ফিকহুস সুনান ওয়াল আসার
৩. নামাযের অধ্যায়
হাদীস নং: ৫৩২
শাহাদত আঙুল দিয়ে ইশারা করা
(৫৩২) ওয়ায়িল ইবন হুজর রা. বলেন, আমি দেখলাম যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বৃদ্ধাঙ্গুলির সাথে মধ্যমার বৃত্ত তৈরী করেছেন এবং তার পাশের আঙ্গুল উচু করেছেন। তা দিয়ে তিনি তাশাহহুদের মধ্যে দুআ করছেন ।
عن وائل بن حجر رضي الله عنه قال: رأيت النبي صلى الله عليه وسلم قد حلق بالإبهام والوسطى ورفع التي تليهما يدعو بها في التشهد
হাদীসের ব্যাখ্যা:
হাদীস থেকে প্রমাণিত হয় যে, তাশাহহুদের সময় শাহাদাত আঙ্গুল দ্বারা ইশারা করতে হবে।
ফায়দা : ইশারা কখন করতে হবে এ ব্যাপারে হানাফী মাযহাবের গবেষক ইমামগণ বলেছেন যে, يَرْفَعُهَا عِنْدَ النَّفْيِ وَيَضَعُهَا عِنْدَ الْإِثْبَاتِ. নফী তথা لاَ إِلَهَ বলার সময় উঠাবে। আর ইসবাত তথা إِلَّا الله বলার সময় নামাবে। (শামী: ১/৫০৯) আল্লামা নববী রহ. শাফেয়ী মাযহাবের আমল হিসেবেও প্রায় অনুরূপ পদ্ধতি বর্ণনা করেছেন। (শরহু মুসলিম: ১১৮৫ নম্বর হাদীসের ব্যাখ্যায়, ‘সালাতে বসা ও দুই উরুর উপর দুই হাত রাখার নিয়ম’ অধ্যায়)
ইশারা করার পদ্ধতি হলো: উভয় হাত উভয় উরুর উপর রেখে অনামিকা ও কনিষ্ঠাঙ্গুল বন্ধ করে মধ্যমা ও বৃদ্ধাঙ্গুল দ্বারা বৃত্ত তৈরী করবে। অতঃপর শাহাদাত আঙ্গুল দ্বারা ইশারা করবে। আর আবু দাউদ শরীফের ৯৯০ নাম্বার সহীহ হাদীসে বর্ণিত আছে যে, ইশারার সময় দৃষ্টিও সেদিকে থাকবে। এটাই হানাফী মাযহাবের মত। (শামী: ১/৫০৯)
ফায়দা : ইশারা কখন করতে হবে এ ব্যাপারে হানাফী মাযহাবের গবেষক ইমামগণ বলেছেন যে, يَرْفَعُهَا عِنْدَ النَّفْيِ وَيَضَعُهَا عِنْدَ الْإِثْبَاتِ. নফী তথা لاَ إِلَهَ বলার সময় উঠাবে। আর ইসবাত তথা إِلَّا الله বলার সময় নামাবে। (শামী: ১/৫০৯) আল্লামা নববী রহ. শাফেয়ী মাযহাবের আমল হিসেবেও প্রায় অনুরূপ পদ্ধতি বর্ণনা করেছেন। (শরহু মুসলিম: ১১৮৫ নম্বর হাদীসের ব্যাখ্যায়, ‘সালাতে বসা ও দুই উরুর উপর দুই হাত রাখার নিয়ম’ অধ্যায়)
ইশারা করার পদ্ধতি হলো: উভয় হাত উভয় উরুর উপর রেখে অনামিকা ও কনিষ্ঠাঙ্গুল বন্ধ করে মধ্যমা ও বৃদ্ধাঙ্গুল দ্বারা বৃত্ত তৈরী করবে। অতঃপর শাহাদাত আঙ্গুল দ্বারা ইশারা করবে। আর আবু দাউদ শরীফের ৯৯০ নাম্বার সহীহ হাদীসে বর্ণিত আছে যে, ইশারার সময় দৃষ্টিও সেদিকে থাকবে। এটাই হানাফী মাযহাবের মত। (শামী: ১/৫০৯)
