ফিকহুস সুনান ওয়াল আসার

৩. নামাযের অধ্যায়

হাদীস নং: ৫৩১
শাহাদত আঙুল দিয়ে ইশারা করা
(৫৩১) ইবন উমার রা. বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) যখন তাশাহহুদের জন্য বসতেন তখন তাঁর বাম হাতকে বাম হাঁটুর উপর রাখতেন এবং ডান হাতকে ডান হাঁটুর উপর রাখতেন । এবং তিনি ৫৩ এর গিরা দিতেন, অর্থাৎ কনিষ্ঠা, অনামিকা ও মধ্যমা তিনটি আঙ্গুল হাতের তালুর সাথে মিলিয়ে রেখে বৃদ্ধাঙ্গুলিকে শাহাদত আঙ্গুলির মূলের সাথে মিলিয়ে রাখতেন এবং শাহাদত আঙ্গুলি দিয়ে ইঙ্গিত করতেন।
عن ابن عمر رضي الله عنهما مرفوعا: إذا قعد في التشهد وضع يده اليسرى على ركبته اليسرى ووضع يده اليمنى على ركبته اليمنى وعقد ثلاثة وخمسين وأشار بالسبابة

হাদীসের ব্যাখ্যা:

হাদীস থেকে প্রমাণিত হয় যে, তাশাহহুদের সময় শাহাদাত আঙ্গুল দ্বারা ইশারা করতে হবে।
ফায়দা : ইশারা কখন করতে হবে এ ব্যাপারে হানাফী মাযহাবের গবেষক ইমামগণ বলেছেন যে, يَرْفَعُهَا عِنْدَ النَّفْيِ وَيَضَعُهَا عِنْدَ الْإِثْبَاتِ. নফী তথা لاَ إِلَهَ বলার সময় উঠাবে। আর ইসবাত তথা إِلَّا الله বলার সময় নামাবে। (শামী: ১/৫০৯) আল্লামা নববী রহ. শাফেয়ী মাযহাবের আমল হিসেবেও প্রায় অনুরূপ পদ্ধতি বর্ণনা করেছেন। (শরহু মুসলিম: ১১৮৫ নম্বর হাদীসের ব্যাখ্যায়, ‘সালাতে বসা ও দুই উরুর উপর দুই হাত রাখার নিয়ম’ অধ্যায়)

ইশারা করার পদ্ধতি হলো: উভয় হাত উভয় উরুর উপর রেখে অনামিকা ও কনিষ্ঠাঙ্গুল বন্ধ করে মধ্যমা ও বৃদ্ধাঙ্গুল দ্বারা বৃত্ত তৈরী করবে। অতঃপর শাহাদাত আঙ্গুল দ্বারা ইশারা করবে। আর আবু দাউদ শরীফের ৯৯০ নাম্বার সহীহ হাদীসে বর্ণিত আছে যে, ইশারার সময় দৃষ্টিও সেদিকে থাকবে। এটাই হানাফী মাযহাবের মত। (শামী: ১/৫০৯)
tahqiqতাহকীক:তাহকীক নিষ্প্রয়োজন