة قال: تلك نهبة العساكر فأما العرسات فلا
হাদীসের ব্যাখ্যা:
গ্রন্থকার বলেন, বিবাহ উপলক্ষ্যে গান গাওয়ার অনুমতি থাকবে যখন তাতে কোনো অন্যায় বা শরীআত বিরুদ্ধ কিছু না থাকবে। এ বিষয়ক আরো ব্যাখ্যা সামনে আসছে ।
বিবাহ অনুষ্ঠানে প্রদত্ত মিঠাই, খেজুর, ফল ইত্যাদি ছড়িয়ে দেওয়া যাবে কিনা বা কাড়াকাড়ি করে খাওয়া যাবে কিনা সে বিষয়ে সাহাবি, তাবিয়ি ও ফকীহগণের মতভেদ আছে। বিবাহের আনন্দ উল্লাসের প্রকাশ হিসাবে কেউ কেউ তা জায়িয বলেছেন। এই দুর্বল হাদীসটি তারা গ্রহণ করেছেন। অনেকে তা অপছন্দ করেছেন। তারা কাড়াকাড়ির নিষেধাজ্ঞা জ্ঞাপক সাধারণ হাদীসগুলোর উপর নির্ভর করেছেন। বিস্তারিত দেখনু: তাহাবি, শারহু মাআনিল আসার, ৩/৪৯-৫১। (অনুবাদক)
বিবাহ অনুষ্ঠানে প্রদত্ত মিঠাই, খেজুর, ফল ইত্যাদি ছড়িয়ে দেওয়া যাবে কিনা বা কাড়াকাড়ি করে খাওয়া যাবে কিনা সে বিষয়ে সাহাবি, তাবিয়ি ও ফকীহগণের মতভেদ আছে। বিবাহের আনন্দ উল্লাসের প্রকাশ হিসাবে কেউ কেউ তা জায়িয বলেছেন। এই দুর্বল হাদীসটি তারা গ্রহণ করেছেন। অনেকে তা অপছন্দ করেছেন। তারা কাড়াকাড়ির নিষেধাজ্ঞা জ্ঞাপক সাধারণ হাদীসগুলোর উপর নির্ভর করেছেন। বিস্তারিত দেখনু: তাহাবি, শারহু মাআনিল আসার, ৩/৪৯-৫১। (অনুবাদক)
