ফিকহুস সুনান ওয়াল আসার

১- সামগ্রিক মূলনীতিসমূহ

হাদীস নং: ১৪
ইজতিহাদ ও কিয়াসের প্রামাণ্যতা
(১৪) মুআয ইবন জাবাল রা. বর্ণিত হাদীসে আছে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাকে ইয়ামানে (শাসক হিসাবে) প্রেরণের সময় বলেন, তুমি কীভাবে বিচার করবে? তিনি (মুআয) উত্তরে বলেন, আল্লাহর কিতাবে যা রয়েছে সে অনুসারে বিচার করব। তিনি বলেন, যদি (তোমার বিচার্য বিষয়টির বিধান) আল্লাহর কিতাবে না থাকে? তিনি বলেন, তাহলে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর সুন্নত অনুসারে (ফায়সালা প্রদান করব)। তিনি বলেন, যদি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর সুন্নতে (সে বিষয়ে বিধান) না থাকে? তিনি বলেন, তাহলে আমি আমার মতামতের আলোকে সঠিক সিদ্ধান্ত প্রদানের সাধ্যমতো চেষ্টা করব (ইজতিহাদ করব)। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেন, সকল প্রশংসা আল্লাহর, যিনি তাঁর রাসূলের প্রতিনিধিকে তাওফীক প্রদান করেছেন।
عن معاذ رضي الله عنه أن رسول الله صلى الله عليه وسلم بعثه إلى اليمن فقال: كيف تقضي؟ فقال: أقضي بما في كتاب الله قال: فإن لم يكن في كتاب الله؟ قال: فبسنة رسول الله صلى الله عليه وسلم قال: فإن لم يكن في سنة رسول الله صلى الله عليه وسلم؟ قال: أجتهد رأيي قال: الحمد لله الذي وفق رسول رسول الله.

হাদীসের ব্যাখ্যা:

গ্রন্থকার টীকায় উল্লেখ করেছেন যে, হাদীসটির সনদের দুর্বলতার বিষয়ে মুহাদ্দিসগণ কথা বলেছেন। কারণ হাদীসটির একমাত্র বর্ণনাকারী হারিস ইবন আমর নামক দ্বিতীয় হিজরি শতকের একজন তাবি’-তাবিয়ি । তিনি হাদীস বর্ণনায় যয়ীফ বা দুর্বল ছিলেন। তিনি বলেন যে, তাকে মুআয ইবন জাবাল রা.র কোনোকোনো সাথি এই হাদীসটি বলেছেন । এই অজ্ঞাতপরিচয় ‘সাথি’র কোনোরূপ পরিচয় পাওয়া যায় না। এই দুইটি কারণে হাদীসটিকে মুহাদ্দিসগণ যয়ীফ বলে গণ্য করেছেন। এ বিষয়ে ইমাম তিরমিযি বলেন, এই হাদীসটির সনদ আমার মতে মুত্তাসিল নয়। আর একমাত্র এই সনদ ছাড়া অন্যকোনো সূত্রে হাদীসটি জানা যায় না ।
গ্রন্থকার এ বিষয়ে বলেন যে, হারিস ইবন আমরকে পূর্ববর্তী সকল মুহাদ্দিস দুর্বল বললেও চতুর্থ হিজরি শতকের মুহাদ্দিস ইবন হিব্বান নির্ভরযোগ্য বলে উল্লেখ করেছেন। আর অজ্ঞাতপরিচয় 'সাথি'ও ইবন হিব্বানের সূত্র অনুসারে নির্ভরযোগ্য বলে গণ্য হওয়া উচিত। আল্লাহই ভালো জানেন।
tahqiqতাহকীক:তাহকীক চলমান
ফিকহুস সুনান - হাদীস নং ১৪ | মুসলিম বাংলা