ফিকহুস সুনান ওয়াল আসার
৩. নামাযের অধ্যায়
হাদীস নং: ৬৯৯
কথাবার্তা ও তদর্থক ‘বেশী কর্ম’ সালাত নষ্ট করে
(৬৯৯) আবু হুরাইরা রা. বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আমাদেরকে নিয়ে যুহর বা আসরের সালাত আদায় করেন। তিনি দুই রাকআতে সালাম ফিরিয়ে সালাত শেষ করেন। তখন যুল ইয়াদাইন নামক একব্যক্তি বলেন, হে আল্লাহর রাসূল, সালাত কি সংক্ষিপ্ত করা হয়েছে? তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাঁর সাথিগণকে জিজ্ঞাসা করেন, এ যা বলছে তা কি ঠিক? তারা বলেন, হ্যাঁ। তখন তিনি আরো দুই রাকআত সালাত আদায় করেন, এরপর দুইটি সাজদা করেন।
عن أبي هريرة رضي الله عنه قال: صلى بنا النبي صلى الله عليه وسلم الظهر أو العصر فسلم (انصرف من اثنتين) فقال له ذو اليدين الصلاة يا رسول الله أنقصت؟ فقال النبي صلى الله عليه وسلم لأصحابه: أحق ما يقول؟ قالوا نعم فصلى ركعتين أخريين ثم سجد سجدتين
হাদীসের ব্যাখ্যা:
এই হাদীসের আলোকে কোনো কোনো ফকীহ বলেন যে, সালাতের মধ্যে ভুলক্রমে বা সালাত শেষ হয়ে গিয়েছে মনে করে কথা বললে সালাত নষ্ট হবে না। এর ব্যাখ্যায় গ্রন্থকার বলেন, এই হাদীসে সালাতের মধ্যে কথাবার্তা বলা হয়েছে। এই ঘটনাটি বদর যুদ্ধের পূর্বে ঘটেছিল, যখন সালাতের মধ্যে কথাবার্তা বলা বৈধ ছিল হাদীসের মধ্যে আবু হুরাইরা রা. বলেছেন, 'আমাদেরকে নিয়ে সালাত আদায় করলেন'। এথেকে মনে হয়, আবু হুরাইরা রা. সালাতে উপস্থিত ছিলেন। আর তিনি বদর যুদ্ধের ৫ বছর পরে খাইবার যুদ্ধের সময়ে ইসলাম গ্রহণ করেন। এতে বোঝা যায় যে, এই ঘটনাটি সালাতের মধ্যে কথাবার্তা হারাম হওয়ার অনেক পরে ঘটেছিল। এর ব্যাখ্যা হল, সাহাবিগণ অনেক সময় নিজে উপস্থিত না থেকেও অন্য সাহাবি থেকে শুনে হাদীস বলতেন। যুহরি অনুরূপ কথা বলেছেন। এখানে আমাদেরকে নিয়ে বলতে তিনি বোঝাচ্ছেন, ‘মুসলিমদেরকে’ নিয়ে।
এই ঘটনাটি যে বদর যুদ্ধের পূর্বে ঘটেছিল তার প্রমাণ হল, বদরের যুদ্ধে ‘যুশ শিমালাইন' নামক সাহাবি শহীদ হন। এই যুশ শিমালাইনই যুল ইয়াদাইন এছাড়া উমার রা.র কর্ম থেকে সালাতের মধ্যে কথাবার্তা বলার বৈধতা রহিত বলে বোঝা যায়।
এই ঘটনাটি যে বদর যুদ্ধের পূর্বে ঘটেছিল তার প্রমাণ হল, বদরের যুদ্ধে ‘যুশ শিমালাইন' নামক সাহাবি শহীদ হন। এই যুশ শিমালাইনই যুল ইয়াদাইন এছাড়া উমার রা.র কর্ম থেকে সালাতের মধ্যে কথাবার্তা বলার বৈধতা রহিত বলে বোঝা যায়।
